A
চলিত ভাষারীতিতে
B
সাধু ভাষারীতিতে
C
সমাজ উপভাষায়
D
আঞ্চলিক উপভাষায়
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধুরীতি ব্যাকরণের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত। এ রীতিতে সর্বনাম, ক্রিয়া, ও অনুসর্গে র পূর্ণ রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন: আসিয়া (সাধু > এস (চলিত); তাহাকে (সাধু) তাকে (চলিত); অপেক্ষা (সাধু) > চেয়ে (চলিত)।

0
Updated: 4 days ago
"চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।" - নিম্নরেখ অংশটুকু কোন কারক?
Created: 2 days ago
A
কর্মকারক
B
করণ কারণ
C
সম্বন্ধ কারক
D
অপাদান কারক
করণ কারক
-
সংজ্ঞা: যে উপায়ে বা যার দ্বারা কর্তা কোনো ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে।
-
চিহ্নিত করা হয় সাধারণত “দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক” ইত্যাদি অনুসর্গ দ্বারা।
উদাহরণ:
-
ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
-
চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 days ago
'আলোছায়া' শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 days ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বন্দ্ব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
সংজ্ঞা
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
প্রতিটি পদের অর্থ সমানভাবে রক্ষিত হয়।
-
ব্যাসবাক্যে (পূর্ণ বাক্যে) “এবং / ও / আর” ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা সম্পর্ক প্রকাশ পায়।
উদাহরণ
-
আলো + ছায়া → আলোছায়া (আলো ও ছায়া)
-
তাল + তমাল → তালতমাল (তাল ও তমাল)
-
দোয়াত + কলম → দোয়াতকলম (দোয়াত ও কলম)
-
মাতা + পিতা → মাতাপিতা (মাতা ও পিতা)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ

0
Updated: 2 days ago
'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
Created: 2 months ago
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago