A
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
B
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
C
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
D
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
উত্তরের বিবরণ
আবশ্যক মানে হলো ― যা অত্যন্ত জরুরি, অপরিহার্য, প্রয়োজনীয়।
-
আবশ্যকীয় শব্দটি প্রমিত বাংলা অভিধান অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য নয়; এটি অপ্রচলিত ও অশুদ্ধ রূপ।
-
কার্পণ্য অর্থ কৃপণতা, অতি কঞ্জুসি।
-
কার্পন্য শব্দটিও অশুদ্ধ, এর সঠিক রূপ হলো কার্পণ্য।
তাই শুদ্ধ বাক্য হবে:
“আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত।”

0
Updated: 3 days ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 1 month ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
মধ্যস্বর লোপ পেয়েছে নিচের কোন উদাহরণে?
Created: 3 weeks ago
A
আশা > আশ
B
আজি > আজ
C
অগুরু > অগ্র
D
উদ্ধার > উধার > ধার
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ
যখন কোনো শব্দ দ্রুত উচ্চারণ করার কারণে তার শুরু, মাঝখান বা শেষে থাকা কোনো স্বরধ্বনি (অ, আ, ই ইত্যাদি) হারিয়ে যায়, তখন তাকে সম্পরকর্ষ বা স্বরলোপ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
বসতি → বস্তি,
-
জানালা → জান্লা।
• আদি স্বরলোপ:
শব্দের শুরুর স্বর যদি বাদ যায়, তখন তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ,
-
উদ্ধার → উধার → ধার।
• মধ্যস্বর লোপ:
শব্দের মাঝখানে থাকা স্বর বাদ গেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র,
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ।
• অন্ত্যস্বর লোপ:
শব্দের শেষের স্বর বাদ পড়লে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
আশা → আশ,
-
আজি → আজ,
-
চারি → চার,
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 weeks ago
'ময়ূর' শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
Created: 2 days ago
A
কেকী
B
শিখণ্ডী
C
উরগ
D
বর্হী
সমার্থক শব্দের উদাহরণ
১. ময়ূর
-
অর্থ: উজ্জ্বল ও সুন্দর পালকযুক্ত পাখি
-
সমার্থক শব্দ: কলাপী, কেকী, শিখী, শিখণ্ডী, বর্হী, বর্হিণ
২. সাপ
-
অর্থ: বিষধর বা অ-বিষধর সরীসৃপ
-
সমার্থক শব্দ: আশীবিষ, উরগ
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 days ago