A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
ক্লোরিন
D
ব্রোমিন
উত্তরের বিবরণ
জারণ-বিজারণে জারক ও বিজারক পদার্থ
১. জারক পদার্থ (Oxidant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিডেন্ট বলে।
-
ইলেকট্রন গ্রহণ করার পর জারক নিজেই বিজারিত (কম্পাউন্ড বা পদার্থ কম আয়ন বা কম শক্তিশালী অবস্থায় আসে) হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন গ্রহণের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
উদাহরণ:
SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂
২. বিজারক পদার্থ (Reductant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন দানে সক্ষম, তাকে বিজারক বা রিডাক্ট্যান্ট বলে।
-
ইলেকট্রন দানের পর বিজারক নিজেই জারিত হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন দানের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
উদাহরণ:
H, Li, Na, K, Rb — এগুলো তীব্র বিজারক।
Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂ — এগুলোও বিজারক হিসেবে কাজ করে।
৩. বিশেষ কিছু মন্তব্য:
-
SO₂ একসাথে জারক ও বিজারক উভয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো কাজ করে, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় পরিবেশে এটি বিজারক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 days ago
রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়?
Created: 4 weeks ago
A
গামা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
কসমিক রশ্মি
D
রঞ্জন রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন ও রঞ্জন রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন থেকে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর রঞ্জন রশ্মি (X-ray জাতীয়) বের হতে পারে। তবে এই পরিমাণ খুবই কম, যা সাধারণভাবে মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং উপেক্ষাযোগ্য।
রঙিন টেলিভিশনে সাদাকালো টেলিভিশনের মতো একই ধরণের প্রধান যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। শুধু রঙিন ছবি দেখানোর জন্য এতে কিছু বাড়তি যন্ত্র যুক্ত থাকে।
রঙিন ছবি ধারণের জন্য টেলিভিশনের ক্যামেরায় লাল, সবুজ ও নীল রঙের জন্য আলাদা আলাদা ইলেকট্রন টিউব থাকে।
এছাড়া, রঙিন টিভির স্ক্রিনেও এই তিনটি রঙের (লাল, সবুজ, নীল) জন্য তিনটি ইলেকট্রন গান (electron gun) থাকে, যা স্ক্রিনে রঙিন ছবি তৈরি করে।
পর্দায় থাকে তিন রকম ফসফর দানা, যেগুলো আলাদা আলাদা রঙের আলো তৈরি করে।
যখন ইলেকট্রন গান থেকে বের হওয়া ইলেকট্রন এই দানাগুলোতে পড়ে, তখন প্রত্যেক ফসফর দানা তার নির্দিষ্ট রঙের আলো তৈরি করে। এইভাবে স্ক্রিনে লাল, সবুজ, নীল বিন্দু ফুটে ওঠে এবং সেগুলোর মিশ্রণে আমরা রঙিন ছবি দেখতে পাই।
তবে যখন ইলেকট্রন ফসফরের উপর আঘাত করে, তখন খুবই সামান্য পরিমাণে রঞ্জন রশ্মি নির্গত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 weeks ago
গ্রীনিচ মানমন্দির অবস্থিত-
Created: 2 weeks ago
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্রে
C
ফ্রান্সে
D
জার্মানিতে
গ্রীনিচ মানমন্দির
-
গ্রীনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
-
পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা (Prime Meridian বা ০° দ্রাঘিমারেখা) এই মানমন্দিরের উপর দিয়ে গেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে গ্রিনিচ মান সময় (GMT) বিশ্বে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
পরে ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক মান সময় হিসেবে UTC (Coordinated Universal Time) ব্যবহার শুরু হয়।
-
এখনো গ্রীনিচ মানমন্দির অফিসিয়াল টাইম জোন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ ও গ্রীনিচ সময়ের পার্থক্য
-
যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সময় সবসময় ৬ ঘণ্টা এগিয়ে।
-
কারণ পৃথিবীতে প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময় পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
-
বাংলাদেশ গ্রীনিচের পূর্ব দিকে ৯০° দ্রাঘিমায় অবস্থান করায় সময়ের পার্থক্য = ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট = ৬ ঘণ্টা।
উৎসঃ ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি এন্টিবায়োটিক?
Created: 2 weeks ago
A
ইনসুলিন
B
পেপসিন
C
পেনিসিলিন
D
ইথিলিন
পেনিসিলিন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ এন্টিবায়োটিক, যা জীবাণু নিধনে ব্যবহৃত হয়। এটি আবিষ্কার করেন সার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৯ সালে।
-
ডায়াবেটিস রোগ ঘটে যখন শরীরে ইনসুলিন হরমোনের অভাব থাকে।
-
পেপসিন হলো একটি এনজাইম, যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে।
-
ফলের পাকা প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে একটি ফাইটোহরমোন যার নাম ইথিলিন।
উৎস: ব্রিটানিকা অভিধান এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির উদ্ভিদবিজ্ঞান বই।

0
Updated: 2 weeks ago