ট্যারিফ কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
A
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
B
অর্থ মন্ত্রণালয়
C
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
D
শিল্প মন্ত্রণালয়
উত্তরের বিবরণ
ট্যারিফ কমিশন
ট্যারিফ কমিশন হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং অসাম্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা রোধ করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা ও আইনগত ভিত্তি:
২৮ জুলাই ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি একটি অধিদপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে। পরে, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (৪৩ নম্বর আইন) অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয় এবং স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার পায়। -
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশীয় শিল্পকে বিদেশি পণ্যের অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা এবং শিল্পজাত পণ্যের যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। -
সংগঠন ও নেতৃত্ব:
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত। এর নেতৃত্বে থাকেন সরকারি সচিব পর্যায়ের মর্যাদাসম্পন্ন চেয়ারম্যান। -
শাখা ভিত্তিক বিভাজন:
কমিশনের কাজ তিনটি প্রধান শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়:-
বাণিজ্য নীতিমালা শাখা
-
বাণিজ্য প্রতিকার শাখা
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শাখা
প্রতিটি শাখার নেতৃত্বে একজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও একটি প্রশাসনিক শাখা আছে, যা কমিশনের সচিব দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: ট্যারিফ কমিশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রতীরে কোনটির প্রাচুর্য থাকে?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রোজেন (Nitrogen)
B
হাইড্রোজেন (Hydrogen)
C
অক্সিজেন (Oxygen)
D
ওজোন (Ozone)
সাধারণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেন (৭৮.০২%)। এরপর রয়েছে অক্সিজেন (২০.৭১%)।
সামান্য পরিমাণে আর্গন (০.৮০%), জলীয়বাষ্প (০.৪১%), কার্বন-ডাই-অক্সাইড (০.০৩%) এবং অন্যান্য গ্যাস মিলে প্রায় ০.০২% পাওয়া যায়।
তাই বলা যায়, সমুদ্রতীরের বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয়বাষ্পের কিছুটা তারতম্য থাকলেও, বাতাসের মূল অংশজুড়ে থাকে নাইট্রোজেন গ্যাস।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
যমুনা নদীতে
B
মেঘনার মোহনায়
C
বঙ্গোপসাগরে
D
সন্দ্বীপ চেনেল
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড – বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
প্রকৃতি: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো খাদাকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গভীর গিরিখাত।
-
অবস্থান: এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত। অনেকে এটিকে “গঙ্গা খাদ” নামেও চেনে।
-
প্রস্থ ও ঢাল: খাদটির প্রস্থ প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার। তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল, এবং পার্শ্ব দেয়ালের ঢাল প্রায় ১২°।
-
গভীরতা: মহীসোপানের কাছাকাছি অংশে খাদটির গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
পলল ও স্রোত: বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ঘোলাটে স্রোত বহন করে এবং পললসমূহ গভীর সমুদ্রে স্থানান্তর করে। বেশিরভাগ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল থেকে উৎপন্ন হয়, যা হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে আসা নদী ও প্রবাহের মাধ্যমে সাগরে পৌঁছায়।
-
বর্তমান প্রভাব: বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত এবং বালি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে দেনদরবার করার ক্ষেত্রে কোন নেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
Created: 5 days ago
A
হাকিম আজমল খান
B
শেরে বাংলা এ, কে. ফজলুল হক
C
স্যার সলিমুল্লাহ
D
স্যার আব্দুর রহিম
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং ব্রিটিশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে দেনদরবার করেন।
-
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
-
তিনি রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জায়গা নিশ্চিত করেন।
-
বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে।
-
তিনি ১৯০৫ সাল থেকেই সরকারের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলেন।
-
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় এসে তিন দিন অবস্থান করেন।
-
৩১ জানুয়ারি নবাব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে একটি মানপত্র ও প্রস্তাব পেশ করে, যাতে পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
-
এর পরদিন, ২ ফেব্রুয়ারি ১৯১২ সালে, ভারত সরকার এক ইশতেহারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ ঘোষণা করে।
-
অবশেষে ১৯২১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়।

0
Updated: 5 days ago