বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করে-
A
ব্র্যাক ব্যাংক
B
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
C
এবি ব্যাংক
D
সোনালী ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ইতিহাস
-
বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
-
২০১১ সালের ৩১ মার্চ, সিটিসেল ও বাংলালিংকের মাধ্যমে ডাচ্বাংলা ব্যাংক প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুরু করে।
-
বর্তমানে ডাচ্বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি “রকেট” নামে পরিচিত।
-
প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্যাংক এশিয়া।
-
পরে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে “বিকাশ” সেবা চালু হয়।
-
২০১৯ সালের মার্চে ডাক বিভাগের “নগদ” সেবা শুরু হয়।
-
বর্তমানে বিকাশ, রকেট, মাই ক্যাশ, উপায়, শিওর ক্যাশ সহ প্রায় ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।
উৎস: ডেইলি স্টার রিপোর্ট ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।

0
Updated: 1 month ago
অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের কোন অংশের কর্মকর্তা?
Created: 1 week ago
A
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
B
বিচার বিভাগ
C
নির্বাহী বিভাগ
D
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ
অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, যিনি সরকারের আইন সম্পর্কিত কাজের প্রধান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সরকারকে আইনগত পরামর্শ দেন এবং দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে সরকারের পক্ষে বিচার পরিচালনা করেন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেল, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের সরকারের chief legal advisor।
-
তিনি Bangladesh Supreme Court-এ সরকারের প্রধান আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ সরকারের principal legal advisor এবং সরকারকে আইনগত দিক থেকে সহায়তা প্রদান করেন।
-
তার পদাধিকার অনুযায়ী তিনি Bangladesh Bar Council-এর সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেলকে সহায়তা করেন কিছু Additional Attorney Generals, Deputy Attorney Generals, এবং Assistant Attorney Generals।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল একটি সাংবিধানিক পদ নয়, বরং একটি statutory position।
-
সংবিধানের ধারা ৬৪(১) অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি যেকোনো ব্যক্তি যিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য, তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করতে পারেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান,
-
তিনি ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল,
-
এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি বিচার বিভাগের কাজ নয়?
Created: 1 week ago
A
আইনের প্রয়োগ
B
আইনের ব্যাখ্যা
C
সংবিধানের ব্যাখ্যা
D
সংবিধান প্রণয়ন
বিচার বিভাগ দেশের শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু মামলার নিষ্পত্তি নয় বরং আইন, শাসন ও সংবিধানের রক্ষা নিশ্চিত করে।
এটি দেশের সমস্ত বিচারকের দ্বারা গঠিত এবং দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগের কার্যাবলি নিম্নরূপ:
বিচার সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনকে বাস্তবায়ন করে এবং দেশের আইনের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে।
-
এটি ব্যক্তির, রাষ্ট্রের এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ সমাধান করে।
আইন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং প্রয়োজনে নিজের মতামতও প্রতিফলিত করে।
-
এই ব্যাখ্যাগুলো পরবর্তীতে উদাহরণ (precedent) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শাসন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ শুধু মামলার নিষ্পত্তি করে না, শাসন সংক্রান্ত কাজও করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, নাবালকের সম্পত্তি তদারকি করা বা বিদেশী নাগরিককে নাগরিকত্ব প্রদান করা।
পরামর্শ প্রদান
-
শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ প্রায়ই বিচার বিভাগের পরামর্শের উপর নির্ভর করে।
-
বিচার বিভাগ এখানে জ্ঞানসমৃদ্ধ পরামর্শ বা উপদেশ (advice) প্রদান করে।
জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা
-
বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করে।
-
শাসন বিভাগের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে এটি একমাত্র প্রতিরক্ষা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা (injunction) জারি করে।
তদন্ত সংক্রান্ত কাজ
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার জনগণের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে বাধ্য।
-
অন্যায়, জোর-জবরদস্তি, অপরাধ বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ তদন্ত পরিচালনা করে এবং আইন শাসন নিশ্চিত করে।
সংবিধান সংরক্ষণ
-
বিচার বিভাগ সংবিধানের রক্ষক (guardian of the constitution)।
-
সংবিধান ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বিবাদ সমাধান করে এবং সংবিধানের প্রাধান্য নিশ্চিত করে।
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা
-
ন্যায় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগের একটি মূল কাজ।
-
এটি মামলা পরিচালনা করে নথি পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ এবং অপরাধীর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় কোন জেলায়?
Created: 1 month ago
A
ফরিদপুর
B
রংপুর
C
জামালপুর
D
শেরপুর
কৃষি পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুযায়ী শীর্ষ উৎপাদনকারক অঞ্চলসমূহ
কৃষি পরিসংখ্যান গ্রন্থ-২০২৩ অনুযায়ী, পাট উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভাগ ও জেলা অনুসারে শীর্ষ স্থানগুলো হলো:
-
বিভাগ হিসেবে: ঢাকা বিভাগ সর্বোচ্চ পাট উৎপাদন করে, মোট ২৯,৪৬,৪৮৬ বেলস।
-
জেলা হিসেবে: ফরিদপুর জেলা সর্বোচ্চ পাট উৎপাদন করে, মোট ৯,৯১,৮৭৫ বেলস।
ধান, গম, ভূট্টা, তুলা, চা, তামাক এবং আলুর ক্ষেত্রে শীর্ষ জেলা সমূহ:
-
ধান: ময়মনসিংহ
-
গম: ঠাকুরগাঁও
-
ভূট্টা: দিনাজপুর
-
তুলা: ঝিনাইদহ
-
চা: মৌলভীবাজার
-
তামাক: কুষ্টিয়া
-
পাট: ফরিদপুর
-
আলু: রংপুর
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান গ্রন্থ-২০২৩

0
Updated: 1 month ago