A
পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ
B
আইনের শাসন
C
সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ
D
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চিতকরণ
উত্তরের বিবরণ
নৈতিক মূল্যবোধ ও ন্যায়পরায়ণতা
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেই মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণময় এবং অপরিহার্য মনে করে এবং মানসিক তৃপ্তি লাভ করে।
এর মূল উৎস হলো পরিবার। শিশু প্রথম নৈতিক শিক্ষা যেমন সত্য বলার গুরুত্ব, অন্যায় থেকে বিরত থাকা, দুঃস্থকে সাহায্য করা—এসব পরিবার থেকে শেখে।
নৈতিক মূল্যবোধের মূল দিকসমূহ:
-
নীতি ও উচিত-অনুচিতের বোধ
-
অন্যায় থেকে বিরত থাকা
-
সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
দুঃস্থ বা অসহায়কে সহায়তা করা
ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি:
-
পুরস্কার ও শাস্তিতে সমতার নীতি প্রয়োগ
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করা
-
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চয়তা প্রদান
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
সুশাসনের জন্য শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ করা ভালো, কিন্তু এটি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়। ন্যায়পরায়ণতা মূলত নৈতিক মূল্যবোধ ও নীতি ভিত্তিক আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।,নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি কি?
Created: 2 days ago
A
যথা সময়ে অফিসে আগমন ও অফিস ত্যাগ করা
B
দাপ্তরিক কাজে কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা
C
নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা
D
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোনো নির্দেশ প্রতিপালন করা
সরকারি চাকরিতে সততার মানদণ্ড
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি হলো নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অভ্যাস। একজন কর্মকর্তা তার দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করলে তাকে সততাবান ধরা হয়।
নৈতিকতা (Ethics)
-
নৈতিকতার ইংরেজি শব্দ Ethics এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ হলো চরিত্র বা রীতিনীতি (Character or Custom)।
-
প্রতিটি মানুষের জীবনেই নৈতিকতার গুরুত্ব রয়েছে।
-
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণগত মান এবং নৈতিক বিচার যা ভাল ও মন্দ, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।
-
Webster’s Dictionary অনুযায়ী, নৈতিকতা হলো এমন একটি শৃঙ্খলা, যা নৈতিক কর্তব্য ও দায়বোধের মাধ্যমে ঠিক করে কী ভালো ও কী মন্দ।
-
Godiwalla & Faramarz মতে, নৈতিকতা হলো ভুল ও খারাপ থেকে সঠিক ও ভালো আলাদা করার প্রক্রিয়া, এবং তা বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য।
-
Kreitner & Eliason (Foundations of Management) উল্লেখ করেছেন, নৈতিকতা হলো ভুল বনাম সঠিক এবং তার সাথে সম্পর্কিত দায়বদ্ধতার মূল্যায়ন।
নৈতিকতার মূল বৈশিষ্ট্য:
-
ভুল ও সঠিকের তুলনা করা।
-
নৈতিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা।
-
প্রতিষ্ঠান ও সমাজের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা।
সংক্ষেপে, নৈতিকতা এমন কিছু মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে যা আমাদের কাজকে গ্রহণযোগ্য ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে সাহায্য করে।
সততা (Honesty)
-
নীতিশাস্ত্রে সততা হলো মানুষের চরিত্রের স্থায়ী সৎ প্রবণতা, যা জন্মগত নয় বরং অর্জিত।
-
সততা মূলত কর্তব্যপরায়ণ অভ্যাসের ফল।
-
এরিস্টটল বলেছেন, সততা হলো মনের স্থায়ী অবস্থা, যা আমাদের ইচ্ছা ও বিচার-বুদ্ধি দ্বারা গঠিত এবং বাস্তব জীবনের আদর্শের উপর ভিত্তি করে।
-
মানুষ তখনই সৎলোক হয় যখন সে সৎ অভ্যাস গড়ে তোলে এবং নৈতিক আদর্শ অনুসারে কাজ করে।
-
নিজের প্রবৃত্তি ও কামনা বিচার-বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করলে ব্যক্তি চরিত্রবান হয়ে ওঠে।
-
ম্যাকেনজি অনুযায়ী, সততা হলো চরিত্রের সৎ অভ্যাস, যা কর্তব্যের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু তার থেকে পৃথক।
-
কর্তব্য বলতে বোঝায় সেই বিশেষ কাজ যা আমাদের অবশ্যই করা উচিত।
সংক্ষেপে, সততা হলো অভ্যাস ও নৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে সৎ কাজ করার ক্ষমতা।
উৎসঃ সিভিক এডুকেশন-১, বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago
সুশাসন হচ্ছে এমন এক শাসন ব্যবস্থা যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে -
Created: 5 days ago
A
সুসম্পর্ক গড়ে তোলে
B
আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে
C
শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলে
D
কোনোটিই নয়
সুশাসন (Good Governance)
সুশাসন বলতে এমন একটি শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায় যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ম্যাককরনী (Mac’ Corney) এর মতে, “সুশাসন হলো রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝানো।”
সংক্ষেপে বলা যায়, প্রশাসনে যদি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো কার্যকর থাকে, তবে সেই শাসনকে সুশাসন বলা যায়:
-
প্রশাসনের জবাবদিহিতা (Accountability)
-
প্রশাসনের বৈধতা (Legitimacy)
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ
-
বাকস্বাধীনতা ও সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন (Rule of Law)
-
আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা
যে শাসন ব্যবস্থায় এ সব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, সেটাই হলো সত্যিকার অর্থে সুশাসন।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 5 days ago
একজন জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ হলো-
Created: 5 days ago
A
স্বাধীনতা
B
ক্ষমতা
C
কর্মদক্ষতা
D
জনকল্যাণ
জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ: জনকল্যাণ
জনপ্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের সাফল্য ও স্থায়িত্ব প্রধানত জনমতের উপর নির্ভরশীল। কারণ:
-
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সরকার জনমতের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
-
সরকার ও শাসক জনমতকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
-
সদা সচেতন জনমত স্বেচ্ছাচার রোধ করে এবং গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।
জনমতের প্রভাব সরকারের কাজকর্মে:
-
জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জনমত মুখ্য ভূমিকা রাখে।
-
জনকল্যাণমূলক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকার জনমতের দিকে লক্ষ্য রাখে।
-
জনমতের চাপের ফলে সরকার প্রগতিশীল ও যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
-
জনমত সরকারের প্রতি ইতিবাচক থাকলে সরকার দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনেও জনমতের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 5 days ago