নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
উত্তরের বিবরণ
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোন সংস্থাটি স্বল্প আয়ের উন্নয়নশীল দেশে বেসরকারি খাতে আর্থিক সহায়তা ও উপদেশ দিয়ে থাকে?
Created: 1 month ago
A
IFC
B
IBRD
C
MIGA
D
ICSID
বিশ্বব্যাংক এবং এর সম্পর্কিত সংস্থা IFC সংক্রান্ত তথ্য
বিশ্বব্যাংক গ্রুপ:
বিশ্বব্যাংক মূলত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
-
International Bank for Reconstruction and Development (IBRD) – সাধারণত “বিশ্বব্যাংক” নামে পরিচিত।
-
International Finance Corporation (IFC) – বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও পরামর্শ প্রদান করে।
-
Multilateral Investment Guarantee Agency (MIGA) – বিদেশী বিনিয়োগকে গ্যারান্টি দেয়।
-
International Center for Settlement of Investment Disputes (ICSID) – বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধ সমাধান করে।
-
International Development Association (IDA) – সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
IBRD সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
-
IBRD-এর পূর্ণরূপ হলো International Bank for Reconstruction and Development।
-
১৯৪৪ সালের ব্রেটন উডস সম্মেলনে IBRD প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ১৯৪৬ সালের জুনে কার্যক্রম শুরু করে।
-
IMF ও IBRD দুইটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে ব্রেটন উডস যমজ বলা হয়।
IFC সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
IFC-এর পূর্ণরূপ হলো International Finance Corporation।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালের ২০ জুলাই।
-
IFC-এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৮৬টি।
-
সদর দফতর: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
-
সংস্থার মূল কাজ হলো স্বল্প আয়ের উন্নয়নশীল দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও পরামর্শ প্রদান।
উৎস: World Bank ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি D-৮ ভুক্ত দেশ নয়?
Created: 1 month ago
A
নাইজেরিয়া
B
ভারত
C
মালয়েশিয়া
D
তুরস্ক
ভারত D-8 দেশের মধ্যে নেই।
D-8 এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
পূর্ণরূপ: Developing Eight (উন্নয়নশীল আট দেশ)।
-
উদ্দেশ্য: মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো।
-
প্রতিষ্ঠার সময়: ১৫ জুন ১৯৯৭।
-
প্রতিষ্ঠা ঘোষণা: ইস্তানবুল ডিক্লারেশন।
-
সদরদপ্তর: ইস্তানবুল, তুরস্ক।
-
সদস্য দেশ: শুরুতে ৮টি দেশ, বর্তমানে ৯টি দেশ।
-
সদস্যরা: তুরস্ক, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান, মিশর, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং আজারবাইজান।
-
উল্লেখযোগ্য: ডিসেম্বর ২০২৪-এ আজারবাইজান ৯ম সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
-
-
বর্তমান মহাসচিব: ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম।
-
শীর্ষ সম্মেলন: প্রতি দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Developing Eight ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা করে কোন দেশ?
Created: 1 month ago
A
নাইজেরিয়া
B
গাম্বিয়া
C
বাংলাদেশ
D
আলজেরিয়া
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (ICJ)–এ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী আবু বকর মারি তামবাদু।
-
পূর্ণ নাম: ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত
-
অবস্থান: সদরদপ্তর নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৪৫ সালে সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত
-
কার্যক্রম শুরু: ১৯৪৬ সালে
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: নওয়াফ সালাম
-
বিচারক সংখ্যা: ১৫ জন
-
বিচারক নির্বাচন: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচিত
-
মেয়াদ: একজন বিচারক ৯ বছরের জন্য এবং একজন সভাপতি ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হন
-
কার্যক্ষেত্র: এই আদালত মূলত রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করে। এছাড়াও গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আগ্রাসনমূলক অপরাধের বিষয়ে রায় প্রদান করে।

0
Updated: 1 month ago