A
সড়ক দুর্ঘটনা
B
তামাক ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ
C
বায়ু দূষণ
D
ক্যান্সার
উত্তরের বিবরণ
বায়ু দূষণ ও আপদ (Hazard)
বায়ু দূষণ পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।
-
বায়ু দূষণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং সৃষ্টি হচ্ছে।
-
দূষণকারী প্রধান উপাদান হলো – কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, ওজোন, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ ও এরোসল।
-
দূষণের মূল উৎস: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, যানবাহন ও কারখানার ধোঁয়া, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, ইটভাটা, এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত।
-
শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
-
এ দূষণ সরাসরি মানুষের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
-
দূষিত বাতাস শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুক জ্বালা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
-
সালফারের অক্সাইড ফুসফুসের নানা রোগ সৃষ্টি করে।
-
নাইট্রোজেন অক্সাইড ফুসফুস ফুলে যাওয়া, ফুসফুসে পানি জমা এবং গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
-
দীর্ঘ সময় দূষিত বায়ুতে থাকার ফলে হাঁপানি, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও কণ্ঠস্বর ভাঙার মতো রোগ দেখা দেয়।
-
শুধু শ্বাসতন্ত্র নয়, প্রায় প্রতিটি অঙ্গতন্ত্রে জটিলতা তৈরি হয়।
-
ক্যান্সার, নিউমোনিয়া, জন্ডিসসহ নানা রোগের কারণে বিশ্বে মৃত্যুর হার বাড়ছে।
আপদ (Hazard)
-
আপদ হলো এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা, যা প্রাকৃতিক, মানবসৃষ্ট বা কারিগরি কারণে ঘটে এবং মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপদে ফেলে।
-
আপদের ফলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
-
যেমন: ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদির সরাসরি প্রভাব পড়ে অবকাঠামোর ওপর, যার পুনর্নির্মাণ অনেক ব্যয়বহুল।
-
অর্থাৎ, সব ধরনের চরম ঘটনাই আপদ হিসেবে গণ্য হয়।
আপদের ধরন:
-
প্রাকৃতিক আপদ – ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বজ্রঝড়, টর্নেডো, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, খরা, নদী ভাঙন ইত্যাদি।
-
মানবসৃষ্ট আপদ – ভবনধ্বস, সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি।
-
কারিগরি আপদ – বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের অগ্নিকাণ্ড, কলকারখানার দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
উৎসঃ ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago
বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত শতাংশ?
Created: 1 week ago
A
৭৫.৮%
B
৭৮.১%
C
৭৯.২%
D
প্রায় ৮০%
বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)
পৃথিবীর পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা অদৃশ্য বায়বীয় আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত।
উপাদান:
যদিও বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন গ্যাস এবং বাষ্প দিয়ে তৈরি, এর প্রধান উপাদান দুটি:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen) – সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত।
-
অক্সিজেন (Oxygen) – দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলোর আনুমানিক শতকরা (%) পরিমাণ:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০১% (কাছাকাছি ৭৮.১% হিসাবেও ধরা যেতে পারে)
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
-
আর্গন: ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প: ০.৪১%
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড: ০.০৩%
মন্তব্য: কখনও কখনও প্রশ্নপত্রে টাইপিং ভুলের কারণে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০১% না হয়ে ৭৮.১% দেখানো হতে পারে। প্রায় একই কারণে কাছাকাছি মানকেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, ভূগোল প্রথম পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের নিম্নলিখিত জেলাসমূহের মধ্যে কোন জেলায় নিচু ভূমির (Low land) পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
Created: 3 days ago
A
হবিগঞ্জ
B
গোপালগঞ্জ
C
কিশোরগঞ্জ
D
মুন্সীগঞ্জ
নিচু ভূমি বলতে আমরা সাধারণত হাওর, বাওর, বিল ও খালের এলাকায় বিস্তৃত সমতল ও পানিবদ্ধ এলাকা বুঝি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওরভূমি এবং বিলাঞ্চল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করে,
বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি প্রাকৃতিকভাবে সমতল ও পানিবদ্ধ, তাই কিশোরগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি নিচু ভূমি রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অবস্থান: ২৪°০২' থেকে ২৪°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ, উত্তরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ, দক্ষিণে নরসিংদী, পূর্বে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, পশ্চিমে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ।
-
নদ-নদী: নরসুন্দা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, কালনী, সুতী, ঘোড়াউত্রা, ধনু, বৌলাই, আড়িয়ালখাঁ প্রভৃতি।
-
অর্থনীতি: হাওরের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে মাছ ধরার জন্য।
-
জলবায়ু: গড় তাপমাত্রা ২৪.৭°C, গ্রীষ্মকালে বেশি বৃষ্টিপাত, বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২২৫০ মিমি।
-
প্রশাসন: ১৮৬০ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে রূপান্তরিত।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 days ago
২০০৪ সালের ভয়ংকর সুনামি ঢেউয়ের গতি ছিল ঘণ্টায় -
Created: 6 days ago
A
১০০-২০০ কি.মি
B
৩০০-৪০০ কি.মি
C
৭০০-৮০০ কি.মি
D
৯০০-১০০০ কি.মি
২০০৪ সালের ভয়ংকর সুনামি
-
২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ১৪টি দেশে ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সুনামি আঘাত হানে।
-
সুনামির উৎপত্তি হয় ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রার ১০০ মাইল পশ্চিমে সমুদ্রের প্রায় ১৯ মাইল নিচে, যেখানে ৯.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্প ঘটে।
-
এই ভূমিকম্প ৮–১০ মিনিট ধরে স্থায়ী হয় এবং শক্তিতে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় ২৩,০০০ গুণ বেশি ছিল।
-
সুনামির ঢেউ ঘণ্টায় ৭০০–৮০০ কিলোমিটার গতি ছাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে।
-
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে সুদূর আফ্রিকার কিছু উপকূল পর্যন্ত এই ভয়ংকর সুনামি আঘাত হানে, কিছু স্থানে ঢেউ প্রায় ১০০ ফুট উঁচু হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে।
উৎস: Britannica

1
Updated: 6 days ago