কোনটি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়?
A
পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ
B
আইনের শাসন
C
সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ
D
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চিতকরণ
উত্তরের বিবরণ
নৈতিক মূল্যবোধ ও ন্যায়পরায়ণতা
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেই মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণময় এবং অপরিহার্য মনে করে এবং মানসিক তৃপ্তি লাভ করে।
এর মূল উৎস হলো পরিবার। শিশু প্রথম নৈতিক শিক্ষা যেমন সত্য বলার গুরুত্ব, অন্যায় থেকে বিরত থাকা, দুঃস্থকে সাহায্য করা—এসব পরিবার থেকে শেখে।
নৈতিক মূল্যবোধের মূল দিকসমূহ:
-
নীতি ও উচিত-অনুচিতের বোধ
-
অন্যায় থেকে বিরত থাকা
-
সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
দুঃস্থ বা অসহায়কে সহায়তা করা
ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি:
-
পুরস্কার ও শাস্তিতে সমতার নীতি প্রয়োগ
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করা
-
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চয়তা প্রদান
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
সুশাসনের জন্য শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ করা ভালো, কিন্তু এটি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়। ন্যায়পরায়ণতা মূলত নৈতিক মূল্যবোধ ও নীতি ভিত্তিক আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।,নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
আধুনিক বিশ্ব কোন মূল্যবোধকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে?
Created: 3 weeks ago
A
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
B
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
সামাজিক মূল্যবোধ
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ (Personal Values)
-
আধুনিক বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় ব্যক্তিগত মূল্যবোধে।
-
এটি ব্যক্তির স্বাধীনতাকে লালন করে।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ হলো ব্যক্তির আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণে তার নিজস্ব কিছু নীতি, যা তার রুচি, বিশ্বাস, মনোভাব, ধারণা ও নীতি-নৈতিকতা থেকে উদ্ভূত।
-
প্রতিটি শিশুই ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নিয়ে জন্মায় এবং পরিবার থেকেই সে এর শিক্ষা লাভ করে।
-
ব্যক্তির ব্যক্তিজীবন তার মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়।

0
Updated: 3 weeks ago
মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করার প্রধান নিয়ামক কী?
Created: 2 weeks ago
A
আইন
B
ধর্ম
C
রাজনীতি
D
শিক্ষা
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা আচরণের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
-
এটি কতগুলো মনোভাবের সমন্বয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাস।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা হলো সেই শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা, সততা ও ন্যায়বিচারের মতো মূল্যবোধ জাগ্রত ও সুদৃঢ় হয়।
-
মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে।
-
জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা লাভ শুরু করে যা জীবনের শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে, তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা ও প্রভাবের ধরন পরিবর্তিত হতে পারে।
-
একটি দেশের সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের মাপকাঠি হিসেবে মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো -
Created: 1 month ago
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
নিয়মিত কর প্রদান করা
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক শুধু অধিকার ভোগ করবে এমন নয়, বরং তার বিনিময়ে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করতে হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল সরকারের একার কাজ নয়, বরং জনগণেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কারণ, যদি জাতি কর্তব্যবিমুখ হয় তবে তারা কখনোই উন্নতি করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি নাগরিকের কিছু মৌলিক কর্তব্য রয়েছে, যেমন:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।
-
আইন মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা।
-
সন্তানদের সঠিক শিক্ষা প্রদান।
-
দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা।
-
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
-
সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকা।
-
সংবিধান মেনে চলা।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হওয়া।
-
উদার ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা।
➡️ সারসংক্ষেপে বলা যায়: সুশাসন কেবল সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই এটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago