A
সুচরিতেষু
B
কল্যাণীয়েষু
C
প্রীতিভোজনেষু
D
শ্রদ্ধাস্পদাসু
উত্তরের বিবরণ
পত্রে সম্বোধনরীতি
বাংলা চিঠি লেখার ক্ষেত্রে সম্বোধন নির্বাচনে ভদ্রতা ও সম্পর্কের মর্যাদা বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়।
নারীর জন্য সম্বোধন
-
শ্রদ্ধাভাজনাসু
-
শ্রদ্ধাস্পদাসু
-
কল্যাণীয়াসু
এগুলো ব্যবহার করা হয় শ্রদ্ধাভাজন, স্নেহভাজন বা সম্মানিত নারীদের উদ্দেশে।
পুরুষ/বন্ধুর জন্য সম্বোধন
-
শ্রদ্ধাভাজনেষু
-
শ্রদ্ধাস্পদেষু
-
সুচরিতেষু
-
প্রীতিভাজন
এগুলো ব্যবহার করা হয় শ্রদ্ধাভাজন পুরুষ, গুরুজন কিংবা আত্মীয়-বন্ধুদের উদ্দেশে।
তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 2 days ago
কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
Created: 1 month ago
A
রোমান্টিসিজম
B
আধুনিকতাবাদ
C
উত্তরাধুনিকতাবাদ
D
বাস্তববাদ
উত্তর-আধুনিকতাবাদ:
- উত্তর-আধুনিকবাদ মতটি সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, স্থাপত্য, সমালোচনার ক্ষেত্রে Deconstruction ও Post-structural- ism-এর সঙ্গে অনেকটাই সংশ্লিষ্ট।
- Postmodernism শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৭০ সালে। জন ওয়াটকিনস চ্যাপম্যান ফরাসি Impressionism থেকে চিত্রকলাকে পৃথক করার জন্য প্রথম এই ধারার চিত্রের কথা বলেন।
- সাহিত্যের ক্ষেত্রে Postmodern ধারণাটি প্রথম আসে ১৯৭২ সালে আমেরিকান 'সীমান্ত ২' (Boundary 2) পত্রিকার মাধ্যমে। ডেভিড এনটিন, চার্লস অলসন, জর্জ লুইস বর্জ প্রমুখ এই ধারাকে বেগবান করেন। আরব-আমেরিকার লেখক ইহাব হাসান ১৯৭১ সালে উত্তর-আধুনিক ধারায় সাহিত্য সমালোচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
- উত্তর-আধুনিকতার মূলকথা হচ্ছে: 'সব কিছুই বহমান ও খণ্ডিত। সত্যের কোনো বস্তুগত রূপ নেই। সমস্ত নৈতিক, সামাজিক রীতি-নীতি কৃত্রিম, বিধি বহির্ভূত অকারণ ও বাইরে থেকে চাপানো; সত্য কেবল বিষয়গত ও আধ্যাত্মীয়।'
- আরনল্ড টয়েনবি, আরভিং হো, হ্যারি লেভিন, এডওয়ার্ড সাইড প্রমুখ উত্তর-আধুনিক ধারার সমর্থক।
- এই ধারা মূলত আধুনিকতার বিপরীতে পথসন্ধান করে এবং মধ্যযুগের মূল্যবোধে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মধ্যযুগ ব্যাখ্যায় বৈজ্ঞানিকতার বদলে অনেকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় স্থিত হন। এখানেই উত্তর-আধুনিকতার সীমাবদ্ধতা।
- মূলত নৈরাশ্য থেকে এ পথে তারা সর্বসমস্যার সমাধান খোঁজেন। তখন আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে তারা পতিত হন ধর্মমোহে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 1 month ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
বন্ধনী চিহ্ন সাহিত্যে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
ধাতু বোঝাতে
B
অর্থমূলক
C
ব্যাখ্যামূলক
D
উৎপন্ন বোঝাতে
সাহিত্যিক লেখায় বন্ধনী চিহ্ন (যেমন, ()) সাধারণত বিশেষ তথ্য, ব্যাখ্যা, মন্তব্য বা পরিসংখ্যান যোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা মূল বক্তব্যকে সমর্থন বা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 month ago