A
স্বরসন্ধি
B
ব্যঞ্জন সন্ধি
C
খাঁটি বাংলা সন্ধি
D
বিসর্গ সন্ধি
উত্তরের বিবরণ
কাঁদ + না = কান্না শব্দটি ব্যঞ্জনসন্ধি সাধিত । স্বরে আর ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে আর ব্যঞ্জনে এবং ব্যঞ্জনে আর স্বরে মিলিত হয়ে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি সমীভবন (Assimilation) - এর নিয়মেই হয়ে থাকে। আর তাও মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। যেমন - সুপ + অন্ত = সুবন্ত, পরি + ছদ = পরিচ্ছদ, সৎ + চিন্তা = সচ্চিন্তা।

0
Updated: 4 days ago
'সদ্যোজাত' শব্দের শুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 14 hours ago
A
সৎ+ জাত
B
সদ্যো + জাত
C
সদ্যঃ + জাত
D
সদ্য + জাত
সদ্যোজাত শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: সদ্যঃ + জাত
বিসর্গ সন্ধির নিয়ম
যদি অ-কারের পর স-জাত বিসর্গ আসে এবং তার পরের ধ্বনি অল্পপ্রাণ বা ঘোষ মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন, নাসিক্য ধ্বনি, বা অন্তঃস্থ য, ব, র, ল, হ হয়, তাহলে অ-কার ও বিসর্গ স্থলে ও-কার লেখা হয়।
উদাহরণ:
-
সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত
-
তিরঃ + ধান = তিরোধান
-
মনঃ + রম = মনোরম
-
মনঃ + হর = মনোহর
-
তপঃ + বন = তপোবন
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 14 hours ago
সন্ধির প্রধান সুবিধা কী?
Created: 2 months ago
A
পড়ার সুবিধা
B
লেখার সুবিধা
C
উচ্চারণের সুবিধা
D
শোনার সুবিধা
সন্ধি:
- পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- অন্য কথায়, সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণের সহজপ্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।
- সন্ধি শব্দ গঠনেরও একটি উপায়।
- তবে সন্ধির প্রধান সুবিধা হলো উচ্চারণের সুবিধা।
- তবে বাংলা ভাষায় উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে সন্ধির সূত্র কাজে লাগে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
'সন্ধি' ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?
Created: 2 months ago
A
রূপতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
পদক্রম
D
বাক্য প্রকরণ
সন্ধি হলো শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা মূলত ধ্বনির বিন্যাসের মাধ্যমে শব্দ তৈরি করে। ফলে এটি ধ্বনিতত্ত্ব শাখার অন্তর্গত বিষয়।
বাংলা ব্যাকরণকে প্রধানত চারটি মৌলিক শাখায় বিভক্ত করা যায়:
১. ধ্বনিতত্ত্ব
এই শাখায় ভাষার মৌলিক একক ধ্বনি নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেহেতু লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে বর্ণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও এর অন্তর্ভুক্ত।
ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ:
-
বাগ্যন্ত্র ও তার উচ্চারণ প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির প্রকারভেদ ও বিন্যাস
-
স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল
-
সন্ধি ও এর প্রকারভেদ
২. রূপতত্ত্ব
এই অংশে ভাষার শব্দ ও শব্দের গঠনরীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ প্রভৃতি পদ এই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।
রূপতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয়:
-
শব্দ গঠনের ধারা
-
উপসর্গ, প্রত্যয়, মূল শব্দ
-
পদ ও তার শ্রেণিবিন্যাস
৩. বাক্যতত্ত্ব
বাক্য কিভাবে গঠিত হয় এবং তার উপাদানগুলোর বিন্যাস কেমন হবে, তা এই অংশে আলোচিত হয়। বাক্যের কাঠামো বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাষার গঠনশৈলী বোঝা যায়।
বাক্যতত্ত্বে আলোচ্য বিষয়:
-
বাক্যের শ্রেণিবিন্যাস
-
বাক্যের বাচ্য ও রূপান্তর
-
কারক নির্ণয়
-
বাক্যের যোগ্যতা ও উপাদান লোপ
-
যতিচিহ্ন ও তার ব্যবহার
৪. অর্থতত্ত্ব (বা বাগার্থ)
এই শাখায় শব্দ, পদ এবং বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভাষার অর্থবহ দিক বিশ্লেষণ করে অর্থতত্ত্ব।
অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়:
-
বিপরীত শব্দ
-
প্রতিশব্দ
-
শব্দজোড়
-
বাগধারা ও প্রবাদপ্রবচন
উপসংহার:
সন্ধি যে কেবল ধ্বনি নিয়ে কাজ করে তাই নয়, এটি শব্দ গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই এটি ধ্বনিতত্ত্ব শাখার আলোচ্য বিষয় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago