A
ডায়মন্ড
B
রূপালী
C
ড্রামহেড
D
ব্রিশাইল
উত্তরের বিবরণ
উচ্চ ফলনশীল ফসল ও তাদের জাত
কৃষি খাতে বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত নির্বাচনের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান ফসল ও তাদের উচ্চ ফলনশীল জাতের তালিকা দেওয়া হলো:
১. আলু:
উচ্চ ফলনশীল আলুর জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
হীরা
-
আইলসা
-
ডায়মন্ড
-
কার্ডিনাল
-
চমক
-
সুন্দরী
-
কুফরী
২. তুলা:
উন্নত জাতের তুলা শস্যের একটি জনপ্রিয় জাত হলো:
-
রূপালী
৩. বাঁধাকপি:
উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে:
-
গ্রীন এক্সপ্রেস
-
ড্রামহেড
-
গোল্ডেন ক্রস
-
প্রভাতী
-
অগ্রদূত
৪. ধান:
উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের মধ্যে রয়েছে:
-
বিপ্লব
-
ইরাটম
-
ব্রিশাইল
-
ময়না
-
চান্দিনা
-
হরিধান
-
নারিফা
-
প্রগতি
৫. অন্যান্য:
-
সরিষা: সফল
-
ভুট্টা: উত্তরণ
-
বেগুন: শুকতারা
সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস (Agricultural Information Service) ও কৃষি শিক্ষা বোর্ডবই।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশে White gold কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ইলিশ
B
পাট
C
রূপা
D
চিংড়ি
বাংলাদেশ চিংড়ির কারণে ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত। বঙ্গোপসাগর, নদী মোহনা ও স্বাদু পানিতে প্রচুর চিংড়ি থাকায় এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ। দেশে মোট ৫৬টি চিংড়ির প্রজাতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে:
-
৩৭টি লবণাক্ত পানিতে,
-
১২টি কমলবণাক্ত পানিতে,
-
৭টি স্বাদু পানিতে বাস করে।
চিংড়ি রপ্তানি থেকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তাই চিংড়িকে ‘হোয়াইট গোল্ড’ বা সাদা সোনা বলা হয়। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য।
উৎপাদন এলাকা:
চিংড়ির প্রাধান্য রয়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল যেমন বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। ৭০-এর দশকের শুরুতে এখানকার চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। ৮০-এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাগদা চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়।
-
শুরুতে খুলনা অঞ্চলে আধা-লোনা পানিতে এবং কক্সবাজারে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষ করা হয়।
-
এরপর মৎস্য অধিদপ্তরের হ্যাচারি পোনা উৎপাদনে সফল হয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হ্যাচারি স্থাপনে সহায়তা করা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
দেশের জাতীয় মাছ: ইলিশ
-
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ফসল: পাট, যাকে বলা হয় ‘সোনালী আশ’
উৎস: পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 weeks ago
১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম কোন পত্রিকা পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার উপর ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
নিউইয়র্ক টাইমস
B
ডেইলি মেইল
C
ডেইলি টেলিগ্রাফ
D
দ্য ইনডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কাজ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শুরু করা বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি।
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তখন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় ৫০ জন বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, যেন তারা গণহত্যার কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু সাইমন ড্রিং লুকিয়ে থেকে গণহত্যার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি হোটেলের ছাদ, কিচেন, বার এমনকি লবিতেও লুকিয়ে ছিলেন প্রায় ৩২ ঘণ্টা।
২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা শেষে যখন ২৭ মার্চ কারফিউ উঠল, তখন তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন—বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। এরপর ৩০ মার্চ তার লেখা প্রতিবেদন ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন।
তিনি এরপর কলকাতা থেকে খবর পাঠিয়ে লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার সাইমন ড্রিংকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
অন্যান্য সাংবাদিকদের অবদান
-
এস্থনি ম্যাসকারেনহাস পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
-
বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিরত খবর প্রচার করেছেন।
-
অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ভেতর থেকে তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন।
-
নিজামউদ্দিন ও নাজমুল হক শহিদ হন সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
-
আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালায়।
-
আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত “সংবাদ পরিক্রমা” ছিল খুবই জনপ্রিয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে “বজ্রকণ্ঠ” ও “চরমপত্র” অনুষ্ঠানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উৎসঃ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা

0
Updated: 1 month ago
যশোর জেলায় অবস্থিত বিল-
Created: 1 week ago
A
হাইল
B
পাথরচাওলি
C
ভবদহ
D
আড়িয়াল
ভবদহ বিল – যশোর জেলায়
ভবদহ বিল বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত।
যশোর জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
যশোর জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ১৭৮৬ সালে, অর্থাৎ প্রায় দুইশত বছর আগে।
-
ইতিহাসে যশোরের শাসকদের মধ্যে মহারাজ বিক্রমমাদিত্য, রাজা প্রতাপাদিত্য ও রাজা সীতারাম রায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
১৮৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের গঠন ও পুনর্বিন্যাস ক্রমাগত চলতে থাকে।
-
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য যশোরকে ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল যশোর থেকেই।
ভূগোল ও নদী:
-
যশোর এক ধরণের মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।
-
জেলার প্রধান নদীসমূহ: ভৈরব, চিত্রা, কপোতাক্ষ, হরিহর, দাদরা, বেত্রাবতী, কোদলা ও ইছামতি।
বিল সমূহ:
-
যশোরের গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে ভবদহ, জলেশ্বর, বকর ও হরিণা।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago