নিচের কোন রশ্মির কোনো চার্জ ও ভর নেই?
A
আলফা
B
পজিট্রন
C
বিটা
D
গামা
উত্তরের বিবরণ
গামা রশ্মি – ধর্ম ও প্রকৃতি:
-
প্রকৃতি:
-
অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ।
-
আলোর মতো বেগে গতিশীল।
-
কোনো চার্জ ও ভর নেই।
-
বিদ্যুৎক্ষেত্র বা চুম্বকক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না।
-
-
প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব:
-
ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া করে।
-
আয়নিত করার ক্ষমতা আছে, তবে বিটা রশ্মির তুলনায় কম।
-
জিঙ্ক সালফাইডে প্রতিপ্রভ সৃষ্টি করে।
-
আলোর মতো প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যাতিচার, অপবর্তন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোন রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর?
Created: 3 weeks ago
A
রঞ্জন রশ্মি
B
গামা রশ্মি
C
অতিবেগুনি রশ্মি
D
ইনফ্রারেড রশ্মি
অতিবেগুনি, গামা ও এক্স-রশ্মি হলো বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, যা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং শক্তির দিক থেকে ভিন্ন। অতিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর, কারণ এটি চোখের উপরিভাগের কোষ নষ্ট করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। গামা রশ্মি ও এক্স-রে শক্তিশালী হলেও সাধারণত চোখে সরাসরি ক্ষতি করে না, আর ইনফ্রারেড রশ্মি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর।
গামা রশ্মি (γ-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে ছোট।
-
ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কারণে কম্পাঙ্ক এবং শক্তি অত্যন্ত বেশি।
-
দৃশ্যমান আলোর তুলনায় শক্তি প্রায় ৫০,০০০ গুণ বেশি।
-
তেজস্ক্রিয় মৌল এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্গত হয়।
-
প্রাণীর দেহের জন্য ক্ষতিকর।
এক্স রশ্মি (X-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে 10⁻⁸ m পর্যন্ত।
-
উলহেলম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে আবিষ্কার করেন; রঞ্জন রশ্মি নামেও পরিচিত।
-
গামা রশ্মির তুলনায় কম্পাঙ্ক ও শক্তি অপেক্ষাকৃত কম।
-
মানুষের দেহের নরম অংশের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, কিন্তু হাড় বা টিউমারজাত শক্ত টিস্যুর মধ্য দিয়ে যায় না।
-
চিকিৎসায় দেহের হাড় এবং টিউমার সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet ray):
-
এক্স-রে এবং দৃশ্যমান আলোর মধ্যবর্তী, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻⁸ m থেকে 4×10⁻⁷ m পর্যন্ত।
-
সূর্য রশ্মি প্রধান উৎস।
-
ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
দীর্ঘ সময় পড়লে চোখ ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

0
Updated: 3 weeks ago
কোন রশ্মির কোন ভর বা চার্জ নেই?
Created: 1 month ago
A
বিটা
B
আলফা
C
পজিট্রন
D
গামা
গামা রশ্মি (γ-রশ্মি) হলো একটি ধরনের বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ, যা আলোর মতো কণিকা নয়। এটি সাধারণত α-কণা বা β-কণার বিচ্ছুরণের পর নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে শক্তির পূর্ণবিন্যাসের ফলে উদ্ভূত হয়। γ-রশ্মির তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য অত্যন্ত ক্ষুদ্র, এমনকি রঞ্জন রশ্মির চেয়েও কম।
-
প্রকৃতি:
-
γ-রশ্মি কোনো কণিকা নয়, এটি তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ।
-
α-কণা বা β-কণার বিচ্ছুরণের পর নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে শক্তির পূর্ণবিন্যাসের ফলে উদ্ভূত হয়।
-
তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য খুবই কম, রঞ্জন রশ্মির চেয়েও ক্ষুদ্র।
-
-
বেগ:
-
γ-রশ্মি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ, তাই এদের বেগ প্রতি সেকেন্ডে 186,000 মাইল বা 3×10⁸ মিটার/সেকেন্ড।
-
-
বায়ুর আয়নীকরণ ক্ষমতা:
-
প্রধানত পরোক্ষভাবে পদার্থকে আয়নিত করে।
-
বহু দীর্ঘ পথ পার হতে হয়, তাই আপেক্ষিক আয়নীকরণ ক্ষমতা খুব কম।
-
-
ছেদন ক্ষমতা:
-
α-কণার তুলনায় প্রায় 10,000 গুণ বেশি।
-
রঞ্জন রশ্মির মতো বিভিন্ন পদার্থের মধ্য দিয়ে চলতে পারে।
-
-
জীবকোষের উপর প্রভাব:
-
জীবন্ত কোষের ক্ষতি করতে সক্ষম।
-
γ-রশ্মি বিকিরণের ফলে নিউক্লিয়াসের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, কারণ এটি কেবল বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
γ-রশ্মির কোনো ভর বা চার্জ নেই।
-

0
Updated: 1 month ago
কসমিক রে মূলত কী দ্বারা গঠিত?
Created: 1 month ago
A
আলো বহনকারী ফোটন
B
উচ্চ শক্তিসম্পন্ন চার্জযুক্ত কণা
C
শব্দ তরঙ্গ
D
শব্দ তরঙ্গ
কসমিক রে হল মহাকাশ থেকে আগত উচ্চ গতির কণা।- এগুলোর বেশিরভাগই প্রোটন (হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস), কিছু আলফা কণা (হিলিয়াম নিউক্লিয়াস) এবং সামান্য ইলেকট্রন ও ভারী নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত। এগুলো আলোর কণা নয়, কারণ আলো ফোটন দিয়ে গঠিত এবং বৈদ্যুতিক চার্জ বহন করে না।
মহাজাগতিক রশ্মি: - মহাজাগতিক রশ্মি হল উচ্চ-গতির কণা, যা পারমাণবিক নিউক্লিয়াস বা ইলেকট্রন হতে পারে।- এগুলো মহাকাশে ভ্রমণ করে এবং প্রধানত গ্যালাকটিক মহাজাগতিক রশ্মি (GCRs) নামে পরিচিত।
- বেশিরভাগ GCR আসে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে। কিছু আসে সূর্য থেকে (সৌর মহাজাগতিক রশ্মি)। সর্বোচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলি সম্ভবত মিল্কিওয়ের বাইরের উৎস থেকে আসে।
- প্রাথমিক মহাজাগতিক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীর পৃষ্ঠে দেখা যায় না। প্রাথমিক কণা পর্যবেক্ষণ করতে উচ্চ-উচ্চতার বেলুন বা মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়।
মহাজাগতিক রশ্মি:
- বেশিরভাগ GCR আসে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে। কিছু আসে সূর্য থেকে (সৌর মহাজাগতিক রশ্মি)। সর্বোচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলি সম্ভবত মিল্কিওয়ের বাইরের উৎস থেকে আসে।
- প্রাথমিক মহাজাগতিক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীর পৃষ্ঠে দেখা যায় না। প্রাথমিক কণা পর্যবেক্ষণ করতে উচ্চ-উচ্চতার বেলুন বা মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়।

0
Updated: 1 month ago