A
১৯১০
B
১৯১১
C
১৯১২
D
১৯১৩
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি
-
গীতাঞ্জলি হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ১৫৭টি গানের সংকলন।
-
গানগুলো মূলত ১৯০৮ ও ১৯০৯ সালে লেখা হয় এবং ১৯১০ সালে একত্রিত গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়।
-
গীতাঞ্জলি লেখা হয়েছে সহজ ও সাবলীল ভাষায়, যার ছন্দ পড়তে এবং বোঝতেও সুন্দর।
-
এই গানগুলো মূলত কবিতার আকারে, তাই সাহিত্যিক এবং ভাবগভীর।
-
১৯১২ সালের নভেম্বরে ইংল্যান্ডে Song Offerings নামে একটি ইংরেজি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়, যা মূলত গীতাঞ্জলির ভাব ও আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতি ও প্রেমের অনুভূতি তুলে ধরে। সম্পূর্ণ অনুবাদ না হলেও, এই গ্রন্থের মাধ্যমে গীতাঞ্জলির মর্ম অনেকটাই ইংরেজি পাঠকের কাছে পৌঁছে।
-
Song Offerings এর জন্য রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 days ago
ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় কোন পত্রিকাটি?
Created: 1 month ago
A
অরণি
B
পরিচয়
C
নবশক্তি
D
ক্রান্তি
'ক্রান্তি' পত্রিকা সম্পর্কে:
১৯৪০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত 'ক্রান্তি' পত্রিকা ছিল ঢাকার প্রগতি লেখক সংঘের মুখপাত্র। এর প্রথম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রণেশ দাশগুপ্ত।
অন্যান্য পত্রিকা ও সম্পাদকরা:
কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা 'কল্লোল' এর সম্পাদক ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ।আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা 'অরণি' এর সম্পাদক ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। এছাড়া 'পরিচয়' পত্রিকাটি কলকাতা থেকে সুধীন্দ্রনাথ দত্তের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথের 'সোনার তরী' কবিতা কোন ছন্দে রচিত?
Created: 4 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত
B
অক্ষরবৃত্ত
C
মন্দাক্রান্তা
D
মাত্রাবৃত্ত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কবিতা
-
‘সোনার তরী’ কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা হয়েছে।
-
এই কবিতায় অনেক গভীরভাবে কবির জীবনদর্শনের প্রতিফলন পাওয়া যায়।
-
কবিতাটির প্রায় সব পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার ছন্দে গঠিত।
-
এটি ‘সোনার তরী’ নামের কাব্যগ্রন্থের অন্যতম কবিতা।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এর বেশ কিছু কবিতা কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লেখা হয়।
এই কাব্যগ্রন্থে যেসব উল্লেখযোগ্য কবিতা রয়েছে:
-
সোনার তরী
-
বিম্ববতী
-
বর্ষাযাপন
-
সুপ্তোত্থিতা
-
হিং টিং ছট
-
বসুন্ধরা
-
নিরুদ্দেশ যাত্রা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
মানসী
-
চিত্রা
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পূরবী
-
পুনশ্চ
-
পত্রপূট
-
সেঁজুতি
-
শেষলেখা
তথ্যসূত্র:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 weeks ago
নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রাজবন্দীর জবানবন্দী
B
ব্যথার দান
C
অগ্নিবীণা
D
নবযুগ
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যজগতে তাঁর প্রথম পদার্পণেই নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কৃতিগুলি তাঁর বৈচিত্র্যময় প্রতিভার প্রমাণ বহন করে। নিচে তাঁর প্রথম প্রকাশিত সাহিত্যকর্মগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো:
প্রথম কাব্যগ্রন্থ:
‘অগ্নি-বীণা’ (১৯২২) — নজরুলের বিদ্রোহী আত্মার প্রতীক এই গ্রন্থ বাংলা কাব্যধারায় অনন্য স্থান অধিকার করে।
প্রথম প্রকাশিত কবিতা:
‘মুক্তি’ — এই কবিতার মাধ্যমে নজরুল তাঁর কাব্য-প্রতিভার সূচনা ঘটান, যেখানে মুক্তির চেতনা ফুটে ওঠে।
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ:
‘তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা’ — সামাজিক প্রগতির আহ্বান জানানো এই প্রবন্ধে নজরুল নারীমুক্তির প্রশ্নে সাহসী অবস্থান নেন।
প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ:
‘যুগবাণী’ — সমাজ, রাজনীতি ও ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন চিন্তাধারা নিয়ে রচিত এই গ্রন্থটি পরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, যা নজরুলের প্রগতিশীল মনোভাবের প্রমাণ।
প্রথম গল্পগ্রন্থ:
‘ব্যথার দান’ — ছোটগল্পের মধ্য দিয়ে মানব-ব্যথা ও সমাজবাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেছেন।
প্রথম উপন্যাস:
‘বাঁধন-হারা’ — এই উপন্যাসে নজরুল ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সমাজচিত্রকে কেন্দ্র করে এক নতুন ধারার সূচনা করেন।
প্রথম নাটক ও নাট্যগ্রন্থ:
‘ঝিলিমিলি’ — নাট্যসাহিত্যে নজরুলের প্রথম অবদান হিসেবে এই গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য, যা নাট্যশৈলীতে নতুন গতি এনেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, 'যুগবাণী' ছিল তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ এবং এটিই ছিল নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ গ্রন্থ, যা তাঁর লেখনীতে বিপ্লবের ঝাঁঝ প্রতিফলিত করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago