A
বিশ্বস্ততা
B
সৃজনশীলতা
C
নিরপেক্ষতা
D
জবাবদিহিতা
উত্তরের বিবরণ
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সৃজনশীলতার গুরুত্ব ও সুশাসন
সুশাসন হলো এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সঠিক ও ন্যায্যভাবে প্রয়োগ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জনগণ সরকারের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত থাকে এবং নারী-পুরুষ সমানভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে।
সুশাসন কেবল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাই নয়, বরং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুশাসন
আমাদের দেশে এখনও পূর্ণ সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
-
পুঁজিবাদের সঠিক বিকাশ হয়নি।
-
দাঙ্গা, হরতাল, অবরোধ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
-
আন্তর্জাতিক সূচকে দুর্নীতি এখনো বেশ উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান।
-
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে, তবুও সার্বিকভাবে সুশাসনের মান এখনো সন্তোষজনক নয়।
সুশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
সাধারণভাবে সুশাসন একটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এতে জনগণ আত্মনির্ভরশীল হয় এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হলে সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ নিশ্চিত হয়। তাই সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক।
এটি মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন → গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
-
অর্থনৈতিক সুশাসন → মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণ
-
সামাজিক-সাংস্কৃতিক সুশাসন → সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ
-
প্রযুক্তিগত সুশাসন → বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার
সুশাসনের প্রধান উপাদান
১. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
২. জনগণের অংশগ্রহণ
৩. আইনের শাসন
৪. নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা
৫. উন্নত জনপ্রশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণ
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 2 days ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 5 days ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 5 days ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 5 days ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 5 days ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
C
সামাজিক উন্নয়ন
D
সবগুলোই
সুশাসনের ধারণা ও এর পূর্বশর্ত
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শাসন ও সুশাসন:
-
শাসন বলতে বোঝায় ক্ষমতার প্রয়োগ, জনগণের চাহিদা-দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া এবং একটি জনসমষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়া।
-
এটি কোনো নতুন বিষয় নয়; শাসন ধারণা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই বিদ্যমান।
-
বিশ্বজুড়ে শাসনের অর্থ ও সীমা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন কীভাবে বোঝা যায়
-
এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যক্রম নয়, বরং জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।
-
সুশাসনের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ রক্ষা পায়।
-
সুশাসন বহুমাত্রিক ধারণা; সাধারণত এটি চারটি অংশে বিভক্ত হয়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যায়, যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন এবং যৌথ শাসন। আজকের দিনে সুশাসনকে দেশের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 5 days ago