ক্লাউড সার্ভার নিচের কোনটিতে সবচেয়ে ভালো বর্ণনা করা সম্ভব?
A
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত একাধিক কম্পিউটার সার্ভার
B
একটি বিশাল ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার সার্ভার
C
ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটিং সেবা দেয়া
D
উপরের কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
ক্লাউড কম্পিউটিং
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার করে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন সার্ভিস বা সেবা প্রদান করার প্রক্রিয়া।
অর্থাৎ, ব্যবহারকারী সরাসরি হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার স্থাপন না করেই অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটিং সুবিধা পেতে পারে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
-
১৯৬০ সালে জন ম্যাকার্থি প্রথম ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার কথা উল্লেখ করেন।
-
২০০৫ সালে Amazon.com তাদের Elastic Compute Cloud (EC2) ব্যবহার শুরু করে।
-
২০০৬ সালে Amazon Web Services (AWS) বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড সেবা চালু করে।
NIST অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল বৈশিষ্ট্য:
১. Resource Flexibility / Scalability:
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী সেবা বাড়ানো বা কমানো যায়।
২. On Demand: -
ব্যবহারকারী যখন চাইবে, তখনই সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
৩. Pay as you go: -
ব্যবহারকারী যা ব্যবহার করবে, কেবল তার জন্যই পেমেন্ট দিতে হবে; আগে থেকে কিছু রিজার্ভ করতে হবে না।
উপসংহার:
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল সুবিধা হলো “ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটিং সেবা প্রদান”।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান।

0
Updated: 1 month ago
ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Google Drive
B
pCloud
C
Mega
D
Slack
• ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম হলো এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারী তাদের ফাইল, ডকুমেন্ট, ছবি বা অন্যান্য ডেটা অনলাইনে সংরক্ষণ করতে পারে এবং যেকোনো সময়, যেকোনো ডিভাইস থেকে তা অ্যাক্সেস করতে পারে
• Google Drive, pCloud এবং Mega স্পষ্টভাবে ক্লাউড স্টোরেজ সেবা প্রদান করে, যেখানে ব্যবহারকারী ফাইল আপলোড, ডাউনলোড ও শেয়ার করতে পারে
• Slack মূলত একটি কমিউনিকেশন এবং দলবদ্ধ সহযোগিতা (collaboration) প্ল্যাটফর্ম, যা চ্যাট, মেসেজিং এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়; তাই Slack সরাসরি ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম নয়
• ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা
• ২০০৬ সালে Amazon Web Services বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার শুরু করে
• উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ক্লাউড স্টোরেজ: Mega, Dropbox, OneDrive, Google Drive
• সেবার ধরন অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: অবকাঠামোগত সেবা, প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক সেবা, সফটওয়্যার সেবা
• ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য: Resource Scalability, On Demand, Pay as you go
• উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান

0
Updated: 1 month ago
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের অবকাঠামোগত সেবা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
SaaS
B
IaaS
C
PaaS
D
Raas
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে অবকাঠামোগত সেবা (IaaS) হলো এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারীকে নেটওয়ার্ক, CPU, স্টোরেজ ইত্যাদি ক্লাউড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান প্রদান করে, আর ব্যবহারকারী নিজে অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার ইনস্টল ও চালাতে পারেন।
IaaS (Infrastructure as a Service)
-
এটি ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের Infrastructure ভিত্তিক সেবা।
-
ব্যবহারকারী হার্ডওয়্যার মেইনটেইন না করেও নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনা করতে পারেন।
উদাহরণ
-
Amazon EC2
-
Google Cloud Storage
-
Rackspace
অন্যান্য ক্লাউড সেবা
SaaS (Software as a Service)
-
এটি একটি সম্পূর্ণ সফটওয়্যার সেবা, যেখানে ব্যবহারকারী সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সফটওয়্যার ব্যবহার করেন।
-
আলাদা করে ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় না।
-
উদাহরণ: Google Docs, Microsoft 365, Yahoo! Mail, Zoho
PaaS (Platform as a Service)
-
এটি একটি প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা, যেখানে ডেভেলপাররা নিজের অ্যাপ তৈরি ও চালাতে পারেন।
-
সার্ভার বা OS মেইনটেইন করতে হয় না; ক্লাউড সেবাদাতা প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, OS, ডেটাবেস, ওয়েব সার্ভার ইত্যাদি প্রদান করে।
-
উদাহরণ: Google App Engine, Microsoft Azure App Services, Heroku, Salesforce Platform
RaaS ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের কোনো সেবা নয়।

0
Updated: 1 month ago
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সার্ভিস মডেল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অবকাঠামোগত
B
প্লাটফর্মভিত্তিক
C
সফটওয়্যার
D
উপরের সবগুলাে
ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস মডেল
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলো মূলত ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তিনটি প্রধান মডেলে প্রদান করা হয়। এগুলো হলো:
-
অবকাঠামোগত সেবা (Infrastructure as a Service – IaaS)
ব্যবহারকারী যদি নিজের অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালাতে চায়, তাহলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, প্রসেসর (CPU) ও অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে। ব্যবহারকারী এগুলো ভাড়া নিয়ে নিজের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। -
প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা (Platform as a Service – PaaS)
এই মডেলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেস এবং প্রোগ্রাম চালানোর পরিবেশ (execution environment) সরবরাহ করে। সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশনগুলো এই প্ল্যাটফর্মে সহজে চালাতে ও পরীক্ষা করতে পারে। -
সফটওয়্যার সেবা (Software/Application as a Service – SaaS)
এখানে ব্যবহারকারীরা ক্লাউড প্রদানকারীর তৈরি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। তাদের নিজস্ব কোন ইনস্টলেশন বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago