A
২ ভাগে
B
৪ ভাগে
C
৫ ভাগে
D
৮ ভাগে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি প্রধান ভাগে تقسیم করা যায়:
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বতের উত্থানের সময় যে পাহাড়গুলো সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় বলা হয়।
-
এই যুগ প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে।
-
বাংলাদেশের টারশিয়ারি পাহাড়গুলো রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে অবস্থিত।
-
এ পাহাড়গুলোকে আসামের লুসাই পাহাড় এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলে ধরা হয়।
-
গঠন: বেলেপাথর, শেল ও কর্দম।
অবস্থান অনুসারে ভাগ:
-
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
ভূমির ভাগ
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়: ১২%
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপান: ৮%
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি: ৮০%
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 3 days ago
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
আলমগীরনামা
B
আইন-ই-আকবরী
C
আকবরনামা
D
তুজুক-ই-আকবরী
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তি
আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে বাংলা নামের উৎপত্তি প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ পাওয়া যায়।
আইন-ই-আকবরী
-
মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজদরবারের ঐতিহাসিক আবুল ফজল এই গ্রন্থটি রচনা করেন।
-
এটি মূলত আকবরনামা নামের বৃহৎ ইতিহাসগ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড।
-
আকবর যে সব প্রশাসনিক আইন ও নীতি কার্যকর করেছিলেন, সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ এখানে পাওয়া যায়।
-
যদিও এটি আকবরনামার অংশ, তবুও আইন-ই-আকবরী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে এ গ্রন্থের তথ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা নামের উৎপত্তি
গ্রন্থে উল্লেখ আছে—
-
বাংলার প্রাচীন নাম ছিল বঙ্গাল।
-
কারণ, এই দেশের রাজারা সারাদেশে চওড়া ‘আল’ (উঁচু বাঁধ/মাটি তোলা রাস্তা) নির্মাণ করতেন।
-
তাই ‘বঙ্গ’ + ‘আল’ = ‘বঙ্গাল’, যেখান থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago
BTRC-এর ইংরেজি পূর্ণরূপ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
Bangladesh Telephone Regulatory Commission
B
Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission
C
Bangladesh Telecom Regulatory Commission
D
Bangladesh Telephone and Telegraph Regulatory Commission
BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন)
-
পূর্ণরূপ: Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission।
-
প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (Bangladesh Telecommunication Regulatory Act, 2001) অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি ২০০২-এ BTRC গঠিত হয়।
-
উদ্দেশ্য:
-
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন।
-
সেলুলার নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ, ক্যাবল এবং অন্যান্য টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ।
-
-
পূর্ববর্তী ইতিহাস:
-
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড গঠিত হয়।
-
১৯৯৫ সালে বোর্ড সম্পর্কিত অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়।
-
-
কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব: BTRC চালু হওয়ার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব BTRC-এর ওপর হস্তান্তর করা হয়।
সূত্র: BTRC ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
যমুনা নদীতে
B
মেঘনার মোহনায়
C
বঙ্গোপসাগরে
D
সন্দ্বীপ চেনেল
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড – বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
প্রকৃতি: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো খাদাকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গভীর গিরিখাত।
-
অবস্থান: এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত। অনেকে এটিকে “গঙ্গা খাদ” নামেও চেনে।
-
প্রস্থ ও ঢাল: খাদটির প্রস্থ প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার। তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল, এবং পার্শ্ব দেয়ালের ঢাল প্রায় ১২°।
-
গভীরতা: মহীসোপানের কাছাকাছি অংশে খাদটির গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
পলল ও স্রোত: বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ঘোলাটে স্রোত বহন করে এবং পললসমূহ গভীর সমুদ্রে স্থানান্তর করে। বেশিরভাগ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল থেকে উৎপন্ন হয়, যা হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে আসা নদী ও প্রবাহের মাধ্যমে সাগরে পৌঁছায়।
-
বর্তমান প্রভাব: বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত এবং বালি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago