আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
উত্তরের বিবরণ
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য সাগরপৃষ্ঠের ন্যূনতম তাপমাত্রা কত হওয়া প্রয়ােজন?
Created: 1 month ago
A
২৬.৫° সে.
B
৩৫° সে.
C
৩৭.৫° সে.
D
৪০.৫° সে.
ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য বিশেষ কিছু পরিবেশগত শর্তের উপস্থিতি প্রয়োজন, যা মূলত সমুদ্র ও আকাশের তাপমাত্রা এবং বায়ুর চাপের সাথে সম্পর্কিত।
এই ধরনের দুর্যোগ সাধারণত গভীর সমুদ্রে জন্ম নেয় এবং পরে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। সাইক্লোন সৃষ্টির মূল কারণগুলো নিম্নরূপ:
-
সাগরের ন্যূনতম তাপমাত্রা ২৬.৫° থেকে ২৭° সেলসিয়াস হতে হবে।
-
উচ্চ তাপমাত্রা ও নিম্নচাপ সাইক্লোনের প্রধান কারণ।
-
ঝড়ের সময় বায়ুপ্রবাহের গতি প্রায় ৬৫ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় সারা বছর এই ধরনের উপযুক্ত তাপমাত্রা বিদ্যমান।
-
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সাইক্লোনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।

0
Updated: 1 month ago
প্রাণী জগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে-
Created: 1 month ago
A
জুওলজী
B
বায়োলজী
C
ইভোলিউশন
D
জেনেটিক্স
জেনেটিক্স (Genetics)
পিতামাতার বৈশিষ্ট্যগুলো সন্তানদের মধ্যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বংশগতি (Heredity) বলা হয়। এই প্রক্রিয়া ও বিষয়বস্তু নিয়ে যে জীববিজ্ঞানের শাখা গবেষণা করে তাকে বংশগতিবিদ্যা (Genetics) বলা হয়।
জুওলজি (Zoology)
জীববিজ্ঞানের সেই শাখা যা প্রাণীজগতের অধ্যয়ন করে। এর মধ্যে রয়েছে পৃথক প্রাণীর শারীরিক বৈশিষ্ট্য, তাদের অংশ, জনসংখ্যা, এবং প্রাণী, উদ্ভিদ ও পরিবেশের সাথে তাদের সম্পর্ক।
বায়োলজি (Biology)
জীব ও তাদের বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া অধ্যয়ন করাই জীববিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য।
ইভোলিউশন (Evolution)
ইভোলিউশন বলতে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের মাধ্যমে সরল জীবন থেকে জটিল এবং উন্নত প্রাণীর উদ্ভবকে বোঝায়।
-
শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ‘Evolveri’ থেকে।
-
প্রথম ব্যবহার করেছিলেন ইংরেজ দার্শনিক হার্বার্ট স্পেনসার (Herbert Spencer)।
-
আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী, ইভোলিউশন হলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নির্দিষ্ট এলাকার কোনো প্রজাতির জিনের (অ্যালিল) ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন।
-
এক জিন একাধিক রূপে থাকতে পারে, এই ভিন্ন রূপগুলোকে বলা হয় অ্যালিল।
-
কার্টিস বার্নস (1989) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিবর্তন মূলত জিনের ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তন।
উৎস: জীবিবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণী

0
Updated: 1 month ago
ছায়াপথ তার নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে যে সময় লাগে তাকে কি বলে?
Created: 2 months ago
A
সৌর বছর
B
কসমিক ইয়ার
C
আলোক বর্ষ
D
পলিসার
ছায়াপথ:
- সৌরজগতের গ্রহসমূহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, আর সূর্য মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যবিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
- এই মধ্যবিন্দুর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর ২২৫-২৫০ মিলিয়ন বছর সময় লাগে।
- এই সময়টাকেই কসমিক ইয়ার বা গ্যালাকটিক ইয়ার বলে।
- ছায়াপথের নিজ অক্ষে আবর্তনকালকে কসমিক ইয়ার বলে।
উৎস: Britannica.com

0
Updated: 2 months ago