‘বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে’।– এ মতের প্রবক্তা কে?
A
ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
স্যার জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন
C
ডঃ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ
D
ডঃ সুকুমার সেন
উত্তরের বিবরণ
" বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে" - এ মতের প্রবক্তা ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
তিনি " Origin and Development of Bengali language" নিয়ে গবেষণা করেন এবং পরবর্তীতে মাগধী প্রাকৃত থেকে বাংলা ভাষার জন্ম এই মতবাদ প্রকাশ করেন।

0
Updated: 1 month ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 1 month ago
A
উপনেতা
B
উপভোগ
C
উপগ্রহ
D
উপসাগর
উপসর্গ এবং বাংলায় এর ব্যবহার
উপসর্গ হলো এমন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা – এখানে “উপ” ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
উপভোগ – এখানে “উপ” বিশেষ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করছে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন ধরনের হয়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এর সংখ্যা ২১।
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
দ্রষ্টব্য: আ, সু, বি, নি এই চারটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়। -
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত থেকে আগত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। -
বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ।-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago
‘কিত্তনখােলা’ নাটকটির বিষয়-
Created: 1 month ago
A
যন্ত্রণাদগ্ধ শহরজীবন
B
স্নিগ্ধ-শ্যামল প্রকৃতির রূপ
C
লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি
D
দেশবিভাগজনিত জীবন যন্ত্রণা
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটি সেলিম আল দীন রচিত একটি জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম, যা বাংলা নাট্যশিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। নাটকটির মাধ্যমে সেলিম আল দীন পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহার করে প্রাচ্যীয় রীতি ও বাঙালির প্রান্তিক জনগণের জীবন-সংস্কৃতিকে নাট্যরূপে উপস্থাপন করেন।
তিনি নিজেও বলেছেন যে, কিত্তনখোলা রচনার সময় তিনি মানিকগঞ্জের লোকায়ত জীবন, সংস্কৃতি এবং অপূর্ব নিসর্গের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, যা নাটকে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যগুলো:
-
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন।
-
নাটকটি বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবন এবং সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্তকে তুলে ধরেছে।
-
নাট্যরচনার মাধ্যমে প্রাচ্যীয় নাট্যরীতি বাংলা নাট্যশিল্পে প্রবর্তন হয়।
সেলিম আল দীন:
-
জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৪৮, সোনাগাজি, নোয়াখালি জেলার সেনেরখিল গ্রামে।
-
তিনি মূলত কবিতা লিখতেন, তবে ১৯৭২ সালে তার নাটক ‘নীল শয়তান: তাহিতি ইত্যাদি’ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচার হওয়ার পর নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান।
-
একই বছর ডাকসু মঞ্চে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ মঞ্চস্থ হয় এবং নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পায়।
-
১৯৭৩ সালে ডাকসু নাট্যচক্র ‘এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা’ মঞ্চস্থ করলে তিনি নাট্যকার হিসেবে সর্বজন পরিচিত হন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য নাট্যগ্রন্থ:
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কিত্তনখোলা
-
হাতহদাই
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন

0
Updated: 1 month ago
'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি' -চরণ দুটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
চণ্ডীচরণ মুনশী
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
‘আমার পণ’ কবিতা ও মদনমোহন তর্কালঙ্কার
‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি’—এই পঙ্ক্তিটি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের ‘আমার পণ’ কবিতার অংশ।
মদনমোহন তর্কালঙ্কার সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিল্বগ্রামে।
-
পারিবারিক উপাধি ‘চট্টোপাধ্যায়’, কিন্তু পরিচিতি ‘তর্কালঙ্কার’ হিসেবে।
-
শিশু শিক্ষার জন্য লেখা তাঁর গ্রন্থ শিশু শিক্ষা (তিন খণ্ড, ১৮৪৯ ও ১৮৫৩) শিশুদের জন্য বিশেষ উপযোগী।
-
বিখ্যাত শিশুপাঠ্য ‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল’ তাঁরই রচনা।
মৌলিক কাব্যগ্রন্থ:
-
রসতরঙ্গিণী (১৮৩৪)
-
বাসবদত্তা (১৮৩৬)
‘আমার পণ’ কবিতার ভাব:
কবিতায় কবি সকালে নিজেকে দৃঢ়সংকল্পের মাধ্যমে স্মরণ করান যে, সারাদিন ভালো কাজ করা, সকলকে ভালোবাসা, সহমর্মিতা, সততা, এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা—এই সব নিয়ম মেনে চলা উচিত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago