A
২৬
B
২৭
C
২৮
D
৩১
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS) ও ক্যাডারের সংখ্যা
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (BPSC) একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের সকল সরকারি কর্মে উপযুক্ত এবং যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করার দায়িত্ব পালন করে। BPSC প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে দেশের মানব সম্পদ পরিকল্পনায় উৎকর্ষ সাধন এবং জনপ্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সংখ্যা বর্তমানে ২৬টি। এর মধ্যে, ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বরের বাংলাদেশ গেজেট (S.R.O. নং-৩৩৫-আইন/২০১৮) অনুযায়ী, ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সাথে একীভূত করা হয়েছে।
BCS-এর ২৬টি ক্যাডার:
১. প্রশাসন
২. কৃষি
৩. আনসার
৪. সমবায়
৫. শুল্ক ও আবগারি
৬. পরিবার পরিকল্পনা
৭. মৎস্য
৮. খাদ্য
৯. পররাষ্ট্র
১০. বন
১১. সাধারণ শিক্ষা
১২. স্বাস্থ্য
১৩. তথ্য
১৪. পশু সম্পদ
১৫. পুলিশ
১৬. ডাক
১৭. জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল
১৮. গণপূর্ত
১৯. রেলওয়ে প্রকৌশল
২০. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক
২১. সড়ক ও জনপথ
২২. পরিসংখ্যান
২৩. কর
২৪. কারিগরি শিক্ষা
২৫. বাণিজ্য
২৬. নিরীক্ষা ও হিসাব
উৎস: বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (bpsc.gov.bd)।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা কতটি?
Created: 6 days ago
A
১৭টি
B
২০টি
C
৬৪টি
D
১৯টি
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা
-
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় পূর্ব বাংলার মোট ১৭টি জেলা ছিল।
-
দেশভাগের আগে পূর্ব বাংলায় ১৫টি জেলা ছিল।
-
১৯৪৭ সালে নদীয়া জেলার কিছু অংশসহ বৃহত্তর কুষ্টিয়াকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে জেলার সংখ্যা হয়ে যায় ১৬টি।
-
পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেট পাকিস্তানে যোগদান করলে জেলা সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭টি।
-
পাকিস্তান শাসনাধীন সময় ১৯৬৯ সালে ঢাকা জেলা থেকে টাঙ্গাইল এবং বরিশাল জেলা থেকে পটুয়াখালী জেলা সৃষ্টি হয়। তখন স্বাধীনতার পূর্বে বৃহত্তর জেলার সংখ্যা হয় ১৯টি।
-
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ও বৃহত্তর জেলা ছিল ১৯টি।
-
পরে ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলা গঠন করা হয়, যাতে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়।
এই প্রশ্নের ক্ষেত্রে যেহেতু “বাংলাদেশ” উল্লেখ আছে, তাই স্বাধীনতার সময়ের জেলা সংখ্যা ১৯টি ধরা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি), জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 6 days ago
যে জেলায় হাজংদের বসবাস নেই-
Created: 3 days ago
A
শেরপুর
B
ময়মনসিংহ
C
সিলেট
D
নেত্রকোনা
হাজং
-
হাজং বাংলাদেশে একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এরা মূলত ময়মনসিংহ জেলের পর্বতময় এলাকায় বসবাস করে। এছাড়াও শেরপুর, সিলেট ও নেত্রকোনা অঞ্চলেও হাজং জনগোষ্ঠীর কিছু পরিবার রয়েছে।
-
নৃবিজ্ঞানীদের মতে, হাজংদের আদি নিবাস উত্তর বার্মা।
-
বাংলাদেশের হাজংদের প্রধান ভাষা হলো বাংলা। তবে এদের নিজস্ব ভাষাও রয়েছে।
-
হাজং ভাষার জন্য কোনো নিজস্ব বর্ণমালা নেই; লিখনের জন্য তারা অসমীয়া বর্ণমালা ব্যবহার করে।
-
হাজংরা সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং তাদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক।
নৃগোষ্ঠি সনদ অনুযায়ী
-
হাজং বাংলাদেশ ও ভারতের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশে এরা নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় বসবাস করে।
-
দেশের অন্য কোথাও এদের বসবাসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
-
বর্তমানে বাংলাদেশে হাজংদের সংখ্যা প্রায় ৩,০০০ জন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্ববৃহৎ কারখানা কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
চট্টগ্রাম
B
পাকশি
C
সৈয়দপুর
D
আখাউড়া
দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা
বাংলাদেশ রেলপথ, যা সরকারি মালিকানাধীন ও সরকার পরিচালিত, দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা, সৈয়দপুরে দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানার অবস্থান। এজন্য সৈয়দপুরকে প্রায়শই রেলওয়ে শহর বলা হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি ১৮৭০ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে স্থাপিত হয়। এই কারখানার কারণে সৈয়দপুর শহরের বিকাশ ও গোড়াপত্তন মূলত ঘটে। কারখানাটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়।
কারখানার কাজের মধ্যে রয়েছে নাট-বল্টু প্রস্তুতি, রেলওয়ের ব্রডগেজ এবং মিটারগেজ লাইনের বগি মেরামত এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় মেরামত। এটি ১১০.২৯ একর জমির ওপর বিস্তৃত এবং এতে মোট ২৮টি শপ (উপকারখানা) রয়েছে।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ইত্তেফাক।

0
Updated: 2 weeks ago