কোনটি জারক পদার্থ নয়?
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
ক্লোরিন
D
ব্রোমিন
উত্তরের বিবরণ
জারণ-বিজারণে জারক ও বিজারক পদার্থ
১. জারক পদার্থ (Oxidant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিডেন্ট বলে।
-
ইলেকট্রন গ্রহণ করার পর জারক নিজেই বিজারিত (কম্পাউন্ড বা পদার্থ কম আয়ন বা কম শক্তিশালী অবস্থায় আসে) হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন গ্রহণের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
উদাহরণ:
SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂
২. বিজারক পদার্থ (Reductant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন দানে সক্ষম, তাকে বিজারক বা রিডাক্ট্যান্ট বলে।
-
ইলেকট্রন দানের পর বিজারক নিজেই জারিত হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন দানের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
উদাহরণ:
H, Li, Na, K, Rb — এগুলো তীব্র বিজারক।
Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂ — এগুলোও বিজারক হিসেবে কাজ করে।
৩. বিশেষ কিছু মন্তব্য:
-
SO₂ একসাথে জারক ও বিজারক উভয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো কাজ করে, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় পরিবেশে এটি বিজারক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি বেকিং পাউডারের মূল উপাদানের সংকেত?
Created: 1 month ago
A
CaCO3
B
NaHCO3
C
NH4HCO3
D
(NH4)2CO3
আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করি। নিচে কিছু পরিচিত পদার্থ এবং তাদের রাসায়নিক সংকেত উল্লেখ করা হলো:
-
মিল্ক অফ লাইম (চুনাজল) – রাসায়নিক সংকেত: Ca(OH)₂
-
বেকিং সোডা / বেকিং পাউডার – রাসায়নিক সংকেত: NaHCO₃
-
চুনাপাথর – রাসায়নিক সংকেত: CaCO₃
-
ভিনেগার (সিরকা) – রাসায়নিক সংকেত: CH₃COOH
-
চুন (Quicklime) – রাসায়নিক সংকেত: CaO
অন্য সাধারণ রাসায়নিক পদার্থের সংকেত:
-
তুঁত (Blue Vitriol / Copper sulfate pentahydrate) – রাসায়নিক সংকেত: CuSO₄·5H₂O
-
ক্যালামিন – রাসায়নিক সংকেত: ZnCO₃
-
ফিটকিরি (Potash alum) – রাসায়নিক সংকেত: K₂SO₄·Al₂(SO₄)₃·24H₂O
-
গ্লুবার লবণ (Glauber’s salt) – রাসায়নিক সংকেত: Na₂SO₄·10H₂O
-
কাপড় কাচার সোডা (Washing soda) – রাসায়নিক সংকেত: Na₂CO₃·10H₂O
-
ক্লোরোফর্ম – রাসায়নিক সংকেত: CHCl₃
-
ব্লিচিং পাউডার – রাসায়নিক সংকেত: Ca(OCl)Cl
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি এবং বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো
Created: 1 month ago
A
নাইট্রোজেন গ্যাস
B
মিথেন গ্যাস
C
হাইড্রোজেন গ্যাস
D
কার্বন মনোক্সাইড
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (CH₄)।
-
সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদানগুলি হলো:
-
মিথেন: ৮০–৯০%
-
ইথেন: ১৩%
-
প্রোপেন: ৩%
-
-
প্রাকৃতিক গ্যাস মূলত কম সংখ্যক কার্বনযুক্ত হাইড্রোকার্বন (C₁–C₄) এর মিশ্রণ।
-
এছাড়াও এতে বিউটেন, আইসোবিউটেন, পেন্টেন ইত্যাদি উপাদানও থাকে।
-
বাংলাদেশে পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ প্রায় ৯৫–৯৯%।
সূত্র: রসায়ন বোর্ড, নবম–দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ।

0
Updated: 1 month ago
ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে যে তথ্যাটি সঠিক নয় তা হল-
Created: 1 month ago
A
এ রোগে মানবদেহের কিডনি নষ্ট করে
B
চিনি জাতীয় খাবার খেলে এ রোগ হয়
C
এ রোগ হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
D
ইনসুলিনের অভাবে এ রোগ হয়
[অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন হরমোনের অভাব হলে প্রোটিন, শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবারের বিপাক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, একে ডায়াবেটিস রোগ বলা হয়। চিনি জাতীয় খাবারের সাথে এ রোগের সম্পর্ক নেই। ডায়াবেটিস হলে হৃৎপিণ্ড, কিডনি, চোখ ইত্যাদি অঙ্গের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি হয়।]
ডায়বেটিস:
- বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস এক ধরনের বিপাকজনিত রোগ।
- ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়।
- প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নামক এক ধরনের হরমোন নির্গত হয়, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে কমিয়ে দেয়।
- অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স থেকে গ্লুকানল এবং ইনসুলিন নির্গত হয়।
- ডায়াবেটিস রোগে ইনসুলিন ব্যবহৃত হয়।
- কারো ডায়াবেটিস হলে প্যানক্রিয়াস যথেষ্ট ইনসুলিন নির্গত করতে পারে না, কিংবা শরীর ইনসুলিনকে ব্যবহার করতে পারে না।
- যে কারণে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য যে,
- চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিস রোগ হয় এ তথ্যটি সত্য নয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago