A
ইতালি
B
ইংল্যান্ড
C
ফ্রান্স
D
রাশিয়া
উত্তরের বিবরণ
সামন্তবাদ ও এর সূত্রপাত
সামন্তবাদ হলো মধ্যযুগে ইউরোপে ভূমিভিত্তিক শাসনব্যবস্থা, যেখানে জমির মালিকানা ও শাসনের উপর ভিত্তি করে সমাজ ও রাজনীতি গড়ে উঠেছিল। মূলত এটি ছিল জমিদারের মাধ্যমে পরিচালিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
ইতিহাসে দেখা যায়, ইউরোপে সামন্তবাদের প্রথম সূত্রপাত হয় ইতালিতে। তখন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য রাজতন্ত্র ও পোপতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হতো। পঞ্চদশ শতকে ইউরোপে রেনেসাঁসের প্রভাবে সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে এবং দক্ষিণ ইউরোপের ফ্লোরেন্স, ভেনিস, জেনোয়া প্রভৃতি অঞ্চলের বণিকেরা স্বাধীনভাবে বাণিজ্য পরিচালনা করতে থাকে। এর ফলে দক্ষিণ ইতালিকে কেন্দ্র করে একটি স্বাধীন বাণিজ্যিক অর্থনীতি গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়ায় সামন্তবাদের পরিবর্তে বাণিজ্যবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্য:
-
পঞ্চদশ শতকে ইউরোপে সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যে বড় পরিবর্তন শুরু হয়, সেটাই সাধারণভাবে ইউরোপের রেনেসাঁস বা নবজাগরণ নামে পরিচিত।
-
যেহেতু নবজাগরণ ইতালিতে শুরু হয়, তাই অনেক ইতিহাসবিদ এটিকে ইতালিয়ান রেনেসাঁস হিসেবে অভিহিত করেন।
দ্রষ্টব্য: সামন্তবাদের সূত্রপাত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছু ইতিহাসবিদ রোমানদের পেট্রোসিয়াম এবং জার্মানদের কমিটেটাস থেকে এটি উদ্ভব বলে মনে করেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সেও ভূস্বামী ও প্রজার মধ্যে সামন্তবাদের অনুরূপ ব্যবস্থা ছিল। তবে মূলত রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এটি প্রসারিত হওয়ায় ইতালি প্রায়শই সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
উৎস: আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।, World History Encyclopedia.

0
Updated: 3 days ago
যুক্তরাষ্ট্র কবে এককভাবে ABM (Anti-Ballistic Missile) চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে?
Created: 6 days ago
A
জুন ২০০১
B
জুন ২০০০
C
জুন ২০০২
D
জুন ২০০৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ABM চুক্তি থেকে প্রত্যাহার
যুক্তরাষ্ট্র জুন ২০০২ সালে এককভাবে ABM (Anti-Ballistic Missile) চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে।
ABM Treaty (Anti-Ballistic Missile Treaty) সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
পূর্ণরূপ: Anti-Ballistic Missile Treaty।
-
ধরন: ক্ষেপণাস্ত্র সীমিতকরণের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি।
-
সংশ্লিষ্ট দেশ: যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।
-
বিকল্প নাম: Treaty on the Limitation of Anti-Ballistic Missile Systems।
-
চুক্তি স্বাক্ষর: ২৬ মে, ১৯৭২, মস্কো, রাশিয়া।
-
চুক্তি কার্যকর: ৩ অক্টোবর, ১৯৭২।
-
মূল উদ্দেশ্য: দ্বিপাক্ষিক অস্ত্র সীমিতকরণ।
-
চুক্তি বাতিলের তারিখ: ১৩ জুন, ২০০২।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
১৩ ডিসেম্বর, ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
-
ছয় মাস পরে, জুন ২০০২-এ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং চুক্তি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
উৎস: Arms Control Association ওয়েবসাইট

0
Updated: 6 days ago
বর্তমান বিশ্বের কোন দেশটির সংবিধানকে 'শান্তি সংবিধান' বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
জাপান
B
পেরু
C
কোস্টারিকা
D
সুইজারল্যান্ড
জাপানের সংবিধান ও ‘শান্তির সংবিধান’
জাপানের সংবিধানকে প্রায়শই ‘শান্তির সংবিধান’ বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাপান আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
প্রেক্ষাপট:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হলে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের সংসদ (ডায়েট) সংবিধান প্রস্তাব করে এবং ৩ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে এটি গৃহীত হয়।
-
কার্যকর হয় ৩ মে ১৯৪৭ সালে।
-
সংবিধান প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি প্রভাব ছিল।
-
এটি পূর্বে প্রযোজ্য মেইজি সংবিধান (Meiji Constitution)-এর পরিবর্তে প্রণয়িত হয়।
Article 9 (যুদ্ধ বর্জন):
"Aspiring sincerely to an international peace based on justice and order, the Japanese people forever renounce war as a sovereign right of the nation and the threat or use of force as means of settling international disputes. In order to accomplish the aim of the preceding paragraph, land, sea, and air forces, as well as other war potential, will never be maintained. The right of belligerency of the state will not be recognized."
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদ জাপানকে আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো সামরিক আক্রমণ বা যুদ্ধের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
তবে, ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে অনেকেই এখন জাপানের সংবিধানকে সম্পূর্ণ শান্তির সংবিধান হিসেবে মানতে নারাজ।
উৎস: এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ও জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন সংস্থাটি ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে?
Created: 1 week ago
A
UNDP
B
UNESCO
C
UNICEF
D
UNCTAD
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
-
প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
-
এটি ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো-এর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে এইভাবে ঘোষিত হয়।
ইউনেস্কো (UNESCO) সংক্ষেপে
-
পূর্ণরূপ: The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization।
-
এটি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা।
-
সংবিধান স্বাক্ষরিত হয় ১৬ নভেম্বর ১৯৪৫ এবং কার্যকর হয় ৪ নভেম্বর ১৯৪৬।
-
সদরদপ্তর: প্যারিস, ফ্রান্স
-
বর্তমান মহাপরিচালক: আদ্রে আজুলে (ফ্রান্স)
-
সদস্য দেশ সংখ্যা: ১৯৪
-
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা প্রকাশের কাজও করে।
বাংলাদেশ ও ইউনেস্কো
-
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২৭ অক্টোবর ইউনেস্কোতে যোগ দেয়।
-
ইউনেস্কো বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
এছাড়াও বাংলাদেশে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।
উৎস: UNESCO ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago