A
যান্ত্রিকশক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর
B
তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
C
বিদ্যুৎশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
D
তাপশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর
উত্তরের বিবরণ
তাপীয় ইঞ্জিন
তাপীয় ইঞ্জিন হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বাষ্প ইঞ্জিন, পেট্রোল ইঞ্জিন, এবং ডিজেল ইঞ্জিন।
মূল বৈশিষ্ট্যগুলো
-
তাপীয় ইঞ্জিনে দুটি প্রধান অংশ থাকে: তাপ উৎস এবং তাপগ্রাহক।
-
ইঞ্জিন কোনো উচ্চ তাপমাত্রার উৎস থেকে তাপ গ্রহণ করে, তার একটি অংশকে কাজে রূপান্তরিত করে।
-
যে অংশ তাপে কাজ হয়নি, তা পরিবেশে বা শীতল বস্তুতে ছেড়ে দেয়।
-
ইঞ্জিন সবসময় একটি চক্র পূর্ণ করে, অর্থাৎ কাজ শেষে আবার প্রাথমিক অবস্থায় ফিরে আসে।
-
তাপ উৎসের তাপমাত্রা সর্বদা তাপগ্রাহকের চেয়ে বেশি হতে হবে, যাতে তাপ স্থানান্তর সম্ভব হয়।
উদাহরণ:
-
বাষ্প ইঞ্জিন
-
পেট্রোল ইঞ্জিন
-
ডিজেল ইঞ্জিন
সূত্র: পদার্থ বিজ্ঞান, প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 days ago
অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হল-
Created: 1 week ago
A
গ্লাইকোজেন
B
গ্লুকোজ
C
ফ্রুক্টোজ (Fructose)
D
সুক্রোজ
গ্লাইকোজেন
গ্লাইকোজেন হলো একটি পুষ্টিজাত পলিস্যাকারাইড যা প্রাণীদের প্রধান শক্তি সঞ্চিত রূপ।
-
যদিও এটি মূলত প্রাণীদেহে সঞ্চিত থাকে, কিছু সায়ানোব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক (যেমন ইস্ট) এর মধ্যেও দেখা যায়।
-
গ্লাইকোজেনের গঠনমূলক একক হলো α-D-গ্লুকোজ।
-
যখন গ্লাইকোজেন হাইড্রোলাইসিসের মাধ্যমে ভাঙা হয়, তখন কেবল α-D-গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।
-
এর আণবিক সূত্র হলো (C6H10O5)n।
গ্লাইকোজেনের কাজ:
-
লিভার এবং পেশিতে জমা থাকা গ্লাইকোজেন প্রয়োজনে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা শরীরকে কার্বন এবং শক্তি সরবরাহ করে।
-
রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: লিভারের গ্লাইকোজেন রক্তে গ্লুকোজ হিসেবে ছাড়ে, আর পেশিতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন পেশি কাজের জন্য শক্তি যোগায়।
অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত শর্করা হলো গ্লাইকোজেন।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
গ্রীনিচ মানমন্দির অবস্থিত-
Created: 2 weeks ago
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্রে
C
ফ্রান্সে
D
জার্মানিতে
গ্রীনিচ মানমন্দির
-
গ্রীনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
-
পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা (Prime Meridian বা ০° দ্রাঘিমারেখা) এই মানমন্দিরের উপর দিয়ে গেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে গ্রিনিচ মান সময় (GMT) বিশ্বে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
পরে ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক মান সময় হিসেবে UTC (Coordinated Universal Time) ব্যবহার শুরু হয়।
-
এখনো গ্রীনিচ মানমন্দির অফিসিয়াল টাইম জোন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ ও গ্রীনিচ সময়ের পার্থক্য
-
যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সময় সবসময় ৬ ঘণ্টা এগিয়ে।
-
কারণ পৃথিবীতে প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময় পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
-
বাংলাদেশ গ্রীনিচের পূর্ব দিকে ৯০° দ্রাঘিমায় অবস্থান করায় সময়ের পার্থক্য = ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট = ৬ ঘণ্টা।
উৎসঃ ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 2 weeks ago
প্রবল জোয়ারের কারণ, যখন-
Created: 2 weeks ago
A
সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে সমকোণে অবস্থান করে
B
চন্দ্র পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে
C
পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে
D
সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যথাক্রমে এক সরলরেখায় অবস্থান করে
জোয়ার-ভাটা ও তার কারণ
-
সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে ওঠা ও নামার ঘটনাকে জোয়ার-ভাটা বলা হয়। পানি ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নামাকে ভাটা বলা হয়।
-
এই ঘটনার মূল কারণ হলো চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্টি হওয়া কেন্দ্রাতিগ শক্তি।
-
জোয়ার-ভাটা মূলত দুই কারণে ঘটে:
১. মহাকর্ষণ শক্তির প্রভাব
২. কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব -
যখন চন্দ্র, সূর্য এবং পৃথিবী এক সরলরেখায় থাকে, তখন তাদের আকর্ষণের মিলিত প্রভাবের কারণে জোয়ার খুবই প্রবল হয়।
-
বিশেষ করে অমাবস্যার সময়, চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই পাশে অবস্থান করে। এই অবস্থায় সূর্যের আকর্ষণ, যদিও চন্দ্রের চেয়ে কম, চন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে জোয়ারকে আরও শক্তিশালী করে।
উৎস: ভূগোল-১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago