A
যথা সময়ে অফিসে আগমন ও অফিস ত্যাগ করা
B
দাপ্তরিক কাজে কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা
C
নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা
D
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোনো নির্দেশ প্রতিপালন করা
উত্তরের বিবরণ
সরকারি চাকরিতে সততার মানদণ্ড
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি হলো নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অভ্যাস। একজন কর্মকর্তা তার দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করলে তাকে সততাবান ধরা হয়।
নৈতিকতা (Ethics)
-
নৈতিকতার ইংরেজি শব্দ Ethics এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ হলো চরিত্র বা রীতিনীতি (Character or Custom)।
-
প্রতিটি মানুষের জীবনেই নৈতিকতার গুরুত্ব রয়েছে।
-
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণগত মান এবং নৈতিক বিচার যা ভাল ও মন্দ, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।
-
Webster’s Dictionary অনুযায়ী, নৈতিকতা হলো এমন একটি শৃঙ্খলা, যা নৈতিক কর্তব্য ও দায়বোধের মাধ্যমে ঠিক করে কী ভালো ও কী মন্দ।
-
Godiwalla & Faramarz মতে, নৈতিকতা হলো ভুল ও খারাপ থেকে সঠিক ও ভালো আলাদা করার প্রক্রিয়া, এবং তা বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য।
-
Kreitner & Eliason (Foundations of Management) উল্লেখ করেছেন, নৈতিকতা হলো ভুল বনাম সঠিক এবং তার সাথে সম্পর্কিত দায়বদ্ধতার মূল্যায়ন।
নৈতিকতার মূল বৈশিষ্ট্য:
-
ভুল ও সঠিকের তুলনা করা।
-
নৈতিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা।
-
প্রতিষ্ঠান ও সমাজের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা।
সংক্ষেপে, নৈতিকতা এমন কিছু মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে যা আমাদের কাজকে গ্রহণযোগ্য ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে সাহায্য করে।
সততা (Honesty)
-
নীতিশাস্ত্রে সততা হলো মানুষের চরিত্রের স্থায়ী সৎ প্রবণতা, যা জন্মগত নয় বরং অর্জিত।
-
সততা মূলত কর্তব্যপরায়ণ অভ্যাসের ফল।
-
এরিস্টটল বলেছেন, সততা হলো মনের স্থায়ী অবস্থা, যা আমাদের ইচ্ছা ও বিচার-বুদ্ধি দ্বারা গঠিত এবং বাস্তব জীবনের আদর্শের উপর ভিত্তি করে।
-
মানুষ তখনই সৎলোক হয় যখন সে সৎ অভ্যাস গড়ে তোলে এবং নৈতিক আদর্শ অনুসারে কাজ করে।
-
নিজের প্রবৃত্তি ও কামনা বিচার-বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করলে ব্যক্তি চরিত্রবান হয়ে ওঠে।
-
ম্যাকেনজি অনুযায়ী, সততা হলো চরিত্রের সৎ অভ্যাস, যা কর্তব্যের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু তার থেকে পৃথক।
-
কর্তব্য বলতে বোঝায় সেই বিশেষ কাজ যা আমাদের অবশ্যই করা উচিত।
সংক্ষেপে, সততা হলো অভ্যাস ও নৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে সৎ কাজ করার ক্ষমতা।
উৎসঃ সিভিক এডুকেশন-১, বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago
'সুবর্ণ মধ্যক' হলো -
Created: 5 days ago
A
গাণিতিক মধ্যমান
B
দুটি চরমপন্থার মধ্যবর্তী পন্থা
C
সম্ভাব্য সব ধরনের কাজের মধ্যমান
D
একটি দার্শনিক সম্প্রদায়ের নাম
'সুবর্ণ মধ্যক' হলো দুটি চরমপন্থার মধ্যবর্তী পন্থা।
গোল্ডেন মিন (Golden Mean):
- গোল্ডেন মিন বা সুবর্ণ মধ্যক হলো একটি দার্শনিক মতবাদ।
- গ্রিক দার্শনিক এরিষ্টটল এই ধারণার প্রবর্তক।
- দুটি চরম পন্থার মধ্যবর্তী কোন পন্থাকে সুবর্ণ মধ্যক বলে।
- যেমন: একদিকে খুবই প্রাচুর্য এবং অন্যদিকে খুবই অভাব।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 5 days ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ কাকে বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 days ago
সুশাসন হচ্ছে এমন এক শাসন ব্যবস্থা যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে -
Created: 5 days ago
A
সুসম্পর্ক গড়ে তোলে
B
আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে
C
শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলে
D
কোনোটিই নয়
সুশাসন (Good Governance)
সুশাসন বলতে এমন একটি শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায় যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ম্যাককরনী (Mac’ Corney) এর মতে, “সুশাসন হলো রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝানো।”
সংক্ষেপে বলা যায়, প্রশাসনে যদি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো কার্যকর থাকে, তবে সেই শাসনকে সুশাসন বলা যায়:
-
প্রশাসনের জবাবদিহিতা (Accountability)
-
প্রশাসনের বৈধতা (Legitimacy)
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ
-
বাকস্বাধীনতা ও সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন (Rule of Law)
-
আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা
যে শাসন ব্যবস্থায় এ সব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, সেটাই হলো সত্যিকার অর্থে সুশাসন।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 5 days ago