শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়। - নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারক?
A
করণ
B
কর্তা
C
কর্ম
D
অধিকরণ
উত্তরের বিবরণ
করণ কারক
-
সংজ্ঞা: যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে।
-
এ কারকে সাধারণত ‘দ্বারা’, ‘দিয়ে’, ‘কর্তৃক’ ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
-
লোকটা জাতিতে বৈষ্ণব।
-
শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
'শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান অন্যে কভু নয়।' - এখানে 'শ্রদ্ধাবান' কোন কারক?
Created: 4 months ago
A
করণ
B
কর্তা
C
অপাদান
D
কর্ম
কর্তা কারক
যে ব্যক্তি বা বস্তু ক্রিয়াটি সম্পাদন করে, তাকে কর্তা কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যে যে কর্তা ক্রিয়ার কার্য সম্পাদন করে, সেই কর্তার দ্বারাই কর্তা কারক নির্ধারিত হয়। কর্তা কারকে সাধারণত কোনও বিভক্তি যোগ হয় না।
উদাহরণ
-
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দেব কিসে?
-
সপ্তপুরুষ যেথায় মানুষ।
-
শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান, অন্যে কভু নয়।
উৎস
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি – নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)
বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 4 months ago
বাক্যের অন্তর্গত শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
সন্ধি
B
পদ
C
কাল
D
কারক
উত্তর: ঘ) কারক
সহজ ব্যাখ্যা:
বাংলা ব্যাকরণে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে যে নিয়ম ব্যবহৃত হয়, সেটি কারক নামে পরিচিত।
কারকের মাধ্যমে বোঝা যায়, কে কাজটি করছে, কার উপর কাজটি হচ্ছে, কোথায় কাজটি ঘটছে ইত্যাদি।
উদাহরণ:
রানা বই পড়ে।
→ রানা = কর্তৃকারক (যে পড়ছে)
→ বই = কর্মকারক (যাকে পড়া হচ্ছে)
এই শব্দদুটো ক্রিয়ার (পড়ে) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে কারকের মাধ্যমে।
বাংলা ভাষায় মোট ৬টি কারক রয়েছে:
-
কর্তৃকারক (যে কাজ করে)
-
কর্মকারক (যার উপর কাজ হয়)
-
করণকারক (যার মাধ্যমে কাজ হয়)
-
সম্প্রদান কারক (যার জন্য কিছু দেওয়া হয়)
-
অপাদান কারক (যেখান থেকে কিছু দূরে যায়)
-
অধিকরণ কারক (যেখানে কাজ ঘটে)
তাই বাক্যে শব্দের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে ‘কারক’ সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর।
অন্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
ক) সন্ধি:
দুইটি শব্দ জোড়া লাগলে যে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়, তাকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
→ এটি শব্দগঠন নিয়ে কাজ করে, বাক্যের শব্দের সম্পর্ক নয়।
খ) পদ:
যখন কোনও শব্দে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন তাকে পদ বলে। যেমন: 'মানুষটি', 'বইয়ে'।
→ এটি শব্দের শ্রেণি নির্ধারণ করে, কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক নয়।
গ) কাল:
কাল হলো কাজটি কখন হয়েছে—বর্তমানে, অতীতে না ভবিষ্যতে।
→ এটি ক্রিয়ার সময় বোঝায়, শব্দের সম্পর্ক নয়।
শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য সঠিক উত্তর হলো ঘ) কারক।

1
Updated: 2 months ago
কোন কারকে ক্রিয়ার উৎস নির্দেশ করা হয়?
Created: 4 months ago
A
অপাদান
B
করণ
C
অধিকরণ
D
কর্ম
অপাদান কারক
-
যে কারক দ্বারা কোন ক্রিয়ার উৎস বোঝানো হয়, তাকে অপাদান কারক বলা হয়। সাধারণত এই কারক ‘হতে’, ‘থেকে’ ইত্যাদি অনুসর্গের পরে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
-
জমি থেকে ফসল পাওয়া যায়।
-
কাপটি উঁচু টেবিল থেকে পড়ে ভেঙে গেল।
-
কুকর্ম থেকে বিরত থাকো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 4 months ago