MERCOSUR কোন অঞ্চলের অর্থনৈতিক জোট?
A
আফ্রিকা
B
মধ্য এশিয়া
C
দক্ষিণ আমেরিকা
D
ওশেনিয়া
উত্তরের বিবরণ
MERCOSUR (Mercado Común del Sur) বা দ্য সাউদার্ন কমন মার্কেট
MERCOSUR হলো দক্ষিণ আমেরিকার একটি আঞ্চলিক বাণিজ্যিক জোট, যার মূল লক্ষ্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
-
প্রতিষ্ঠা:
MERCOSUR গঠিত হয় ১৯৯১ সালে "আসুনসিয়ন চুক্তি"র মাধ্যমে, তবে এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। -
সদস্য রাষ্ট্র:
বর্তমানে MERCOSUR-এর ৫টি পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে:-
ব্রাজিল
-
আর্জেন্টিনা
-
উরুগুয়ে
-
প্যারাগুয়ে
-
বলিভিয়া
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভেনেজুয়েলা পূর্বে MERCOSUR-এর সদস্য ছিল, তবে বর্তমানে এর সদস্যপদ স্থগিত রয়েছে।
-
-
সদরদপ্তর:
MERCOSUR-এর সদরদপ্তর অবস্থিত মন্টিভিডিও, উরুগুয়েতে।
উৎস: MERCOSUR-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 5 months ago
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট কোনটি?
Created: 6 days ago
A
EU
B
WTO
C
NATO
D
FIFA
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে।
-
সদর দফতর ব্রাসেলসে, বেলজিয়ামে অবস্থিত।
-
প্রথমে ৬টি দেশ মিলে শুরু করেছিলো।
-
বর্তমানে ২৭টি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একত্রিত হওয়ার প্রয়োজন বুঝেছিলো।
-
১৮ এপ্রিল ১৯৫১-এ প্যারিসে “ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত পরিষদ” (ECSE) গঠিত হয়।
-
২৫ মার্চ ১৯৫৭-এ ছয়টি দেশ — বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, ফ্রান্স ও পশ্চিম জার্মানি — ‘রোম চুক্তি’ স্বাক্ষর করে।
-
এই চুক্তির মাধ্যমে ১৭ জানুয়ারি ১৯৫৮-এ “ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়” (EEC) এবং “ইউরাটম” প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
পরে ১৯৬৫ সালে ‘ব্রাসেলস চুক্তি’ অনুসারে EEC-কে “ইউরোপীয় কমিউনিটি” (EC) নাম দেয়া হয়।
-
১৯৯২ সালে ‘ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়ে EC থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) গঠন করা হয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা হলো ইউরো।
-
ইউরো মুদ্রার আবিষ্কারক রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইউরো মুদ্রা প্রথম ১ জানুয়ারি ১৯৯৯-এ প্রচলন শুরু করে।
-
EU-র সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য “FRONTEX” নামের একটি বাহিনী আছে।
অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা
-
WTO: বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সংস্থা।
-
NATO: একটি সামরিক সহযোগিতার জোট।
-
FIFA: আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।
উৎস: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 6 days ago
বর্তমানে অর্থনীতির ব্যাপ্তি অনুসারে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট কোনটি?
Created: 1 month ago
A
EU
B
WTO
C
RCEP
D
AU
বর্তমান সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট হলো RCEP, যা আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হিসেবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলছে। এই জোটের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করছে।
RCEP
-
পূর্ণরূপ: Regional Comprehensive Economic Partnership
-
সংজ্ঞা: RCEP হলো Association of Southeast Asian Nations (ASEAN) এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
-
স্বাক্ষর তারিখ: ১৫ নভেম্বর, ২০২০
-
কার্যকর হয়: ১ জানুয়ারি, ২০২২
-
স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ: ১৫টি দেশ — চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার
অর্থনীতির ব্যাপ্তি:
-
বৈশ্বিক GDP-এর প্রায়: ৩০%
-
বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায়: ৩০% (প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ)
-
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায়: ২৮.৮%
তুলনায় অন্যান্য অর্থনৈতিক জোট:
-
EU (European Union): বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট নয়, যদিও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
-
বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ৫.৬% (প্রায় ৪৪৮ মিলিয়ন)
-
বৈশ্বিক GDP-এর প্রায় ১৪.৭%
-
-
WTO (World Trade Organization): এটি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, অর্থনৈতিক জোট নয়।
-
AU (African Union): আফ্রিকান ইউনিয়ন, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংগঠন, কিন্তু অর্থনৈতিক শক্তি তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
0
Updated: 1 month ago
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) প্রথম দেশ হিসেবে কোন দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র–বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে?
Created: 1 month ago
A
ইতালি
B
সুইডেন
C
স্লোভেনিয়া
D
ডেনমার্ক
স্লোভেনিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র সম্পর্কিত সকল লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নিষিদ্ধ কার্যক্রম: অস্ত্র আমদানি, রপ্তানি ও পরিবহন।
-
প্রেক্ষাপট: ইসরায়েলের মন্ত্রীদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দুই সপ্তাহ পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
-
সরকারি তথ্য: স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসটিএ সরকারি বিবৃতি উদ্ধৃত করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
-
বিশেষ তাৎপর্য: গাজায় চলমান যুদ্ধে ইউরোপে প্রথম দেশ হিসেবে স্লোভেনিয়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিল।
-
পূর্ববর্তী পদক্ষেপ: গত বছরের জুনে স্লোভেনিয়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
0
Updated: 1 month ago