A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
ক্রিয়া
D
অব্যয়
উত্তরের বিবরণ
শব্দ ‘তাগিদ’ কোন পদ তা নির্ধারণ করার জন্য আমরা এর অর্থ ও ব্যবহার বিশ্লেষণ করি।
‘তাগিদ’ শব্দের অর্থ: কোনো কাজে উৎসাহ বা প্রেরণা দেওয়া, উদ্দীপনা বা উদ্দীপক বার্তা। উদাহরণ: “শিক্ষকের তাগিদে ছাত্ররা আরও মনোযোগী হয়ে পড়ে।”
এখানে লক্ষ্য করুন:
-
এটি কোনো ব্যক্তি, স্থান বা বস্তু নির্দেশ করে না → বিশেষ্য হতে পারে।
-
এটি কোনো গুণ বা অবস্থা বোঝায় না → বিশেষণ নয়।
-
এটি কোনো কর্ম বা কাজের ক্রিয়াকে নির্দেশ করে না → ক্রিয়া নয়।
-
এটি কোনো সাধারণ অব্যয় (যেমন: শুধু সংযোগ বা অব্যয় পদ) নয়।
সুতরাং, ‘তাগিদ’ হলো বিশেষ্য।
সংক্ষেপে ব্যাখ্যা:
‘তাগিদ’ শব্দটি এমন একটি পদ যা কোনো বস্তু বা ধারণা (উদ্দীপনা/প্রেরণা) বোঝায়। অতএব, এটি বিশেষ্য।

0
Updated: 2 days ago
'পরাগলী মহাভারত' খ্যাত গ্রন্থের অনুবাদকের নাম কী?
Created: 3 weeks ago
A
সঞ্চয়
B
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
C
শ্রীকর নন্দী
D
কাশীরাম দাস
‘পরাগলী মহাভারত’
-
এই নামেই পরিচিত মহাভারত অনুবাদগ্রন্থের অনুবাদক ছিলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
-
বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদ করা প্রথম কবি তিনি।
-
নবাব হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৮) চট্টগ্রামের প্রশাসনের দায়িত্বে পরাগল খাঁ নামক এক সেনাপতিকে নিযুক্ত করেছিলেন।
-
যুদ্ধপ্রবণ পরাগল খাঁ মহাভারতের যুদ্ধবিষয়ক কাহিনি শুনে মুগ্ধ হন এবং কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে সেটি অনুবাদ করতে বলেন।
-
এই কারণেই অনূদিত গ্রন্থটি ‘পরাগলী মহাভারত’ নামে পরিচিত হয়।
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর তাঁর অনুবাদকৃত মহাভারতের নাম দেন ‘ভারত পাঁচালী’।
• ‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’
-
পরাগল খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ছুটি খাঁ চট্টগ্রামের শাসনভার গ্রহণ করেন।
-
তিনি সভাকবি শ্রীকর নন্দীকে মহাভারত অনুবাদের নির্দেশ দেন।
-
শ্রীকর নন্দী জৈমিনি মহাভারতের ‘অশ্বমেধ পর্ব’ অবলম্বনে কাব্যিক রূপে ‘ভারত পাঁচালী’ রচনা করেন।
-
এই অনুবাদগ্রন্থটি ‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’ নামে পরিচিত।
-
অনেকে মনে করেন, শ্রীকর নন্দী কবীন্দ্র পরমেশ্বরের অসম্পূর্ণ মহাভারতের কাজ সম্পূর্ণ করেন।
অতিরিক্ত তথ্য
-
মহাভারত মূলত সংস্কৃত ভাষায় রচিত, যার মূল রচয়িতা হলেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব।
-
বাংলা ভাষায় মহাভারতের সর্বাধিক সমাদৃত অনুবাদটি করেন কাশীরাম দাস।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 weeks ago
রাজা রামমোহন রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
মাগ্ধীয় ব্যাকরণ
B
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
C
মাতৃভাষা ব্যাকরণ
D
ভাষা ও ব্যাকরণ
রামমোহন রায় রচিত বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ: ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’
‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ হলো বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ, যার রচয়িতা ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। এটি ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত হয়।
রামমোহন রায় সম্পর্কে কিছু তথ্য:
রামমোহন রায় ছিলেন একজন বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ এবং ধর্ম সংস্কারক। তিনি বাংলার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন,
যা বাংলা ভাষার উন্নয়নে এক যুগান্তকারী অবদান রেখেছে। তাঁর ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ বাংলা ভাষায় প্রথম ভাষাবিজ্ঞান গ্রন্থ হিসেবে গণ্য। এছাড়াও, সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি প্রবল আন্দোলন চালিয়ে তা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনাসমূহ:
-
বেদান্ত গ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
পথ্য প্রদান
-
গোস্বামীর সহিত বিচার (যা সতীদাহ প্রথার অসঙ্গতির বিষয় তুলে ধরে)
তথ্যের উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষা কোন ভাষা থেকে এসেছে?
Created: 2 weeks ago
A
সংস্কৃত
B
গৌড়ীয় প্রাকৃত
C
হিন্দি
D
আসামি
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, ভারতীয় ভাষা থেকেই বৈদিক এবং প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার সৃষ্টি। খ্রিষ্টপূর্ব আটশ অব্দে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকেই আদিম প্রাকৃত ভাষার সৃষ্টি। আনুমানিক দুইশ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দে এই ভাষা থেকেই গৌড়ীয় প্রাকৃত এবং আনুমানিক চারশ অব্দে গৌড়ী পাকৃত থেকে গৌড়ী অপভ্রংশের সৃষ্টি।
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে গৌড় অপভ্রংশ হয়ে বঙ্গকামরূপী ভাষার মাধ্যমে ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষা স্বতন্ত্ররূপ পরিগ্রহ করে।

0
Updated: 2 weeks ago