”হাজার বছর ধরে” উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য-
A
বিরহ ও রোমান্সধর্মী
B
আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদ
C
ঐতিহাসিক প্রক্ষাপট
D
পদ্মাপাড়ে জেলে জিবন
উত্তরের বিবরণ
হাজার বছর ধরে
-
জহির রায়হানের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘হাজার বছর ধরে’।
-
প্রকাশকাল: ১৯৬৪ সাল।
-
উপন্যাসটির মূল প্রতিপাদ্য → আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদ।
-
এই উপন্যাসের জন্য তিনি আদমজি পুরস্কার লাভ করেন।
-
উপন্যাসের নায়িকা টুনি একমাত্র জীবন্ত চরিত্র, বাকিরা মৃত ও বিবর্ণ।
জহির রায়হান
-
তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে, ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
-
পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’।
-
ভাষা আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় রচিত তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস → ‘আরেক ফাল্গুন’।
-
জহির রায়হান নির্মিত প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র → ‘সঙ্গম’।
-
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি তিনি মিরপুর থেকে নিখোঁজ হন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
'বটতলার উপন্যাস' গ্রন্থের লেখকের নাম কী?
Created: 2 months ago
A
দিলারা হাশেম
B
রাজিয়া খান
C
রিজিয়া রহমান
D
সেলিনা হোসেন
রাজিয়া খান
- রাজিয়া খান আমিন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন।
- অধ্যাপনা করলেও সাহিত্যের অঙ্গনেও তাঁর সমান পদচারণা ছিল।
- সাহিত্যকর্মে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে।
- তাঁর সাড়া জাগানো বই ‘বটতলার উপন্যাস’।

উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; 'বটতলার উপন্যাস' এবং বিবিসি নিউজ বাংলা।

0
Updated: 2 months ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা নয় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সিন্দবাদ
B
পাঞ্জেরী
C
মহরম
D
আউলাদ
ফররুখ আহমদ মুসলিম জাগরণের এক প্রভাবশালী কবি, যিনি তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেন। এই কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে, এবং এতে মোট ১৯টি কবিতা সংকলিত আছে। গ্রন্থটির শেষ কবিতাটির নামও ‘সাত সাগরের মাঝি’।
কবিতাগুলো হলো
-
সিন্দবাদ
-
বা'র দরিয়ায়
-
দরিয়ায় শেষ রাত্রি
-
শাহরিয়ার
-
আকাশ-নাবিক
-
বন্দরে সন্ধ্যা
-
ঝরোকা’য়
-
ডাহুক
-
এই সব রাত্রি
-
পুরানো মাজারে
-
পাঞ্জেরী
-
স্বর্ণ-ঈগল
-
লাশ
-
তুফান
-
হে নিশান-বাহী!
-
নিশান
-
নিশান-বরদার
-
আউলাদ
-
সাত সাগরের মাঝি
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি, যিনি ইসলামী চেতনা, মানবতা এবং সামাজিক পরিবর্তনের বার্তা তাঁর কবিতায় তুলে ধরেছেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘লাশ’ কবিতার মাধ্যমে তিনি প্রথম সাহিত্যজগতে খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি তাঁর বিখ্যাত কাহিনি কাব্য ‘হাতেমতায়ী’-এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার পান এবং একই বছরে ‘পাখির বাসা’ শিশুতোষ গ্রন্থের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
ফররুখ আহমদ রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুর কাহিনী

0
Updated: 2 weeks ago
'আমাদের সংস্কৃতি' প্রবন্ধের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
আবু জাফর শামসুদ্দিন
B
আনিসুজ্জামান
C
আবুল হাসান
D
মুহাম্মদ এনামুল হক
‘আমাদের সংস্কৃতি’ আনিসুজ্জামান রচিত একটি প্রবন্ধ, যা বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের উৎসব’ (২০০৮) গ্রন্থ থেকে সংকলিত। প্রবন্ধটিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাঙালির জীবনচেতনাকে কেন্দ্র করে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে উঠে এসেছে, কীভাবে আদিকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত বাংলার সংস্কৃতিতে বিশ্বের নানা জাতির প্রভাব মিলিত হয়েছে এবং তা আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও বহুমাত্রিক করেছে। সেই সঙ্গে প্রবন্ধে জোর দেওয়া হয়েছে বাংলার প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমাদের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ও লোকসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়। প্রবন্ধে সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা, মাটির ভাস্কর্য, কারুশিল্প ও বয়ন শিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। মূলত প্রবন্ধটি বাঙালি ও বাংলা অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, লোকসংস্কৃতি, মানবিকতাবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বিদ্রোহী ভাবনা সম্পর্কে পাঠককে সচেতন করে।
আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শুরু হয় ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুল থেকে এবং পরবর্তীতে তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে আই.এ. এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। সাহিত্য ও গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ২০২০ সালের ১৪ মে মৃত্যুবরণ করেন।
আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
মুসলিম বাংলার সাময়িক পত্র
-
স্বরূপের সন্ধানে
-
আঠারো শতকের বাংলা চিঠি
-
পুরোনো বাংলা গদ্য

0
Updated: 2 weeks ago