আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
A
১৯৬১ সালে
B
১৯৬৩ সালে
C
২০০২ সালে
D
২০০৪ সালে
উত্তরের বিবরণ
আফ্রিকান ইউনিয়ন (African Union):-
-
একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা আফ্রিকান দেশসমূহকে নিয়ে গঠিত।
-
প্রতিষ্ঠা: ৯ জুলাই, ২০০২।
-
সদস্য সংখ্যা: ৫৫টি দেশ।
-
সদর দপ্তর: আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া।
-
সর্বশেষ সদস্য দেশ: মরক্কো।
-
বর্তমান চেয়ারপারসন: জোয়াও ম্যানুয়েল গনসালভেস লরেনকো (অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতি)।
🔹 পূর্বসূরি প্রতিষ্ঠান (African Unity):
-
১৯৬৩ সালের ২৫ মে, ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকার ৩২টি স্বাধীন দেশের প্রধানগণ Organization of African Unity (OAU) প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এর মূল লক্ষ্য ছিল সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতি সমন্বয় করে আফ্রিকা মহাদেশকে ইউরোপ ও আমেরিকার ঔপনিবেশিক প্রভাব ও শোষণ থেকে মুক্ত রাখা এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া।
🔹 আফ্রিকান ইউনিয়নের গঠন:
-
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার সিরতি শহরে, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফীর আহ্বানে আফ্রিকান ঐক্য সংঘকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
-
এর ধারাবাহিকতায়, ২০০১ সালের ২৬ মে, আদ্দিস আবাবায় আনুষ্ঠানিকভাবে আফ্রিকান ইউনিয়ন গঠিত হয়।
-
পরবর্তীতে ২০০২ সালের ৯ জুলাই, আফ্রিকান ঐক্য সংঘ (OAU)-এর পরিবর্তে কার্যক্রম শুরু করে আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU)।
উৎস: African Union ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
মহাবীর
B
নেমিনাথ
C
ঋষভনাথ
D
পার্শ্বনাথ
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
জৈনধর্ম (Jainism)
-
মূল তথ্য:
-
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন ধর্ম।
-
বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মমতগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
“জৈন” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “জিন” থেকে, যার অর্থ জয়ী।
-
-
ধর্মগ্রন্থ ও সম্প্রদায়:
-
প্রধান ধর্মগ্রন্থ: দ্ব্বাদশ অঙ্গ
-
প্রধান দুটি সম্প্রদায়: শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর
-
জৈনধর্মের মূল নীতি
-
যে মানুষ আসক্তি, আকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ, অহংকার, লোভ ইত্যাদি জয় করে পবিত্র অনন্ত জ্ঞান লাভ করেছে, তাকে জিন বলা হয়।
-
জিনদের আচরণ ও শিক্ষা অনুসরণকারীদের বলা হয় জৈন।
-
ধর্মগুরুদের বলা হয় তীর্থঙ্কর।
-
ইতিহাসে ২৪ তীর্থঙ্করের উল্লেখ রয়েছে।
-
প্রথম তীর্থঙ্কর: ঋষভনাথ
-
সর্বশেষ তীর্থঙ্কর: মহাবীর
মহাবীর ও জৈনধর্মের প্রচার
-
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে জৈনধর্মের প্রধান প্রচারক: মহাবীর (২৪তম তীর্থঙ্কর)
-
মহাবীরকে অনেক সময় ভুলবশত ধর্মপ্রবর্তক মনে করা হয়, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র ধর্মের প্রচারক ছিলেন।
-
মহাবীরের পূর্বসূরি:
-
২৩তম তীর্থঙ্কর: পার্শ্বনাথ
-
২২তম তীর্থঙ্কর: নেমিনাথ
-
উৎস: Britannica, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (ষষ্ঠ শ্রেণি)

0
Updated: 1 month ago
IUCN -এর কাজ হলো বিশ্বব্যাপী -
Created: 2 months ago
A
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা
B
মানবাধিকার সংরক্ষণ করা
C
পানি সম্পদ সংরক্ষণ করা
D
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন করা
IUCN অর্থাৎ International Union for the Conservation of Nature, একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। ১৯৪৮ সালের ৫ অক্টোবর ফ্রান্সের ফন্টেইনব্লিউতে
IUCN-এর প্রতিষ্ঠা ঘটে। এর সদর দপ্তর অবস্থিত সুইজারল্যান্ডের গ্লান্ডে। বর্তমানে IUCN বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৭০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে।
IUCN-এর মূল লক্ষ্য হলো প্রকৃতির সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতিকে তাদের অবস্থা অনুযায়ী নয়টি ক্যাটাগরিতে শ্রেণীবদ্ধ করে থাকে, যেগুলো হলো: মূল্যায়ন করা হয়নি, তথ্যের অভাব, সর্বনিম্ন উদ্বেগ, কাছাকাছি হুমকির মধ্যে, ঝুঁকিপূর্ণ, বিপন্ন, গুরুতর বিপন্ন, বন্যে বিলুপ্ত এবং সম্পূর্ণ বিলুপ্ত।
তথ্যের উৎস: IUCN-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
কোন সম্মেলনে "Loss and Damage Fund" তহবিল গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়?
Created: 1 month ago
A
COP-21
B
COP-25
C
COP-27
D
COP-29
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
Loss and Damage Fund
-
প্রস্তাব গ্রহণ: COP-27 (২৭তম জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন, ২০২২, মিশরের শার্ম এল-শেখ)
-
লক্ষ্য: উন্নয়নশীল ও দুর্বল দেশগুলোকে জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির আর্থিক সহায়তা প্রদান
প্রেক্ষাপট
-
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী
-
২০০৯: উন্নত দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়
-
২০২২: COP-27 সম্মেলনে Loss and Damage Fund চালু করার চুক্তি গৃহীত
উৎস: UNFCCC ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago