A
ইন্দোনেশিয়া
B
মালয়েশিয়া
C
মালদ্বীপ
D
পাকিস্তান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইতিহাস
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো:
-
প্রথম অনারব ও আফ্রিকান দেশ:
-
প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
-
প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেনেগাল স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।
-
-
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া আরব দেশসমূহ:
-
ইরাক: আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৮ জুলাই ১৯৭২।
-
লেবানন: ২৮ মার্চ ১৯৭৩।
-
ইরান: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪।
-
সৌদি আরব: ১৬ আগস্ট ১৯৭৫।
-
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশসমূহ:
-
প্রথম এশিয়ার মুসলিম দেশ: মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
-
প্রথম এশিয়ার বাইরে দেশ: পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)।
-
প্রথম পশ্চিমা দেশ: গ্রেট ব্রিটেন (৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৪ এপ্রিল ১৯৭২।
-
দক্ষিণ আমেরিকা: ভেনিজুয়েলা (২ মে ১৯৭২)।
-
ফ্রান্স: ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।
-
ব্রাজিল: ১৫ মে ১৯৭২।
-
আর্জেন্টিনা: ২৫ মে ১৯৭২।
-
উৎস: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

0
Updated: 3 days ago
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন চলছিল সেটি হলো:
Created: 6 days ago
A
ইসলামাবাদের সামরিক সরকার পদত্যাগের আন্দোলন
B
পূর্ব পাকিস্তানের অসহযোগ আন্দোলন
C
প্রেসিডেন্ট ইয়াহহিয়ার পদত্যাগ আন্দোলন
D
মার্শাল 'ল' পদত্যাগের আন্দোলন
অসহযোগ আন্দোলন (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন। এতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং প্রতিবাদস্বরূপ ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতালের ডাক দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন।
👉 এ আন্দোলন চলেছিল ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
👉 আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় শাসনের পরিবর্তে বাঙালির স্বশাসন প্রতিষ্ঠা।
👉 আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুসারে আন্দোলন পরিচালিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দেয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ
৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণকে ইতিহাসে “বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ” নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ভাষণে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দেন এবং ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন—
-
মার্শাল ল প্রত্যাহার,
-
সেনাদের ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন,
-
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত,
-
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে তোলে এবং মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে দেয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 6 days ago
চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
অতীশ দিপঙ্কর
B
শিলভদ্র
C
মা হুয়ান
D
মেগাস্থিনিস
হিউয়েন সাঙ ও তাঁর নালন্দা অধ্যয়ন
হিউয়েন সাঙ ছিলেন চীনা এক বিখ্যাত পরিব্রাজক এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি ফা-হিয়েনের পরবর্তী তীর্থযাত্রী হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভ্রমণলিপি থেকে সাত শতকের দ্বিতীয়ার্ধের বাংলার কিছু ইতিহাস জানা যায়। সে সময় উত্তর ভারতে সম্রাট হর্ষবর্ধন, বাংলায় শশাঙ্ক এবং আসামে ভাস্করবর্মণ শাসন করছিলেন।
ভ্রমণ ও অধ্যয়ন:
-
৬২৯ সালে হিউয়েন সাঙ চীন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং উত্তরের বাণিজ্যপথ হয়ে মধ্য এশিয়ার কুশ হয়ে উত্তর ভারতে পৌঁছান।
-
কনৌজনগরে সম্রাট হর্ষবর্ধনের আতিথ্য লাভ করেন।
-
নালন্দা মহাবিহারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে অধ্যাপকদের কাছ থেকে বৌদ্ধ দর্শন, যুক্তি ও ধর্মশাস্ত্র শিখেন।
-
নালন্দার অধ্যক্ষ আচার্য শীলভদ্র ছিলেন তাঁর প্রধান শিক্ষক। শীলভদ্র নিজে সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব ও সাংখ্যদর্শন অধ্যয়ন করেছিলেন।
বাংলা ও শশাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য:
-
৬৩৮ সালের দিকে হিউয়েন সাঙ বাংলায় পৌঁছান।
-
তাঁর লেখা থেকে শশাঙ্কের ইতিহাস, হর্ষবর্ধনের সঙ্গে শশাঙ্কের বৈরিতা এবং শশাঙ্কের ধর্মনীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়।
প্রত্যাবর্তন ও পরবর্তী জীবন:
-
৬৪৫ সালে চীনে ফিরে তিনি উষ্ম সংবর্ধনা পান।
-
৬৬৪ সাল পর্যন্ত বৌদ্ধ রচনাগুলোর চীনা অনুবাদে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করেন।
শৈশব ও প্রারম্ভিক শিক্ষা:
-
শৈশব থেকেই ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন জ্ঞানী লেখকদের পাঠে আগ্রহী ছিলেন।
-
লুওইয়াং নগরে ১৩ বছর বয়সে বৌদ্ধভিক্ষু সম্প্রদায়ে প্রবেশ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
জাতীয় সংসদে 'কাউন্টিং' ভোট কি?
Created: 3 days ago
A
সংসদ নেতার ভোট
B
হুইপের ভোট
C
স্পিকারের ভোট
D
রাষ্ট্রপতির ভোট
কাস্টিং ভোট (Casting Vote)
কাস্টিং ভোট হলো স্পিকারের একটি বিশেষ ভোট যা সংসদে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে যখন ভোটের ফল সমান হয়।
মূল বিষয়সমূহ
-
জাতীয় সংসদে কখনো কোনো প্রস্তাব বা বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়ে।
-
এমন সময় সংসদের অচলাবস্থা দূর করতে স্পিকার তার কাস্টিং ভোট প্রয়োগ করেন।
-
স্পিকার সাধারণ পরিস্থিতিতে ভোট দিতে পারেন না; কেবল সমান ভোটের ক্ষেত্রে তার এই নির্ণায়ক ভোট কার্যকর হয়।
-
এটি সংসদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সমতা ভাঙার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সংবিধানের দিক থেকে
বাংলাদেশের সংবিধান, ধারা ৭৫(১) অনুযায়ী:
"উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করিবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করিবেন।"
উৎস: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 3 days ago