"সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সঙ্গে সুশীল সমাজের, সরকারের সঙ্গে শাসিত জনগণের, শাসকের সঙ্গে শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়"- উক্তিটি কার?
A
এরিস্টটল
B
জন স্টুয়ার্ট মিল
C
ম্যাককরনী
D
মেকিয়াভেলি
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (GOOD GOVERNANCE)
ম্যাককরনী (Mac' Corney) বলেছেন যে, ‘সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বোঝায়।'
- মোটকথা, প্রশাসনের যদি জবাবদিহিতা (Accountability), বৈধতা (Legilimacy), স্বচ্ছতা (Transparency) থাকে, এতে যদি অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে, বাকস্বাধীনতাসহ সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুরক্ষার ব্যবস্থা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের অনুশাসন (Rule of law), আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের জবাবদিহিতা বা দায়িত্বশীলতার নীতি কার্যকর থাকে তাহলে সে শাসনকে ‘সুশাসন' (Good Governance) বলে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
কোন প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা দেয়?
Created: 2 weeks ago
A
Governance and Politics
B
Governance and Development
C
Development Report
D
World Governance Index
সুশাসন
-
বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো সুশাসন, যা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন সর্বপ্রথম সুশাসন (Good Governance) ধারণা ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংক Governance and Development রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে, যেখানে শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি প্রধান স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
এই চারটি স্তম্ভ হলো:
১. দায়িত্বশীলতা
২. স্বচ্ছতা
৩. আইনী কাঠামো
৪. অংশগ্রহণ

0
Updated: 2 weeks ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
প্লেটো কয়টি সদগুনের কথা উল্লেখ করেছেন?
Created: 1 week ago
A
৫টি
B
৪টি
C
৮টি
D
৩টি
সদগুণ সম্পর্কে প্লেটো চারটি প্রধান সদগুণ উল্লেখ করেছেন: প্রজ্ঞা, সাহস, মিতাচার ও ন্যায়।
-
এর মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অত্যাবশ্যকীয় সদগুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
অন্য তিনটি সদগুণের অস্তিত্ব থাকলে ন্যায়ের সদগুণের উদ্ভব সম্ভব হয়।
উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ:
-
অ্যারিস্টটল সদগুণ উদ্ভবের কারণ হিসেবে জীবনে মধ্যপথ অবলম্বনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন।
-
এটি একজন ব্যক্তিকে একই নীতি অনুসরণ করে ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপনে অনুপ্রাণিত করে।
-
এভাবে সদগুণ মনুষ্য-সমাজের বাইরেও নৈতিকতা বিস্তৃত করে।

0
Updated: 1 week ago