রাবণের চিতা অর্থ কী?
A
চির অশান্তি
B
চির শান্তি
C
চির নিদ্রা
D
চির সুখী
উত্তরের বিবরণ
রাবণ ছিল রামায়ণের রাক্ষসরাজ। তাকে দহন করার জন্য চিতা জ্বালানো হলে, সেই চিতায় শান্তি নেই—অর্থাৎ আগুন জ্বলতে থাকে, অশান্তি চলতেই থাকে। এজন্য "রাবণের চিতা" বলতে বোঝানো হয় এমন একটি অবস্থা, যেখানে কখনো শান্তি থাকে না, সর্বদা অশান্তি বিরাজ করে।

0
Updated: 1 month ago
’সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
ফররুখ আহমদ
B
আহসান হাবিব
C
হাসান হাফিজুর রহমান
D
শামসুর রাহমান
ফররুখ আহমদ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কবি, যিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ বা ‘মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাঁর কাব্যের মূল লক্ষ্য ছিল মুসলিম সংস্কৃতির গৌরবকীর্তন এবং জাতীয় চেতনার পুনর্জাগরণ। পাকিস্তানবাদ, ইসলামিক আদর্শ এবং আরব-ইরানের ঐতিহ্য তাঁর কবিতায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
ফররুখ আহমদ হাতেমতায়ী কাহিনিকাব্যের জন্যে আদমজি পুরস্কার এবং পাখির বাসা গ্রন্থের জন্যে ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনিরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
হাতেমতায়ী
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
শিশুতোষ রচনা
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
ছড়ার আসর
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
ঢাকার 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ'-এর প্রতিষ্ঠা কোন খ্রিস্টাব্দে?
Created: 2 months ago
A
১৯২৬
B
১৯১১
C
১৮৬৪
D
১৯০৫
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ:
- মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মুসলিম সাহিত্য-সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম আবদুল হক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির প্রমুখের ওপর। তারাই ছিলেন প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
- নেপথ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ ও যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
এছাড়াও-
- মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপাত্র শিখা পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
- এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন আবুল হোসেন।
- এই পত্রিকার স্লোগান ছিলো - 'জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব'।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়–
Created: 1 month ago
A
সহজবোধ্যতা
B
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য
C
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার
D
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা
চলিত ভাষা হলো সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, যা সহজ, সাবলীল এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার উপযোগী। এর বৈশিষ্ট্য হলো—
-
সহজবোধ্যতা (ক) → চলিত ভাষার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য (খ) → কথোপকথনে ‘টুকটাক’, ‘ঝমঝম’, ‘ঠকঠক’ প্রভৃতি ধ্বন্যাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
-
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা (ঘ) → চলিত ভাষা সাহিত্যে, বক্তৃতায় ও সামাজিক পরিসরে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু—
-
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার (গ) → এটি সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য, চলিত ভাষার নয়। চলিত ভাষায় দেশজ, তদ্ভব ও প্রয়োজনে বিদেশি শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়, সংস্কৃত শব্দের আধিক্য নয়।
তাই সঠিক উত্তর (গ) সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার।

0
Updated: 1 month ago