A
দায়িত্বশীলতা
B
নৈতিকতা
C
দক্ষতা
D
সরলতা
উত্তরের বিবরণ
নৈতিকতা: যোগ্য প্রশাসক ও ব্যবস্থাপকের শ্রেষ্ঠ গুণ
একজন দক্ষ প্রশাসক ও ভালো ব্যবস্থাপকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো নৈতিকতা। কারণ নৈতিকতা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব পালনে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
নৈতিকতার বৈশিষ্ট্য
-
নৈতিকতা হলো মানুষের ভেতরের ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধের সমষ্টি।
-
এটি একটি মানসিক বিষয়, যা মানুষের চিন্তা ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
বিবেক ও মানবিক মূল্যবোধ নৈতিকতাকে পরিচালিত করে।
-
নৈতিকতা ব্যক্তিগত জীবন যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি সমাজজীবনকেও প্রভাবিত করে।
-
তাই নৈতিকতাকে মানবজীবনের অন্যতম নৈতিক আদর্শ বলা হয়।
দার্শনিক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
সক্রেটিস বলেছেন: “সৎ গুণই জ্ঞান” (Virtue is knowledge)।
-
জোনাথান হেইট (Jonathan Haidt)-এর মতে, নৈতিকতার উৎস হলো ধর্ম, ঐতিহ্য ও মানবীয় আচরণ।
-
নীতিবিদ ম্যুর বলেছেন: শুভর প্রতি ভালোবাসা এবং অশুভর প্রতি বিরাগই নৈতিকতার মূল ভিত্তি।
-
Collins English Dictionary-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী: “Morality is concerned with human behaviour, especially the distinction between good and bad and right and wrong behaviour.”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 2 days ago
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে কোন মূল্যবোধটি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
Created: 2 days ago
A
বিশ্বস্ততা
B
সৃজনশীলতা
C
নিরপেক্ষতা
D
জবাবদিহিতা
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সৃজনশীলতার গুরুত্ব ও সুশাসন
সুশাসন হলো এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সঠিক ও ন্যায্যভাবে প্রয়োগ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জনগণ সরকারের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত থাকে এবং নারী-পুরুষ সমানভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে।
সুশাসন কেবল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাই নয়, বরং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুশাসন
আমাদের দেশে এখনও পূর্ণ সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
-
পুঁজিবাদের সঠিক বিকাশ হয়নি।
-
দাঙ্গা, হরতাল, অবরোধ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
-
আন্তর্জাতিক সূচকে দুর্নীতি এখনো বেশ উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান।
-
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে, তবুও সার্বিকভাবে সুশাসনের মান এখনো সন্তোষজনক নয়।
সুশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
সাধারণভাবে সুশাসন একটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এতে জনগণ আত্মনির্ভরশীল হয় এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হলে সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ নিশ্চিত হয়। তাই সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক।
এটি মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন → গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
-
অর্থনৈতিক সুশাসন → মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণ
-
সামাজিক-সাংস্কৃতিক সুশাসন → সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ
-
প্রযুক্তিগত সুশাসন → বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার
সুশাসনের প্রধান উপাদান
১. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
২. জনগণের অংশগ্রহণ
৩. আইনের শাসন
৪. নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা
৫. উন্নত জনপ্রশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণ
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 2 days ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 5 days ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 5 days ago
মূল্যবোধ (Values) কী?
Created: 1 week ago
A
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
B
শুধুমাত্র মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাদি নির্ধারণের দিক নির্দেশনা
C
সমাজ জীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় মনোভাব
D
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
মূল্যবোধ (Values)
মূল্যবোধ বলতে এমন সব চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প ও আদর্শকে বোঝায়, যা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত এবং কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি হলো মানুষের আচার-আচরণ ও নৈতিক সিদ্ধান্তের মানদণ্ড।
মূল উৎস:
-
পারিবারিক উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধ শেখার প্রাথমিক ও প্রধান উৎস। শিশু প্রথমে পরিবার থেকেই নৈতিকতা ও শিষ্টাচার শিখতে শুরু করে।
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস: বিদ্যালয় হলো আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শেখার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
মূল্যবোধের উপাদান:
-
সামাজিক রীতিনীতি ও প্রথা
-
ধর্ম
-
সমাজের আদর্শ ও নীতি
মূল্যবোধের পরিবর্তনশীলতা:
-
সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়। আধুনিক মূল্যবোধ বলতে সমাজের বর্তমান চাহিদা ও পরিবর্তনকে বোঝায়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আগে বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল, এখন এটি অগ্রহণযোগ্য।
-
কিছু নৈতিক গুণাবলীর বিপরীত যেমন সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা চিরন্তনভাবে নিন্দনীয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথমপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago