যে জেলায় হাজংদের বসবাস নেই-
A
শেরপুর
B
ময়মনসিংহ
C
সিলেট
D
নেত্রকোনা
উত্তরের বিবরণ
হাজং
-
হাজং বাংলাদেশে একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এরা মূলত ময়মনসিংহ জেলের পর্বতময় এলাকায় বসবাস করে। এছাড়াও শেরপুর, সিলেট ও নেত্রকোনা অঞ্চলেও হাজং জনগোষ্ঠীর কিছু পরিবার রয়েছে।
-
নৃবিজ্ঞানীদের মতে, হাজংদের আদি নিবাস উত্তর বার্মা।
-
বাংলাদেশের হাজংদের প্রধান ভাষা হলো বাংলা। তবে এদের নিজস্ব ভাষাও রয়েছে।
-
হাজং ভাষার জন্য কোনো নিজস্ব বর্ণমালা নেই; লিখনের জন্য তারা অসমীয়া বর্ণমালা ব্যবহার করে।
-
হাজংরা সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং তাদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক।
নৃগোষ্ঠি সনদ অনুযায়ী
-
হাজং বাংলাদেশ ও ভারতের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশে এরা নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় বসবাস করে।
-
দেশের অন্য কোথাও এদের বসবাসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
-
বর্তমানে বাংলাদেশে হাজংদের সংখ্যা প্রায় ৩,০০০ জন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
Created: 1 week ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দীন আহমেদ
D
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ “প্রথম” এবং মুজিব নগর সরকারের তথ্যগুলো নিম্নরূপ তুলে ধরা যায়। এই তথ্যগুলো বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংক্রান্ত, সামরিক ও সামাজিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
• বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
• বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করা প্রথম বাংলাদেশি ছিলেন মুসা ইব্রাহিম (২৩ মে ২০১০)।
• প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টে আরোহণ করেছেন নিশাত মজুমদার।
• দেশের প্রথম সমুদ্রবন্দর হলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর।
• প্রথম ইন্টারনেট ভিত্তিক নিউজ এজেন্সি ছিল বিডিনিউজ।
• প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
• প্রথম এটিএম কার্ড চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
• দেশের প্রথম আদম শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে।
মুজিব নগর সরকার সম্পর্কিত তথ্য:
• গঠিত হয়: ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
• শপথ গ্রহণ: ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
• সদর দপ্তর: ৮ নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।
• সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য গঠন করা হয় ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল।
• মোট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ: ১২টি মন্ত্রণালয় এবং ৩টি বিভাগ।
• শপথ পাঠ করান: অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
মুজিব নগর সরকারের প্রধান ব্যক্তিবর্গ:
• প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• উপ-রাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
• প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ।
• পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
• অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়: এম. মনসুর আলী।
• স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
• মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি: এম.এ.জি ওসমানী।
• চিফ অব স্টাফ: কর্নেল আবদুর রব।

0
Updated: 1 week ago
'তমদ্দুন মজলিস'-এর নেতা জনাব আবুল কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
রসায়ন বিজ্ঞান
B
গণিত
C
ইতিহাস
D
পদার্থ বিজ্ঞান
তমদ্দুন মজলিশ ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন, যা ইসলামী আদর্শে পরিচালিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সহযোগীরা: প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী সহযোগী ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর ও হাসান ইকবাল।
-
নেতৃত্ব: অধ্যাপক আবুল কাশেম ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সভাপতি নির্বাচিত হন।
-
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা: উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ উত্থাপন করে তমদ্দুন মজলিশ।
-
পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রভাব: সংগঠনটি ছাত্র-শিক্ষক মহলে বাংলা ভাষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে। একই বছরের মধ্যেই বহু খ্যাতনামা ও অখ্যাত লেখক বাংলা রাষ্ট্রভাষার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
সরকারি অবস্থা: পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি পাকিস্তানের গণপরিষদে সরকারি ভাষা হিসেবে শুধুমাত্র ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হয়, যা বাঙালিদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

0
Updated: 3 weeks ago
মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ক'টি জেলার সীমান্ত রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা
বাংলাদেশের দুইটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে — একটির সাথে ভারত এবং অন্যটির সাথে মিয়ানমার। দেশে মোট ৩২টি জেলা আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত।
এর মধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলা সীমান্ত ভাগ করে এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি জেলা সীমান্তবর্তী।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো হলো:
-
কক্সবাজার
-
রাঙ্গামাটি
-
বান্দরবান
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাঙ্গামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা যা ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সাথেও সীমান্ত ভাগ করে।
উৎস: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago