A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
উত্তরের বিবরণ
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 days ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 5 days ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 5 days ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 5 days ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago
একজন জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ হলো-
Created: 5 days ago
A
স্বাধীনতা
B
ক্ষমতা
C
কর্মদক্ষতা
D
জনকল্যাণ
জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ: জনকল্যাণ
জনপ্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের সাফল্য ও স্থায়িত্ব প্রধানত জনমতের উপর নির্ভরশীল। কারণ:
-
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সরকার জনমতের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
-
সরকার ও শাসক জনমতকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
-
সদা সচেতন জনমত স্বেচ্ছাচার রোধ করে এবং গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।
জনমতের প্রভাব সরকারের কাজকর্মে:
-
জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জনমত মুখ্য ভূমিকা রাখে।
-
জনকল্যাণমূলক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকার জনমতের দিকে লক্ষ্য রাখে।
-
জনমতের চাপের ফলে সরকার প্রগতিশীল ও যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
-
জনমত সরকারের প্রতি ইতিবাচক থাকলে সরকার দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনেও জনমতের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 5 days ago