A
রাইফেল রোটি আওরাত
B
যাত্রা
C
জাহান্নম হইতে বিদায়
D
নেকড়ে অরণ্য
উত্তরের বিবরণ
‘রাইফেল রোটি আওরাত’ উপন্যাস
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ রচনা করেন আনোয়ার পাশা।
-
এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রচিত এবং ১৯৭৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: ড. খালেক, ড. মালেক, ছাবেদ আলী, হাসমত, জামাল সাহেব প্রমুখ।
আনোয়ার পাশা
-
তিনি ছিলেন একাধারে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক।
-
জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ডাবকাই গ্রামে।
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 days ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই কি ধরনের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
শ্রী রাধার ননদিনী
B
শ্রী রাধার শাশুড়ি
C
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
D
জনৈক গোপবালা
‘বড়ায়ি’ ছিলেন রাধাকৃষ্ণ প্রেমপর্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ দূতী চরিত্র।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রাচীনতম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিশেষভাবে স্বীকৃত।
১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ।
পুথিটির প্রারম্ভে কোনো শিরোনাম অনুপস্থিত থাকায়, আবিষ্কারক বসন্তরঞ্জন রায়ই একে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে অভিহিত করেন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও চিহ্নিত করা হয়।
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর উদ্যোগে এই পুথিটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায়।
চলমান পাণ্ডুলিপির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় কবির পরিচয় নির্দিষ্টভাবে পাওয়া না গেলেও, কবিতায় পাওয়া “চণ্ডীদাস” ও “বড়ু চণ্ডীদাস” নামের ভিত্তিতে এই কাব্যের রচয়িতা হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাস-কে গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কাব্যটি মূলত এক গীতি-আলেখ্য যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমপর্বের নানা রূপ ও পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে তিনটি মুখ্য চরিত্র—শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি—যারা কাব্যের কাহিনি গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত, যেগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
এই কাব্য বাংলা সাহিত্য এবং ধর্মীয় ভক্তিমূলক চর্চার এক অমূল্য নিদর্শন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
কোনটি উপন্যাস নয়?
Created: 1 week ago
A
দিবারাত্রির কাব্য
B
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
C
কবিতার কথা
D
পথের পাঁচালী
মুনীর চৌধুরীর নাটক ও অনুবাদ
১. মুখরা রমণী বশীকরণ:
-
মুনীর চৌধুরী উইলিয়াম শেক্সপিয়রের The Taming of The Shrew নাটকটি অনুবাদ করে বাংলা ভাষায় উপস্থাপন করেছেন মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০)।
-
এটি পাঁচ অঙ্ক বিশিষ্ট একটি কমেডি নাটক।
-
গল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: পদুয়া শহরের ধনী দুই কন্যা, ক্যাথেরিনা এবং বিয়াঙ্কা। ক্যাথেরিনা তীক্ষ্ণ ও মুখর, আর বিয়াঙ্কা খুব সুন্দরী। ভেরোনা শহরের যুবক পেট্রুশিও ক্যাথেরিনার অহংকার ভেঙে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
মুনীর চৌধুরীর নিজের মন্তব্য অনুযায়ী, নাটকের কাহিনী স্থুল হলেও হাস্যরসটি সতেজ, সরস ও আনন্দদায়ক।
২. কবর নাটক:
-
মার্কিন নাট্যকার ইরভিন শ’র Bury The Dead নাটক থেকে প্রেরণা নিয়ে, বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ‘কবর’ নাটক রচিত হয়েছে।
-
মূল থিমটি অনুকরণ হলেও, ‘কবর’ একটি অনুবাদ নাটক নয়।
-
নাটকে সমাধি থেকে মানুষের আত্মার পুনরুত্থান ঘটার ঘটনার অনুকরণ আছে, যা মূল Bury The Dead নাটকে দেখা যায়।
৩. মুনীর চৌধুরীর জীবন ও সৃজন:
-
মুনীর চৌধুরী (জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
শিক্ষা ও কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৪. মুনীর চৌধুরীর নাটকসমূহ:
-
মৌলিক নাটক: রক্তাক্ত প্রান্তর, চিঠি, কবর, দণ্ডকারণ্য
-
অনুবাদ নাটক: কেউ কিছু বলতে পারে না, রূপার কৌটা, মুখরা রমণী বশীকরণ
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
'দিবারাত্রির কাব্য' কার লেখা উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
B
শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
C
ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘দিবারাত্রির কাব্য’
‘দিবারাত্রির কাব্য’
-
এটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয় ১৯৩৫ সালে।
-
প্রধান চরিত্র: হেরম্ব ও আনন্দ।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
-
জন্ম: ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ, দুমকা, বিহারের সাঁওতাল পরগনা।
-
পৈতৃক নিবাস: বিক্রমপুর, ঢাকা জেলার মালবদিয়া গ্রাম।
-
প্রকৃত নাম: প্রবোধকুমার; ‘মানিক’ ছিল ডাকনাম।
-
কিশোরবেলায় ‘অতসীমামী’ রচনা, যা পরে বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
মাত্র ২১ বছর বয়সে রচনা করেন ‘দিবারাত্রির কাব্য’।
-
মোট রচনা: প্রায় ৫০টি উপন্যাস ও ২৪৪টি গল্প।
-
বিখ্যাত উপন্যাস: পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা — এই দুটি উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পান।
প্রধান রচিত উপন্যাসসমূহ
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
জননী
-
চিহ্ন
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
শহরবাসের ইতিকথা
-
অহিংসা
-
শহরতলী
-
সোনার চেয়ে দামি
-
স্বাধীনতার স্বাদ
-
ইতিকথার পরের কথা
-
আরোগ্য ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 weeks ago