A
সত্য ও ন্যায়
B
সার্থকতা
C
শঠতা
D
অসহিষ্ণুতা
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ
-
Value শব্দটি মূল্যবোধের ইংরেজি প্রতিশব্দ।
-
মানুষের চিন্তা-ভাবনা, উদ্দেশ্য, সংকল্প, আদর্শ ও জীবনের লক্ষ্য একসাথে মিলে তার আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে পরিচালনা করে—এসবের সমষ্টিকেই মূল্যবোধ বলা হয়।
-
মূল্যবোধের মাধ্যমেই আমরা ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা, সততা, সৌজন্যবোধ, শিষ্টাচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি বিচার করতে পারি।
-
আমাদের স্থায়ী বা চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়।
-
বিপরীতে, শঠতা, অসহিষ্ণুতা, অসততা ইত্যাদি হলো চিরন্তন মূল্যবোধের বিরোধী বৈশিষ্ট্য।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, ১ম পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি), প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 2 days ago
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি কী?
Created: 1 week ago
A
আইনের শাসন
B
নৈতিকতা
C
সাম্য
D
উপরের সবগুলো
সামাজিক মূল্যবোধ ও এর ভিত্তি
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের সেই চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও অভ্যাস, যা তাদের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষকে সমাজের কল্যাণে কাজ করতে প্রেরণা দেয় এমন নীতিমালা ও আচরণবিধি।
ফ্রান্সিস ই. মেরিল অনুযায়ী,
“সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের দলগত কল্যাণের জন্য এমন আচরণ বজায় রাখা, যা তারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।”
উদাহরণস্বরূপ, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, শিষ্টাচার, বড়দের সম্মান, সহনশীলতা, দানশীলতা ও আতিথেয়তা সামাজিক মূল্যবোধের অংশ।
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান
সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে যে মৌলিক ভিত্তিগুলো কাজ করে তা হলো:
-
আইনের শাসন: সমাজে আইন মেনে চলা।
-
নৈতিকতা: সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝা।
-
সাম্য: সকলের মধ্যে সমতা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
-
ন্যায়বিচার: অন্যের প্রতি ন্যায়পরায়ণ আচরণ।
-
ঔচিত্যবোধ: সামাজিক ও নৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক আচরণ।
-
শৃঙ্খলাবোধ: নিয়ম এবং কর্তব্য মানা।
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা: অন্যের অনুভূতি ও দুর্দশা বুঝতে পারা।
-
শ্রমের মর্যাদা: পরিশ্রমকে সম্মান করা।
-
নাগরিক চেতনা ও কর্তব্যবোধ: সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ।
মূল্যবোধের শ্রেণিবিভাগ
মূল্যবোধকে বিভিন্ন দিক থেকে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়:
-
সামাজিক মূল্যবোধ
-
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
-
ধর্মীয় মূল্যবোধ
-
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
-
আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ
-
আধুনিক মূল্যবোধ
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
মূল্যবোধ (Values) কী?
Created: 1 week ago
A
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
B
শুধুমাত্র মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাদি নির্ধারণের দিক নির্দেশনা
C
সমাজ জীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় মনোভাব
D
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
মূল্যবোধ (Values)
মূল্যবোধ বলতে এমন সব চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প ও আদর্শকে বোঝায়, যা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত এবং কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি হলো মানুষের আচার-আচরণ ও নৈতিক সিদ্ধান্তের মানদণ্ড।
মূল উৎস:
-
পারিবারিক উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধ শেখার প্রাথমিক ও প্রধান উৎস। শিশু প্রথমে পরিবার থেকেই নৈতিকতা ও শিষ্টাচার শিখতে শুরু করে।
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস: বিদ্যালয় হলো আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শেখার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
মূল্যবোধের উপাদান:
-
সামাজিক রীতিনীতি ও প্রথা
-
ধর্ম
-
সমাজের আদর্শ ও নীতি
মূল্যবোধের পরিবর্তনশীলতা:
-
সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়। আধুনিক মূল্যবোধ বলতে সমাজের বর্তমান চাহিদা ও পরিবর্তনকে বোঝায়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আগে বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল, এখন এটি অগ্রহণযোগ্য।
-
কিছু নৈতিক গুণাবলীর বিপরীত যেমন সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা চিরন্তনভাবে নিন্দনীয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথমপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 1 week ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.

0
Updated: 1 week ago