'জ্বর' শব্দের দ্বিরুক্তিতে কোন অর্থ প্রকাশ পায়?
A
সামান্য
B
আধিক্য
C
আতিশয্য
D
অনুরূপ
উত্তরের বিবরণ
দ্বিরুক্ত শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, তা দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। এইভাবে পরপর দুইবার ব্যবহৃত শব্দকে দ্বিরুক্ত বলা হয়।
উদাহরণ:
-
'জ্বর' → জ্বর জ্বর (সামান্য অর্থ প্রকাশ পায়)
বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তির অর্থ:
-
আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধান, থোকা থোকা জাম
-
সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর অনুভব করছি
-
পরম্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে: তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ
-
ক্রিয়া বিশেষণ বোঝাতে: সে ধীরে ধীরে যায়
-
অনুরূপ বোঝাতে: তার সঙ্গী-সাথী কেউ নেই
-
আগ্রহ বোঝাতে: সে মা মা বলে কাঁদছে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ); মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
আলালি বা হুতোমি ভাষা বলা হয় কোন ভাষাকে?
Created: 1 month ago
A
সাধু
B
চলিত
C
ইংরেজি
D
সংস্কৃত
আলালি বা হুতোমি ভাষা বলা হয় – চলিত ভাষাকে।
প্যারীচাঁদের অনুসরণে বাংলা ভাষাকে আরও গণমুখী করেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন এলাকার মৌখিক ভাষাকে তিনি সার্থকভাবে তাঁর রচনায় প্রয়োগ করেন। তাঁর ‘হুতোম প্যাচার নকশা’ (১৮৬২) উপন্যাসে ব্যবহৃত ভাষারীতি প্যারীচাঁদের ভাষার চেয়ে মার্জিততর। এ গ্রন্থে চলিত ভাষায় সরস ব্যঙ্গবিদ্রূপের মাধ্যমে কলকাতার সমাজজীবন চিত্রিত হয়েছে। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে তাঁর ভাষা ‘হুতোমি ভাষা’ নামে পরিচিত, যা পরবর্তী শতকের গদ্যরচনায় বিশেষ প্রভাব ফেলে। প্যারীচাঁদ মিত্রের কথ্যরীতিতে গদ্য-পদ্য রচনা, প্রচুর তদ্ভব এবং চলিত ফারসী শব্দের ব্যবহার এবং ক্রিয়া পদে সাধু ও কথ্য ভাষার মিশ্রণ তার গদ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল। তাঁর লেখা বই আলালের ঘরে দুলাল এই গদ্যের ব্যবহার করা হয়েছিল যার জন্য এর নাম হয়ে যায় ‘আলালী ভাষা’।

0
Updated: 1 month ago
'বেটাইম' শব্দটি গঠিত হয়েছে-
Created: 2 months ago
A
ফারসি ও ইংরেজি শব্দে
B
ফরাসি ও ইংরেজি শব্দে
C
ফারসি ও ফরাসি শব্দে
D
ফারসি ও হিন্দি শব্দে
‘বেটাইম’ শব্দে বে ফারসি উপসর্গ এবং টাইম ইংরেজি শব্দ।
- অর্থাৎ ফারসি উপসর্গ এবং ইংরেজি শব্দের সমন্বয়ে বেটাইম শব্দটি গঠিত।
অর্থ:
- অসময়,
- অসুবিধাজনক সময়।
- কোনাে কোনাে সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যেমন:
- ‘কাঁচামাল’ (বাংলা + আরবি),
- রাজা-বাদশা (তৎসম + ফারসি),
- হাট-বাজার (বাংলা + ফারসি),
- চৌহদ্দি ( বাংলা + ফারসি),
- হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম) ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 2 months ago
‘আবেগ’ কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
বিশেষণ
B
ক্রিয়াবিশেষণ
C
পদ
D
অব্যয়
বাংলা ভাষায় ‘আবেগ’ পদ-এর অন্তর্ভুক্ত।
পদ হলো বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু। অন্যভাবে বলা যায়, শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তার নাম হয় পদ।
বাক্যের অন্তর্গত এসব পদকে মোট আটটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
-
বিশেষ্য
-
সর্বনাম
-
বিশেষণ
-
ক্রিয়া
-
ক্রিয়াবিশেষণ
-
অনুসর্গ
-
যোজক
-
আবেগ

0
Updated: 2 weeks ago