কোনটি নিরস্ত্রীকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়?
A
NATO
B
SALT
C
NPT
D
CTBT
উত্তরের বিবরণ
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও সামরিক জোট
1. SALT (Strategic Arms Limitation Talks)
-
উদ্দেশ্য: কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা সীমিত করা।
-
শুরু: ১৯৬৯ সালে, হেলসিংকিতে।
-
পক্ষ: যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
-
চুক্তি:
-
SALT-I: ২৬ মে ১৯৭২
-
SALT-II: ১৮ জুন ১৯৭৯
-
-
গুরুত্বপূর্ণ শর্ত: পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ‘ফ্রিজ’ করা, কোনো পক্ষ সংখ্যা বাড়াতে পারবে না।
-
অনুপ্রেরণা: Anti-Ballistic Missile Treaty।
2. NPT (Nuclear Non-Proliferation Treaty)
-
উদ্দেশ্য: পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ।
-
স্বাক্ষরিত: ১ জুলাই ১৯৬৮
-
কার্যকর: ৫ মার্চ ১৯৭০
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
-
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল।
3. CTBT (Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty)
-
উদ্দেশ্য: সব ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা।
-
গ্রহণ: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
-
স্বাক্ষরিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৮৭টি
4. NATO (North Atlantic Treaty Organisation)
-
স্বরূপ: উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে তৈরি একটি সামরিক জোট।
-
লক্ষ্য: পশ্চিম ইউরোপে সম্মিলিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
প্রতিষ্ঠিত: ৪ এপ্রিল ১৯৪৯
-
সদস্য:
-
প্রতিষ্ঠাতা: ১২টি
-
বর্তমান: ৩২টি (সর্বশেষ: সুইডেন)
-
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
মুসলিম দেশ: আলবেনিয়া ও তুরস্ক
উল্লেখযোগ্য:
-
SALT, NPT, CTBT পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত।
-
NATO পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নয়; এটি একটি সামরিক জোট।
উৎস: Arms Control Association, NATO অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের “Thirty years’ war” এর সমাপ্তি ঘটে?
Created: 1 month ago
A
ভারসাই চুক্তি, ১৯১৯
B
ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮
C
প্যারিস চুক্তি, ১৭৮৩
D
লুজান চুক্তি, ১৯২৩
ত্রিশ বছরব্যাপী যুদ্ধ ইউরোপে ধর্মকেন্দ্রিক সংঘাতের শেষ বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। এই যুদ্ধ প্রাথমিকভাবে প্রোটেস্টান্ট জার্মানির উপর অস্ট্রিয়ান হ্যাপসবার্গদের প্রভাব অক্ষুন্ন রাখা, ডেনমার্কের রাজার উচ্চাভিলাষ, বাল্টিক অঞ্চলে সুইডেনের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার এবং হ্যাপসবার্গদের পরাজিত করে ফ্রান্সকে ইউরোপের প্রধান শক্তিতে পরিণত করা নিয়ে সংঘটিত হয়। এছাড়া, ধর্মান্ধতা, স্বার্থপরতা, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা এবং প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা ইউরোপের সকল দেশকে এই যুদ্ধে টেনে নেয়। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই যুদ্ধে সমগ্র জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
-
যুদ্ধ প্রলম্বিত হওয়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াই এবং ধর্মীয় আধিপত্যের প্রতিযোগিতা।
-
ইউরোপের বৃহৎ অংশ এই সংঘাতের কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ত্রিশ বছরের এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবসান ঘটাতে ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি সম্পাদিত হয়।
-
১৬৪৮ সালের ২৪ অক্টোবর, ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ত্রিশ বছরব্যাপী ধর্মসংক্রান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটে।
-
এই চুক্তি ইউরোপে শান্তির জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি ইউরোপকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসে।
-
এই চুক্তির নির্ধারিত ভূ-খণ্ডগত সীমানা নেপোলিয়নের যুগ পর্যন্ত বহাল থাকে।

0
Updated: 1 month ago
যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত 'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার' ইরানে কবে হামলা করে?
Created: 3 weeks ago
A
২০ জুন ২০২৫
B
২১ জুন ২০২৫
C
২২ জুন ২০২৫
D
২৩ জুন ২০২৫
২২ জুন ২০২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত অপারেশন মিডনাইট হ্যামার (Operation Midnight Hammer) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি আক্রমণ চালানো হয়। এটি ছিল একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান যেখানে উন্নত প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল।
অপারেশন মিডনাইট হ্যামার (Operation Midnight Hammer):
-
২২ জুন ২০২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় এ আক্রমণ পরিচালনা করে।
-
এই অভিযানে ইরানের তিনটি মূল পরমাণু স্থাপনা—ফর্দো, ইস্ফাহান এবং নাতাঞ্জ—প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল।
-
মার্কিন সেনা জানিয়েছে, হামলার সময় ছিল শনিবার রাত ২২:৪০ GMT থেকে ২৩:০৫ GMT, যা ইরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী রবিবার রাত ০২:৪০ থেকে ০৩:০৫।
-
অর্থাৎ পুরো অভিযানটি চলেছিল প্রায় ২৫ মিনিট।
অভিযানে ব্যবহৃত শক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম:
-
এই অভিযানে ১২৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
-
যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি বি-২ বোমারু বিমান মিসৌরি থেকে উড্ডয়ন করে প্রায় ৩৭ ঘণ্টার দীর্ঘ ফ্লাইট শেষে ইরানে পৌঁছে।
-
বি-২ বোমারু বিমানগুলো ১৪টি বাংকার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে।
-
প্রতিটি বি-২ বিমান দুটি করে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা বহনে সক্ষম।
-
অভিযানে অংশ নেয় আরও ফুয়েল ট্যাংকার প্লেন (জ্বালানি ভরার বিমান) এবং সারভেইলেন্স এয়ারক্রাফট (নজরদারি বিমান)।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান:
-
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার হেগসেথ জানান, এই মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা হুমকি দূর করা।
প্রাসঙ্গিক ঘটনাপ্রবাহ:
-
এর আগে ১৩ জুন ২০২৫ তারিখে ইসরায়েল ইরানে অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion) পরিচালনা করে, যেখানে ডজনখানেক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়।
-
এর জবাবে ইরান শুরু করে অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি, যার ফলে উভয় দেশের মধ্যে বিমানযুদ্ধ অব্যাহত থাকে।

0
Updated: 3 weeks ago
ইরান-ইরাক যুদ্ধবিরতির তদারকির কাজে নিয়ােজিত জাতিসংঘের বাহিনী কোন নামে পরিচিত ছিল?
Created: 1 month ago
A
UNIMOG
B
UNIIMOG
C
UNGOMAP
D
UNICEF
UNIIMOG শব্দটির পূর্ণরূপ হলো United Nations Iran-Iraq Military Observer Group। এটি জাতিসংঘ কর্তৃক গঠিত একটি সামরিক পর্যবেক্ষক দল, যা ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে শান্তি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়।
তথ্যসমূহ হলো
-
UNIIMOG হলো জাতিসংঘ ইরাক-ইরান সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ।
-
১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ এই গ্রুপকে প্রেরণ করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও শান্তি বজায় রাখার জন্য।
-
বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণ করে।
-
ওই বছর বাংলাদেশ দুটি মিশনে অংশ নেয়—একটি ইরাক-ইরান (UNIIMOG) এবং অন্যটি নামিবিয়া (UNTAG)।
-
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ১৯৮৮ সালে UNIIMOG মিশনে ১৫ জন সদস্য পাঠায় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।

0
Updated: 1 month ago