দৈনিক খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ/শৈবালের অন্তর্ভুক্তি, কোন রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করবে?
A
হাইপো-থাইরয়ডিজম (HYPOTHYROIDISM)
B
রাতকানা
C
এনিমিয়া
D
কোয়াশিয়রকর (KWASHIORKOR)
উত্তরের বিবরণ
আয়োডিন ও হাইপো-থাইরয়ডিজম
-
সামুদ্রিক মাছ এবং শৈবাল আয়োডিনের অন্যতম ভালো উৎস।
-
আয়োডিনের অভাবে হরমোনের সঠিক উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা হাইপো-থাইরয়ডিজম বা গলগণ্ড (Goitre) রোগের কারণ হতে পারে।
-
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক মাছ বা শৈবাল অন্তর্ভুক্ত করলে আয়োডিনের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য হয় এবং গলগণ্ডের ঝুঁকি কমে।
-
গলগণ্ড হলো থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এটি খাদ্য ও পানিতে আয়োডিনের অভাব, সংক্রমণজনিত প্রদাহ, টিউমার বা গলগ্রন্থির কার্যকারিতার ঘাটতির কারণে হতে পারে।
-
WHO অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে গুরুতর আয়োডিনের অভাব থাকলে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন কমে যায় এবং ফলশ্রুতিতে হাইপো-থাইরয়ডিজম দেখা দেয়।
উৎস: WHO and US National Library of Medicine National Institutes of Health এবং বাংলাপিডিয়া ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর কোন ঘটনাটি ঘটে?
Created: 2 months ago
A
প্রতিসরণ
B
বিচ্ছুরণ
C
অপবর্তন
D
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবার হলো খুবই সরু ও চিকন কাঁচের সুতো, যা মানুষের চুলের মতো দেখতে এবং সহজে বাঁকানো যায়। এর কাজ হলো আলোক রশ্মি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
যখন আলো ফাইবারের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা কাঁচতন্তুর দেয়ালে লেগে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটায়। এভাবে প্রতিফলিত হতে হতে আলো শেষ প্রান্তে গিয়ে বের হয়।
👉 এই প্রক্রিয়ার জন্য আলো মাঝপথে বাইরে বের হয়ে যায় না এবং অনেক দূর পর্যন্ত একই শক্তি নিয়ে পৌঁছাতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ডাক্তাররা শরীরের ভেতরের অংশ যেমন পাকস্থলী, কোলন ইত্যাদি দেখার জন্য যে আলোক নল ব্যবহার করেন, সেটি অনেকগুলো অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি।
-
টেলিযোগাযোগে: টেলিফোন বা ইন্টারনেট সিগন্যাল বহনে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে একসাথে অসংখ্য সংকেত পাঠানো যায় এবং সংকেত দুরত্বে গেলেও শক্তি হারায় না।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago
পিতলের উপাদান হলো-
Created: 2 months ago
A
তামা ও টিন
B
তামা ও নিকেল
C
তামা ও সিসা
D
তামা ও দস্তা
সংকর ধাতু
সংকর ধাতু বলতে বোঝায় এমন ধাতব পদার্থ যা দুই বা ততোধিক ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয়। এই মিশ্রণ থেকে একটি নতুন কঠিন পদার্থ তৈরি হয়, যা কখনও সমসত্ব (homogeneous) বা কখনও অসমসত্ব (heterogeneous) হতে পারে।
উদাহরণ:
-
কাঁসা (Bronze): তামা (Copper) ও টিন (Tin) মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
-
পিতল (Brass): তামা (Copper) ও দস্তা (Zinc) মিশ্রণে তৈরি হয়।
পিতলের গঠন:
-
এতে সাধারণত ৬৫% তামা ও ৩৫% দস্তা থাকে।
-
মূল উপাদান হলো তামা, যা শতকরা ৬৫% উপস্থিত থাকে।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago
হৃৎপিণ্ড কোন ধরনের পেশি দ্বারা গঠিত?
Created: 1 month ago
A
ঐচ্ছিক
B
অনৈচ্ছিক
C
বিশেষ ধরনের ঐচ্ছিক
D
বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক
হৃৎপিণ্ডের গঠন
হৃৎপিণ্ড মানুষের দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি বক্ষগহ্বরের বাম দিকে, দুই ফুসফুসের মাঝখানে অবস্থিত এবং দেখতে কিছুটা ত্রিকোণাকার ও ফাঁপা।
-
হৃৎপিণ্ড হৃৎপেশি (cardiac muscle) নামের এক ধরনের বিশেষ অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে তৈরি।
-
পুরো হৃৎপিণ্ডকে বাইরের দিকে পেরিকার্ডিয়াম নামে পাতলা আবরণ ঢেকে রাখে।
-
এর প্রাচীর তিনটি স্তর দ্বারা গঠিত—
বহিঃস্তর (এপিকার্ডিয়াম)
-
এটি বাইরের স্তর, যোজক কলা দিয়ে তৈরি।
-
স্তরে কিছুটা চর্বি থাকে।
-
আবরণী কলা দিয়ে এটি আবৃত থাকে।
মধ্যস্তর (মায়োকার্ডিয়াম)
-
বহিঃস্তর ও অন্তঃস্তরের মাঝখানে অবস্থান করে।
-
এটি শক্ত ও অনৈচ্ছিক হৃৎপেশি দিয়ে গঠিত।
-
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ মূলত এই স্তরের কাজের মাধ্যমেই ঘটে।
অন্তঃস্তর (এন্ডোকার্ডিয়াম)
-
এটি ভেতরের স্তর।
-
হৃৎপিণ্ডের সব প্রকোষ্ঠ ও কপাটিকা এই স্তর দিয়ে আবৃত থাকে।
-
এ স্তর হৃৎপিণ্ডকে ভেতরে থেকে মসৃণ রাখে এবং চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago