A
নদীয়ার চাঁদ সড়কের জীবন
B
পল্লী বাংলার বাস্তব জীবন
C
গ্রামীণ চাষীদের জীবন
D
নগর ও গ্রামীণ জীবন
উত্তরের বিবরণ
সংশপ্তক উপন্যাস
-
রচয়িতা: শহীদুল্লাহ কায়সার
-
সংশপ্তক শব্দটি মহাভারত থেকে গৃহীত, যার অর্থ— জীবনমরণ পণ করে যুদ্ধ করা সৈনিকরা।
-
এ উপন্যাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পূর্বকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও রূপান্তর চিত্রিত হয়েছে।
-
হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা এ উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য।
-
ঢাকা ও কলকাতার নাগরিক পরিবেশ এবং বাকুলিয়া ও তালতলি গ্রামের গ্রামীণ পরিবেশ মিলিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জীবনযাত্রা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল প্রমুখ।
শহীদুল্লাহ কায়সার
-
জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭, ফেনী।
-
পূর্ণ নাম: আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
-
জহির রায়হান তাঁর সহোদর ভাই।
-
সাংবাদিকতা শুরু করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক-এ যোগদানের মাধ্যমে।
-
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে ঢাকার বাসভবন থেকে অপহৃত হন এবং আর ফিরে আসেননি।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 days ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 days ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 days ago
'নদী ও নারী' কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
কাজী আব্দুল ওদুদ
B
আবুল ফজল
C
শামসুদ্দিন আবুল কালাম
D
হুমায়ুন কবির
‘নদী ও নারী’
‘নদী ও নারী’ হুমায়ুন কবির রচিত একটি কালজয়ী বাংলা উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৫ সালে। এই একই বছরে এর ইংরেজি অনুবাদ ‘Men and Rivers’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।উপন্যাসটির পটভূমি গড়ে উঠেছে পদ্মা নদীঘেঁষা চরের মানুষের জীবন বাস্তবতাকে ঘিরে।
মূলত নজু মিয়া ও আসগর মিয়া নামের দুই বন্ধুর জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত, আবেগ-অনুভূতি, আশা-নিরাশার ছায়ায় এগিয়ে গেছে উপন্যাসের কাহিনি।
হুমায়ুন কবির এই উপন্যাসে বাঙালি মুসলমান সমাজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। পদ্মা নদীর গতিশীল চরাঞ্চল ও তার প্রভাবিত মানুষের জীবনধারা যেন এখানে সাহিত্যের রূপ পেয়েছে। ১৯৬৫ সালে এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যা উপন্যাসটির গুরুত্বকে আরও প্রতিষ্ঠিত করে।
হুমায়ুন কবির: সংক্ষিপ্ত জীবনী
হুমায়ুন কবির ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী – তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও সাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৯০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, ফরিদপুর জেলার কোমরপুর গ্রামে। তাঁর পুরো নাম ছিল হুমায়ুন জহিরউদ্দিন আমির-ই-কবির। তিনি সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি 'চতুরঙ্গ' নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৬৯ সালের ১৮ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হুমায়ুন কবিরের সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস:
-
নদী ও নারী (১৯৪৫)
কাব্যগ্রন্থ:
-
স্বপ্নসাধ
-
সাথী
-
অষ্টাদশী
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
নাটকে ‘গৈরিশ ছন্দের’ প্রবর্তন করেন কে?
Created: 1 week ago
A
রামায়ণ তর্করত্ন
B
গোবিন্দচন্দ্র দাস
C
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
D
গিরিশচন্দ্র সেন
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪–১৯১২) বাংলা নাটকের সমৃদ্ধি সাধনে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
-
যশস্বী অভিনেতা এবং প্রতিভাশালী নাট্যকার—এই যুগ্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে তিনি পচাঁত্তরখানি সমাপ্ত নাটক এবং চারখানি অসমাপ্ত প্রহসন রচনা করেছেন।
-
তাঁর প্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠা হলো ‘নটগুরু’ হিসেবে।
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাটকগুলিতে তিনি নিজে উদ্ভাবিত ‘গৈরিশ ছন্দ’ ব্যবহার করেছেন, যা যথেষ্ট সার্থকতা অর্জন করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল অভিনয়ে উপযোগী ভাষা সৃষ্টি।
-
এই ছন্দের প্রভাব পরবর্তীকালের নাট্যকারদের ওপরও লক্ষণীয়। ভক্তিমূলক পৌরাণিক নাটকের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রভাব অস্বীকার্য।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 week ago