A
পেট্রাপোল
B
কৃষ্ণনগর
C
ডাউকি
D
মোহাদিপুর
উত্তরের বিবরণ
বেনাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থলবন্দর
বেনাপোল স্থলবন্দর:
-
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর।
-
অবস্থিত যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্তে।
-
বিস্তৃত এলাকা: ৮৬.৬৮ একর।
-
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর এর সঙ্গে সংযুক্ত।
-
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মহত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কেন্দ্র।
-
দেশের স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৯০% এই বন্দরের মাধ্যমে হয়।
-
এছাড়া, তল্লাশী ও আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ও সংলগ্ন ভারতের বন্দর:
বাংলাদেশের বন্দর | অবস্থান | সংলগ্ন ভারতীয় বন্দর |
---|---|---|
দর্শনা | চুয়াডাঙ্গা | কৃষ্ণনগর (পশ্চিমবঙ্গ) |
তামাবিল | সিলেট | ডাউকি (মেঘালয়) |
সোনা মসজিদ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | মোহাদিপুর (পশ্চিমবঙ্গ) |
বিভিন্ন স্থলবন্দর ও তাদের অবস্থান:
-
বেনাপোল: শার্শা, যশোর
-
বুড়িমারী: পাটগ্রাম, লালমনিরহাট
-
আখাউড়া: আখাউড়া, বাহ্মনবাড়িয়া
-
নাকুগাঁও: নালিতাবাড়ী, শেরপুর
-
তামাবিল: গোয়াইনঘাট, সিলেট
-
সোনাহাট: ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম
-
দর্শনা: দামুরহুদা, চুয়াডাঙ্গা
-
বিলোনিয়া: বিলোনিয়া, ফেনী
উৎস: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

0
Updated: 3 days ago
বাগদা চিংড়ি কোন দশক থেকে রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্থান করে নেয়?
Created: 1 week ago
A
পঞ্চাশ দশক
B
ষাট দশক
C
সত্তর দশক
D
আশির দশক
বাগদা চিংড়ি (Penaeus monodon) এবং এর রপ্তানি গুরুত্ব
-
বাগদা চিংড়ি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যজাত, যা মূলত লোনা পানিতে উৎপাদিত হয়। লোনা পানিতে চিংড়ি উৎপাদিত হলে তাকে সাধারণত শ্রিম্প (Shrimp) এবং স্বাদু পানিতে উৎপাদিত হলে প্রন (Prawn) বলা হয়।
-
বাগদা চিংড়ি আন্তর্জাতিক বাজারে Black Tiger Shrimp নামে পরিচিত।
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলা, বিশেষ করে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা, বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র।
ইতিহাস ও উৎপাদন:
-
১৯৭০-এর দশকের শুরু থেকে উপকূলীয় চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন।
-
১৯৮০-এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাগদা চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়।
-
এই সময় খুলনা অঞ্চলে পোল্ডার এবং কক্সবাজারে লবণ যুক্ত পানি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
-
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মৎস্য অধিদপ্তরের হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনে সাফল্য আসে এবং বেসরকারি খাতের হ্যাচারি স্থাপনে সহায়তা প্রদান করা হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
-
চিংড়ি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য।
-
দেশের মোট চিংড়ি উৎপাদনের একটি বড় অংশ উপকূলীয় অঞ্চলে হয়।
উৎস: পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, মৎস্য অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, প্রথম আলো, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১।

0
Updated: 1 week ago
প্রান্তিক হ্রদ কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
রাঙামাটি
B
খাগড়াছড়ি
C
বান্দরবান
D
সিলেট
প্রান্তিক হ্রদ
প্রান্তিক হ্রদ বা প্রান্তিক লেক বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। এটি প্রায় ২৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি কৃত্রিম জলাশয়। লেকটির চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি দেখা যায়।
অবস্থান:
-
বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পাশে হলুদিয়া এলাকায় অবস্থিত।
-
জেলা সদর থেকে লেক পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরত্ব।
সুবিধা:
-
লেকের পাশে আছে উন্মুক্ত মাটির মঞ্চ, পিকনিক স্পট, বিশ্রামাগার এবং একটি উঁচু গোল ঘর।
বান্দরবান জেলা
-
বান্দরবান ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের অংশ হিসেবে জেলা ঘোষণা করা হয়।
-
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন অনুযায়ী অঞ্চলটি তিনটি সার্কেলে বিভক্ত হয়: চাকমা সার্কেল, মং সার্কেল এবং বোমাং সার্কেল।
-
বান্দরবান তৎকালীন সময়ে বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাই জেলার প্রাথমিক নাম ছিল বোমাং থং।
-
১৯৫১ সালে বান্দরবান মহকুমা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে।
-
১৯৮১ সালের ১৮ এপ্রিল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে লামাসহ সাতটি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত।
-
ভৌগোলিক অবস্থান: দক্ষিণে মায়ানমার, পূর্বে ভারত।
-
প্রধান পাহাড়ি অঞ্চল: মিরিঞ্জা, ওয়ালটং, তামবাং এবং পলিতাই।
-
প্রধান নদী: সাঙ্গু, মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 week ago
শালবন বিহার কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
গাজীপুর
B
মধুপুর
C
রাজবাড়ী
D
কুমিল্লার ময়ানমতি পাহাড়ের পাশে
শালবন বিহার
শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এটি কোটবাড়ির বার্ডেরকাছের লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটির নামকরণ হয়েছে আশেপাশের একসময়কার ঘন শাল-গজারি বন থেকে।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিক থেকে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭.৭ মিটার। এখানে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই পথ ছিল। বিহারের ভিতরে মোট ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিক্ষা গ্রহণ ও ধর্মচর্চা করতেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, প্রচুর পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 weeks ago