নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান কি?
A
সততা ও নিষ্ঠা
B
কর্তব্যপরায়ণতা
C
মায়া ও মমতা
D
উদারতা
উত্তরের বিবরণ
নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান সততা ও নিষ্ঠা।
নৈতিকতা (Morality):
- Morality শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Moralitas থেকে।
- নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে।
- নৈতিক অনুশাসনের প্রভাবে মানুষ আইন মানে, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে না এবং রাষ্ট্রের অনুশাসনকে শ্রদ্ধা করে।
- বিবেক, চিন্তা, বুদ্ধি ও ন্যায়পরায়ণতা হচ্ছে নৈতিকতার উৎস।
- নৈতিকতা বিকাশের লালন ক্ষেত্র সমাজ।
- নৈতিকতার মানকে আদর্শ করে উপযুক্ত শিক্ষা।
- নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান হলো সততা ও নিষ্ঠা।
- নৈতিকতা বলতে আমরা বুঝি মানুষের সদাচরণ, সচ্চরিত্র, সততা ও নিষ্ঠার বহিঃপ্রকাশ।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
কোন মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
ইতিবাচক মূল্যবোধ
C
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
D
নৈতিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হলো সেই চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও সংকল্প যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষের দৈনন্দিন আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
এই মূল্যবোধ নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহনশীলতা এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের উপরে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।
-
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের অন্যের মতামত ও মনোভাবকে শ্রদ্ধা করতে হয়।
-
রাষ্ট্রের নাগরিকরা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিতে বাধ্য।
-
নাগরিকরা পারস্পরিক সুখ ও দুঃখে একত্রে সমর্থন ও সহায়তা প্রদর্শন করে।
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত।
-
এর ভিত্তি উদারতাবাদ।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রভাব:
-
রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের বিকাশ।
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা।
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধা এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ।
-
বিরোধী মত প্রকাশ ও প্রসারের সুযোগ প্রদান।
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মানসিকতা গঠন।
-
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত এবং এটি ইতিবাচক বা সামাজিক মূল্যবোধ থেকে পৃথক, কারণ সামাজিক মূল্যবোধ দেশ বা সমাজ অনুযায়ী ভিন্ন রূপে প্রকাশ পায়।

0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 2 weeks ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসনের স্তম্ভ হিসেবে ‘দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো ও অংশগ্রহণ’—এই নীতি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রবর্তন করেছিল?
Created: 3 weeks ago
A
জাতিসংঘ
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
বিশ্বব্যাংকের মতে, “Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
-
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথমবার সুশাসনের ধারণা প্রদান করে ১৯৮৯ সালে।
অন্যান্য তথ্য:
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
চারটি স্তম্ভ হলো: দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো, অংশগ্রহণ।

0
Updated: 3 weeks ago