সংবিধান অনুযায়ী মিয়ানমারের সংসদে কত শতাংশ আসন অনির্বাচিত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে?
A
২৫%
B
৩৫%
C
৪৫%
D
৫৫%
উত্তরের বিবরণ
মিয়ানমারের সংসদে সেনার সংরক্ষিত আসন
মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির সংসদে ২৫% আসন নির্দিষ্টভাবে সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। অর্থাৎ, সামরিক সদস্যরা নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং সরাসরি অংশগ্রহণ করে এই আসনগুলো পায়। বর্তমানে এটি মোট ১৬৬টি আসন।
মিয়ানমার সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
দেশটি বার্মা নামেও পরিচিত।
-
রাজধানী: নেপিদো
-
মুদ্রা: কিয়াট
-
ভাষা: বার্মিজ
-
বর্তমান রাষ্ট্রপতি: মিন্ট সোয়ে
-
সীমান্ত রক্ষার জন্য রয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশ (BGP)।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৬২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দেশটি ৪৭ বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।
-
২০১১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী নামমাত্র ক্ষমতা হস্তান্তর করে বেসামরিক সরকারের হাতে।
-
২০১৫ সালে অং সাং সু চি’র নেতৃত্বাধীন NLD সরকার গঠন করে।
-
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সাং সু চি ও তার সরকারের পতন ঘটে।
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 days ago
এশিয়ার হিন্দু রাষ্ট্র কোনটি?
Created: 1 week ago
A
নেপাল
B
ভারত
C
ভুটান
D
মালদ্বীপ
এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।
নেপালকে ১৯৬২ ও ১৯৯০ সালের সংবিধানের মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে, অন্তর্বর্তীকালীন সংসদের মাধ্যমে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করা হলেও,
তখন ধর্মের স্বাধীনতাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে এমন কোনো আইন পরিবর্তন করা হয়নি। তবে ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে নেপাল প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়, এবং এর পর নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে সংবিধানে চিহ্নিত করা হয়।
- অপশনের ৪টি রাষ্ট্র সাংবিধানিকভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
উৎস: U.S. Department of State (.gov) ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
Who is known as the 'Lady of the Lamp'?
Created: 1 week ago
A
Sorojini Naidu
B
Hellen Killer
C
Florence Nightingale
D
Madame Teresa
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
-
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল আধুনিক নার্সিং পেশার অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্মগ্রহণ করেন ১২ মে, ১৮২০ সালে।
-
‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ নামেও তার খ্যাতি আছে।
-
১৩ আগস্ট, ১৯১০ সালে তিনি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
নার্সিং এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অবদান:
-
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে (১৮৫৩–১৮৫৬) আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। দিনে কাজ করে রাতে আহত সৈন্যদের সেবা দেওয়ায় তিনি বিশেষ খ্যাতি পান।
-
লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে নার্সিং পেশাকে পেশাদার রূপ দেওয়ার জন্য ১৮৬০ সালে তিনি ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বর্তমানে ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল স্কুল অব নার্সিং’ নামে পরিচিত।
-
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
সম্মাননা:
-
১৮৮৩ সালে রানি ভিক্টোরিয়া তাকে ‘রয়েল রেডক্রস’ পদক প্রদান করেন।
-
প্রথম নারী হিসেবে ১৯০৭ সালে তিনি ‘অর্ডার অব মেরিট’ খেতাব লাভ করেন।
-
১৯০৮ সালে লন্ডন নগরী তাকে ‘অনারারি ফ্রিডম’ উপাধি প্রদান করে।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 1 week ago
বর্তমান বিশ্বের কোন দেশটির সংবিধানকে 'শান্তি সংবিধান' বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
জাপান
B
পেরু
C
কোস্টারিকা
D
সুইজারল্যান্ড
জাপানের সংবিধান ও ‘শান্তির সংবিধান’
জাপানের সংবিধানকে প্রায়শই ‘শান্তির সংবিধান’ বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাপান আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
প্রেক্ষাপট:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হলে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের সংসদ (ডায়েট) সংবিধান প্রস্তাব করে এবং ৩ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে এটি গৃহীত হয়।
-
কার্যকর হয় ৩ মে ১৯৪৭ সালে।
-
সংবিধান প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি প্রভাব ছিল।
-
এটি পূর্বে প্রযোজ্য মেইজি সংবিধান (Meiji Constitution)-এর পরিবর্তে প্রণয়িত হয়।
Article 9 (যুদ্ধ বর্জন):
"Aspiring sincerely to an international peace based on justice and order, the Japanese people forever renounce war as a sovereign right of the nation and the threat or use of force as means of settling international disputes. In order to accomplish the aim of the preceding paragraph, land, sea, and air forces, as well as other war potential, will never be maintained. The right of belligerency of the state will not be recognized."
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদ জাপানকে আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো সামরিক আক্রমণ বা যুদ্ধের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
তবে, ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে অনেকেই এখন জাপানের সংবিধানকে সম্পূর্ণ শান্তির সংবিধান হিসেবে মানতে নারাজ।
উৎস: এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ও জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago