মাথাপিছু গ্রিনহাউজ গ্যাস উদগীরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী নিচের কোন দেশটি?
A
রাশিয়া
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ইরান
D
জার্মানি
উত্তরের বিবরণ
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gases)
গ্রিনহাউস গ্যাস হলো সেই গ্যাসগুলো যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলি সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং পুনরায় মহাশূন্যে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে। প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
জলীয় বাষ্প (Water vapor)
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
ওজোন (O₃)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু (per capita) গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কাতার। অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছে: বাহরাইন, ব্রুনাই, কুয়েত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, মঙ্গোলিয়া, সৌদি আরব, এবং অস্ট্রেলিয়া।
উৎস: Our World in Data

0
Updated: 1 month ago
ফিনল্যান্ড কোন দেশের উপনিবেশ ছিল?
Created: 1 month ago
A
রাশিয়া
B
ডেনমার্ক
C
সুইডেন
D
ইংল্যান্ড
ফিনল্যান্ড উত্তর ইউরোপের নর্ডিক অঞ্চলে অবস্থিত এবং “হাজার হ্রদের দেশ” হিসেবে পরিচিত। দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রধানত ঘন বন ও অসংখ্য হ্রদে পরিপূর্ণ। ফিনল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর হলো হেলসিঙ্কি, এবং দেশের পশ্চিম সীমান্ত সুইডেনের সাথে এবং পূর্ব সীমান্ত রাশিয়ার সাথে সংযোগযুক্ত। ইতিহাস অনুযায়ী, ১৮০৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত ফিনল্যান্ড দীর্ঘ সময় সুইডেনের উপনিবেশ ছিল এবং সেই সময় সুইডেন ফিনল্যান্ডকে তাদের উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করতো। ফিনল্যান্ডের আইনসভা এডুসকুন্টা নামে পরিচিত।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
কয়েক হাজার বছর আগে ফিনল্যান্ড সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা ছিল।
-
বরফের চাপে ভূমির স্থানে স্থানীয়ভাবে অবনমন ঘটে, যা হাজার হাজার হ্রদের সৃষ্টি করেছে।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ কোনটির সদস্য নয়?
Created: 1 month ago
A
BCIM-EC
B
OAS
C
OIC
D
BIMSTEC
BIMSTEC, OIC, BCIM-EC এবং OAS সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিম্নরূপ সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রতিটি সংস্থার লক্ষ্য, গঠন এবং সদস্যপদ সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখযোগ্য।
-
BIMSTEC: এর পূর্ণরূপ হলো Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation। এটি একটি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক জোট। এর পূর্বনাম ছিল BISTEC (Bangladesh, India, Sri Lanka, Thailand Economic Cooperation)। পরে মায়ানমার যোগদানের পর “M” যুক্ত হয়ে BIMSTEC হয় এবং নেপাল ও ভুটান যোগদানের মাধ্যমে বর্তমান নাম পায়। বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
-
OIC: এর পূর্ণরূপ হলো The Organisation of Islamic Cooperation। এটি একটি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা এবং মুসলিম দেশগুলোর একটি রাজনৈতিক জোট। গঠিত হয় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে, মরক্কোতে অনুষ্ঠিত রাবাত সম্মেলনের মাধ্যমে। এটি গঠনের মূল প্রেক্ষাপট ছিল ইসরাইল কর্তৃক আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগ। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে এর সদস্যপদ লাভ করে।
-
BCIM-EC: পূর্ণরূপ Bangladesh, China, India and Myanmar Economic Corridor। এটি চীনের Belt and Road Initiative এর অংশ এবং একটি অর্থনৈতিক করিডর। প্রস্তাবিত করিডরটি ভারতের, চীনের, বাংলাদেশের ও মায়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক সংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি।
-
OAS: এর পূর্ণরূপ হলো The Organization of American States, যা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর দ্বারা গঠিত সংস্থা। ১৯৪৮ সালে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটাতে এর চার্টার স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ OAS-এর সদস্য নয়।

0
Updated: 1 month ago
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
লন্ডন
B
ব্রাসেলস
C
বন
D
প্যারিস
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা EU হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
এটি গঠিত হয়েছে ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে।
-
এর প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে।
-
শুরুতে এই জোটে ছিল ৬টি দেশ।
-
বর্তমানে EU-ভুক্ত দেশের সংখ্যা ২৭টি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো হলো
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
EU-এর একক মুদ্রার নাম ইউরো।
-
ইউরো মুদ্রার ধারণা দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইউরো চালু হয় ১ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে।
-
EU দেশগুলোর সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি বাহিনী রয়েছে, যার নাম FRONTEX।
তথ্যসূত্র: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago