‘গাড়ি স্টেশন ছাড়লো’ ____ কোন কারক?
A
অধিকরণ কারক
B
করণ কারক
C
অপাদান কারক
D
কর্ম কারক
উত্তরের বিবরণ
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমন: পাপে বিরত হও, গাড়ি স্টেশন ছাড়লো।

0
Updated: 1 month ago
শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়। - নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারক?
Created: 1 month ago
A
করণ
B
কর্তা
C
কর্ম
D
অধিকরণ
করণ কারক
-
সংজ্ঞা: যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে।
-
এ কারকে সাধারণত ‘দ্বারা’, ‘দিয়ে’, ‘কর্তৃক’ ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
-
লোকটা জাতিতে বৈষ্ণব।
-
শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ আছে কোন বাক্যটিতে?
Created: 2 months ago
A
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
B
কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়
C
ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা একলা জেগে রই
D
আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস
• অধিকরণ কারক:
- ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বােঝায়।
- অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
- বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনাে বিষয় বােঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
• অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন:
- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই।
- কাল (সময়): সকালে সূর্য উঠবে।
প্রশ্নে প্রদত্ত,
''আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস'' এই বাক্যে ''আকাশে'' শব্দ দ্বারা স্থানকে বুঝিয়েছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি (এ) আছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ।
আবার,
- বাক্যের ক্রিয়াকে কোথায় দ্বারা প্রশ্ন করলেও ‘আকাশে’ উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘আকাশ’ শব্দটি এ বিভক্তিযোগে অধিকরণে সপ্তমী কারক।
অন্যদিকে,
• 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা'- এখানে 'ফুলের' সম্বন্ধ কারকের উদাহরণ।
• কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়।- কাজের পরিচয় কী দ্বারা বোঝা যায় ফল দ্বারা। সুতরাং ‘ফলে’ করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

0
Updated: 2 months ago
’কারক বিশ্লেষণ’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
বাক্যতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
রূপতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
কারক বিশ্লেষণ ও ব্যাকরণের অন্যান্য অংশ
বাক্যতত্ত্ব:
-
বাক্যতত্ত্বে মূলত বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যের নির্মাণ ও গঠন, পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে তা ব্যাখ্যা করা হয়।
-
এছাড়া এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বিষয়ও আলোচিত হয়।
বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়:
-
কারক বিশ্লেষণ
-
বাক্যের যোগ্যতা
-
বাক্যের উপাদান লোপ
-
যতিচিহ্ন ইত্যাদি
ধ্বনিতত্ত্ব:
-
বাগ্যন্ত্র ও এর উচ্চারণ-প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির বিন্যাস
-
স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল প্রভৃতি
রূপতত্ত্ব:
-
বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ
-
শব্দগঠন প্রক্রিয়া
অর্থতত্ত্ব (বাগর্থতত্ত্ব):
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়
-
বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম ও দশম শ্রেণি, ২০২৫ সালের সংস্করণ

0
Updated: 1 month ago