সমাস নির্ণয় করুন – বেআইনি।
A
অব্যয়ীভাব
B
নঞ তৎপুরুষ
C
উপপদ তৎপুরুষ
D
নিত্য সমাস
উত্তরের বিবরণ
না বাচক নঞ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে সমাস হয় তাই নঞ তৎপুরুষ সমাস। যেমন: নৃ বিষয়ক তত্ত্ব= নৃতত্ত্ব (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়); নয় কাঁড়া = আকাঁড়া; নাকে খত = নাকে খত (অলুক তৎপুরুষ); দায়ে ঠেকা = দায়েঠেকা (অলুক তৎপুরুষ); উল্লেখ্য, লুনের অভাব = আলুনি (অবয়ীভাব সমাস)।

0
Updated: 1 month ago
সমাস সাধিত অশুদ্ধি ঘটেছে কোন শব্দে?
Created: 3 weeks ago
A
মহিমমণ্ডিত
B
রাজগণ
C
সুবুদ্ধি
D
যুবরাজা
বাংলা ভাষায় সমাস সাধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার হয়ে যায়, যা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ বাংলায় প্রথমবার একবচনে ধনী, গুণী, মানী, পাপী ইত্যাদি রূপ নেয়। কিন্তু নিঃ-উপসর্গ যোগ হয়ে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকে না। তখন ধন, গুণ, মান, পাপ ইত্যাদি শব্দ সমানভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
নেই ধন যার = নির্ধন
-
নেই গুণ যার = নির্গুণ
-
নেই পাপ যার = নিষ্পাপ
অতএব, নির্ধনী, নির্গুণী, নিষ্পাপী ইত্যাদি অশুদ্ধ রূপ।
কিছু সমাস সাধিত অশুদ্ধ ও শুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ নিচে দেওয়া হলো—
-
অশুদ্ধ: পিতাহারা → শুদ্ধ: পিতৃহারা
-
অশুদ্ধ: যুবরাজা → শুদ্ধ: যুবরাজ
-
অশুদ্ধ: মহিমামণ্ডিত → শুদ্ধ: মহিমমণ্ডিত
-
অশুদ্ধ: রাজাগণ → শুদ্ধ: রাজগণ
-
অশুদ্ধ: মাতাজাতি → শুদ্ধ: মাতৃজাতি
-
অশুদ্ধ: সুবুদ্ধিমান → শুদ্ধ: সুবুদ্ধি
-
অশুদ্ধ: নির্দোষী → শুদ্ধ: নির্দোষ
-
অশুদ্ধ: অর্ধরাত্রি → শুদ্ধ: অর্ধরাত্র
-
অশুদ্ধ: নিরভিমানী → শুদ্ধ: নিরভিমান
-
অশুদ্ধ: দিবারাত্রি → শুদ্ধ: দিবারাত্র
-
অশুদ্ধ: নীরোগী → শুদ্ধ: নীরোগ
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস?
Created: 2 weeks ago
A
ঝালমুড়ি
B
সিংহপুরুষ
C
চন্দ্রমুখ
D
বিদ্যাধন
যে কর্মধারয় সমাসে দুটি পদ একত্রিত হওয়ার সময় মধ্যবর্তী পদটি লোপ হয়ে যায় এবং বাক্যের অর্থ সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়। এই সমাসে মূল ভাব বা অর্থ রক্ষা হয়, তবে শব্দগঠন আরও সংক্ষিপ্ত ও স্বচ্ছ হয়।
-
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ:
-
হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ
-
ঝাল মিশ্রিত মুড়ি = ঝালমুড়ি
-
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
-
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
-
উর্ণ নির্মিত জাল = উর্ণাজাল
-
-
উপমিত কর্মধারয়: সমাসে পদগুলোর মধ্যে তুলনা বা উপমা বোঝানো হয়।
উদাহরণ:-
পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ
-
মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ
-
-
রূপক কর্মধারয়: সমাসে পদগুলোর মধ্যে রূপক বা প্রতীকী অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণ: বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন

0
Updated: 2 weeks ago
'জলে-স্থলে' কী সমাস?
Created: 1 month ago
A
সমার্থক দ্বন্দ্ব
B
বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
C
অলুক দ্বন্দ্ব
D
একশেষ দ্বন্দ্ব
অলুক দ্বন্দ্ব
যে দ্বন্দ্ব (যুগলবন্দি) সমাসে কোনো সমস্যা-মূলক পদকে আলাদা করা হয় না, অর্থাৎ কোনাে পদকে ভেঙে দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলা হয়।
উদাহরণ:
-
দুধে ও ভাতে → দুধে-ভাতে
-
জলে ও স্থলে → জলে-স্থলে
-
দেশে ও বিদেশে → দেশে-বিদেশে
-
হাতে ও কলমে → হাতে-কলমে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 1 month ago