গ্রিনহাউজ কি?
A
কাঁচের তৈরি ঘর
B
সবুজ আলোর আলোকিত ঘর
C
সবুজ ভবনের নাম
D
সবুজ গাছপালা
উত্তরের বিবরণ
গ্রিনহাউস হলো এমন একটি বিশেষ ধরনের ভবন যা উদ্ভিদকে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম থেকে রক্ষা করে। এটি মূলত এমন উদ্ভিদের জন্য ব্যবহৃত হয় যেগুলো স্বাভাবিক ঋতুতে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
গ্রিনহাউস সাধারণত কাঠ বা ধাতব ফ্রেমের ওপর তৈরি কাচ বা শক্ত প্লাস্টিকের দেয়াল ও ছাদের মাধ্যমে গঠিত হয়। আধুনিক গ্রিনহাউসে সাধারণত ফল, শাকসবজি, ফুল এবং অন্যান্য উদ্ভিদ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুবিধা থাকে।
উৎস: Encyclopaedia Britannica

0
Updated: 1 month ago
কোন্ গ্যাস গ্রিন হাউস ইফেক্ট ঘটায়?
Created: 3 weeks ago
A
হাইড্রোজেন
B
নাইট্রোজেন
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
মিথেন গ্যাস গ্রিন হাউস ইফেক্ট ঘটায়। গ্রিন হাউস প্রভাব মূলত এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে নির্দিষ্ট কিছু গ্যাস সূর্য থেকে আগত রশ্মির তাপ বায়ুমণ্ডলে আটকে দিয়ে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে।
এই প্রভাবের কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যাকে বৈশ্বিক উষ্ণতা (Global Warming) বলা হয়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
-
গ্রিন হাউস প্রভাব
-
শীতপ্রধান দেশে কাঁচের তৈরি গ্রিন হাউস ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে উদ্ভিদ জন্মানো হয়।
-
গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ (Greenhouse gases) ঠিক ওই কাঁচের ঘরের মতো কাজ করে—সূর্যালোক ভেতরে ঢুকতে দেয় কিন্তু তাপ বাইরে বের হতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
-
এভাবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ার ঘটনাকেই গ্রিন হাউস ইফেক্ট (Greenhouse Effect) বলা হয়।
-
এই ধারণাটি সর্বপ্রথম Svante Arrhenius ব্যবহার করেন।
-
প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ হলো: কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), মিথেন (CH4), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O), ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC) প্রভৃতি।
-
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2)
-
এটি বর্ণহীন ও সামান্য গন্ধযুক্ত গ্যাস, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রায় ০.০৩% অংশ জুড়ে রয়েছে।
-
উৎপত্তির উৎস: প্রাণীর প্রশ্বাস, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, জৈব পদার্থের পচন, মোটরযান ও শিল্পকারখানার জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল, গ্যাস) পোড়ানো।
-
ব্যবহার: রেফ্রিজারেন্ট (আইসক্রিম সংরক্ষণে, ফায়ার এক্সটিংগুইশার)।
-
সমস্যা: বন উজাড় ও অধিক হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে এর পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
-
-
মিথেন (CH4)
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান।
-
জলাভূমি, ধানের অবশিষ্টাংশ, পচা জৈব পদার্থ থেকে উৎপন্ন হয়।
-
তাপ ধারণ ক্ষমতা CO2-এর চাইতে প্রায় ২০ গুণ বেশি, তাই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC)
-
বিষমুক্ত ও নিষ্ক্রিয় যৌগ, গঠনে থাকে কার্বন ও ফ্লোরিন।
-
ব্যবহার: ফ্রিজ ও এসির কুল্যান্ট, স্প্রে-ক্যান (aerosol), মাইক্রো-ইলেকট্রনিক সার্কিট, প্লাস্টিক ফোম উৎপাদন।
-
সমস্যার দিক: ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী।
-
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)
-
এটি বর্ণহীন ও সামান্য মিষ্টি গন্ধযুক্ত গ্যাস।
-
উৎস: মোটরযান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, নাইট্রোজেন সার, কারখানার নির্গমন।
-
এটি গ্রিন হাউস গ্যাস হিসেবে বায়ুমণ্ডলকে উষ্ণ করে।
-
-
যেসব গ্যাস গ্রিন হাউস গ্যাস নয়
-
নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন—এগুলো বায়ুমণ্ডলে সর্বাধিক পরিমাণে থাকলেও গ্রিন হাউস প্রভাব ঘটায় না।
-
হাইড্রোজেন—সবচেয়ে হালকা গ্যাস, স্বাভাবিক অবস্থায় রংহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন।
-

0
Updated: 3 weeks ago
সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি?
Created: 2 months ago
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৮ টি
সুষম খাদ্য
মানবদেহের পুষ্টির প্রয়োজন ভালোভাবে পূরণ করতে সুষম খাদ্য খাওয়া খুব জরুরি। সুষম খাদ্যে মোট ৬ ধরনের উপাদান থাকে।
সুষম খাদ্যে শর্করা, প্রোটিন (আমিষ) এবং চর্বির পরিমাণ থাকে প্রায় ৪ : ১ : ১ অনুপাতে।
সুষম খাদ্যের উপাদান:
১। শর্করা
২। প্রোটিন (আমিষ)
৩। ভিটামিন
৪। খনিজ লবণ
৫। চর্বি
৬। পানি
সূত্র: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
কাঁদুনে গ্যাসের অপর নাম কী?
Created: 1 month ago
A
ক্লোরোপিক্রিন
B
মিথেন
C
নাইট্রোজেন
D
ইথেন
কাঁদুনে গ্যাসকে ক্লোরোপিকরিন নামেও ডাকা হয়। এটি চোখে অশ্রু সৃষ্টি করে বলে একে কাঁদুনে গ্যাস বলা হয়। এর রাসায়নিক নাম হলো নাইট্রোক্লোরোফরম, আর এর রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে CCl₃NO₂।
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা

0
Updated: 1 month ago