A
রাশিয়া
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ইরান
D
জার্মানি
উত্তরের বিবরণ
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gases)
গ্রিনহাউস গ্যাস হলো সেই গ্যাসগুলো যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলি সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং পুনরায় মহাশূন্যে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে। প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
জলীয় বাষ্প (Water vapor)
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
ওজোন (O₃)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু (per capita) গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কাতার। অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছে: বাহরাইন, ব্রুনাই, কুয়েত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, মঙ্গোলিয়া, সৌদি আরব, এবং অস্ট্রেলিয়া।
উৎস: Our World in Data

0
Updated: 3 days ago
কোনটি বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে উপনিবেশবাদের নিগড় থেকে মুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
হংকং
B
শ্রীলংকা
C
ম্যাকাউ
D
বাংলাদেশ
ম্যাকাও
-
ম্যাকাও চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
-
এটি আগে পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল।
-
চীন সাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি এশিয়ায় ইউরোপীয় উপনিবেশের মধ্যে সর্বশেষটি ছিল।
⇒ দ্বৈত অর্থনীতি:
-
চীনের ‘এক দেশ, দুই নীতি’ নীতির আওতায় হংকং ও ম্যাকাও অঞ্চলগুলোকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
১৯৯৭ সালের ১ জুলাই ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকং এবং ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্তুগালের শাসন থেকে ম্যাকাও ৫০ বছরের জন্য চীনের অধীনে আসে।
-
হংকং-এর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই এই “এক দেশ, দুই নীতি” নীতি গৃহীত হয়েছে।
-
ম্যাকাও হলো ২০শ শতাব্দীর শেষ দিকে উপনিবেশবাদের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা লাভ করা সর্বশেষ অঞ্চল।
উৎস: i) Britannica
ii) World Atlas

0
Updated: 1 month ago
বর্তমান বিশ্বের কোন দেশটির সংবিধানকে 'শান্তি সংবিধান' বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
জাপান
B
পেরু
C
কোস্টারিকা
D
সুইজারল্যান্ড
জাপানের সংবিধান ও ‘শান্তির সংবিধান’
জাপানের সংবিধানকে প্রায়শই ‘শান্তির সংবিধান’ বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাপান আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
প্রেক্ষাপট:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হলে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের সংসদ (ডায়েট) সংবিধান প্রস্তাব করে এবং ৩ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে এটি গৃহীত হয়।
-
কার্যকর হয় ৩ মে ১৯৪৭ সালে।
-
সংবিধান প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি প্রভাব ছিল।
-
এটি পূর্বে প্রযোজ্য মেইজি সংবিধান (Meiji Constitution)-এর পরিবর্তে প্রণয়িত হয়।
Article 9 (যুদ্ধ বর্জন):
"Aspiring sincerely to an international peace based on justice and order, the Japanese people forever renounce war as a sovereign right of the nation and the threat or use of force as means of settling international disputes. In order to accomplish the aim of the preceding paragraph, land, sea, and air forces, as well as other war potential, will never be maintained. The right of belligerency of the state will not be recognized."
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদ জাপানকে আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো সামরিক আক্রমণ বা যুদ্ধের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
তবে, ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে অনেকেই এখন জাপানের সংবিধানকে সম্পূর্ণ শান্তির সংবিধান হিসেবে মানতে নারাজ।
উৎস: এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ও জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি যা Joint Comprehensive Plan of Action নামে পরিচিত তা সই হয় -
Created: 3 days ago
A
২ এপ্রিল ২০১৫
B
১৪ জুলাই ২০১৫
C
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪
D
১০ ডিসেম্বর ২০১৩
ইরান-পরমাণু চুক্তি (Joint Comprehensive Plan of Action)
ইরানের সঙ্গে পরমাণু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা Joint Comprehensive Plan of Action (JCPOA) নামে পরিচিত, ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি সাধারণত ইরান ডিল নামেও পরিচিত।
চুক্তির প্রধান তথ্য:
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ইরান ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, এবং ফ্রান্সের মধ্যে।
-
এর সাথে ছিল জার্মানি, ফলে এই দলকে বলা হয় ‘পি৫ + ১’।
-
চুক্তি কার্যকর হয় ১৬ জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে।
-
ইরান চুক্তি অনুযায়ী তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং মজুদ সীমিত করতে সম্মত হয়।
-
কিছু পরমাণু স্থাপনা বন্ধ বা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয় ইরান।
-
আন্তর্জাতিক পরিদর্শকরা ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারবে।
-
চুক্তির ফলে ইরানের ওপর থাকা কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
-
এই চুক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে স্বাক্ষর ও কার্যকর হয়।
পরে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন:
-
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়।
-
২০২০ সালের শুরুর দিকে ইরানও চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়।
সূত্র: U.S. Department of State (.gov) ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 days ago