জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'নদী ও নারী' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ
B
আবুল ফজল
C
রশীদ করিম
D
হুমায়ুন কবির
নদী ও নারী
-
রচয়িতা: হুমায়ুন কবির
-
প্রকাশকাল: ১৯৪৫ সালে মূল বাংলা সংস্করণ; একই বছরে ইংরেজি অনুবাদ ‘Men and Rivers’ প্রকাশিত হয়।
-
পটভূমি: চরের মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
-
প্রধান চরিত্র: নজু মিয়া ও আসগর মিয়া—তাদের জীবন ও সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গল্পটি আবর্তিত।
-
বিশেষত্ব: পদ্মা নদীর প্রেক্ষাপটে বাঙালি মুসলিম সমাজের জীবনের চিত্রায়ন।
-
চলচ্চিত্র: ১৯৬৫ সালে ঢাকায় উপন্যাসটি চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়।
হুমায়ুন কবির
-
জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬, কোমরপুর, ফরিদপুর
-
মূল নাম: হুমায়ুন জহিরউদ্দিন আমির-ই-কবির
-
পেশা ও অবদান: রাজনীতিবিদ, লেখক ও দার্শনিক; ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে স্মরণীয়।
-
মৃত্যু: ১৮ আগস্ট ১৯৬৯, হৃদরোগে
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
স্বপ্নসাধ
-
সাথী
-
অষ্টাদশী
-
-
উপন্যাস: নদী ও নারী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
কোন অব্যয় বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের পরে যুক্ত হয়ে বিভক্তির কাজ করে?
Created: 1 month ago
A
সংযোজক
B
সমুচ্চয়ী
C
অনুকারগ
D
অনুসর্গ
অনুসর্গ অব্যয়: যে সকল অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বিভক্তির ন্যায় বসে কারকবাচকতা প্রকাশ করে, তাদের অনুসর্গ অব্যয় বলে। যেমন- ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
সংযোজক অব্যয়: যে অব্যয় পদ বাক্যের সঙ্গে বাক্যের বা পদের সঙ্গে পদের সংযোগ সাধন করে, তাকেই সংযোজক অব্যয় বলে। যেমন - আমি খেলার মাঠে গিয়েছিলাম; কিন্তু তোমায় দেখতে পাইনি। বাবা এবং মায়ের কথা শোনা উচিত। সমুচ্চয়ী অব্যয়: একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের বা বাক্যস্থিত একটি পদের সাথে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বা সম্বন্ধবাচক অব্যয় বলে। অনুকার অব্যয়: যে সকল অব্যয় কোনো শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাদেরকে অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে।
যেমন: শোঁ শোঁ (বাতাসের ধ্বনি), রুম্মুম্ (নূপুরের আওয়াজ), ঝম্ফম (বৃষ্টির শব্দ), বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, বজ্রের ধ্বনি কড়কড়, ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী 'ও' এর অবস্থান কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মধ্য
B
সম্মুখ
C
পশ্চাৎ
D
নিম্ন মধ্য
• উচ্চারণের সময়ে জিভের উচ্চতা অনুযায়ী, জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী এবং ঠোঁটের উন্মুক্তি অনুযায়ী স্বরধ্বনিকে ভাগ করা হয়।
• জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী-
সম্মুখ- ই, এ, অ্যা,
মধ্য- আ;
পশ্চাৎ- উ, ও, অ।
• জিভের উচ্চতা অনুযায়ী-
উচ্চ- ই, উ।
উচ্চ-মধ্য- এ, ও।
নিম্ন-মধ্য- অ্যা, অ।
নিম্ন- আ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম ও দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago