A
বিস্ময় দ্বারা আপন্ন
B
বিস্ময়ে আপন্ন
C
বিস্ময়কে আপন্ন
D
বিস্ময়ে যে আপন্ন
উত্তরের বিবরণ
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস
বাংলা ব্যাকরণের মতে, যখন কোনো পদে দ্বিতীয় পদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (যেমন –কে, –রে ইত্যাদি) লোপ পায় এবং দুটি পদ একত্র হয়ে একটি নতুন সমাস গঠন করে, তখন তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
দুঃখকে প্রাপ্ত → দুঃখপ্রাপ্ত
-
বিপদকে আপন্ন → বিপদাপন্ন
-
বিস্ময়কে আপন্ন → বিস্ময়াপন্ন
-
পরলোকে গত → পরলোকগত
এখানে লক্ষ্য করুন, মূল বাক্যে থাকা “কে” বা “তে” প্রভৃতি উপসর্গ লোপ পেয়ে দুটি পদ মিলিত হয়ে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ তৈরি করেছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২০১৯ সংস্করণ।

0
Updated: 4 days ago
বাক্যের তিনটি গুণ কী কী?
Created: 1 month ago
A
আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও বিধেয়
B
আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা
C
যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
D
কোনোটিই নয়
আদর্শ বাক্যের ৩টি দরকারি গুণ
একটি ভালো বা আদর্শ বাক্য গঠনের জন্য তিনটি গুণ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা
বাক্য বুঝতে গেলে এক শব্দের পর আরেকটি শব্দ কী আসবে, তার একটি আশা বা চাহিদা থাকে। এই চাহিদার নামই আকাঙ্ক্ষা।
উদাহরণ:
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
এই বাক্যটি অসম্পূর্ণ। এখানে বোঝা যাচ্ছে না কাজল লেখাপড়া করে নাকি করে না।
ঠিকভাবে বললে হবে: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
আসত্তি
একটি বাক্যের মধ্যে শব্দগুলোর সঠিক জায়গায় বসার নিয়মই হলো আসত্তি।
উদাহরণ:
নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
এই বাক্যে শব্দগুলোর জায়গা ঠিক না থাকায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
সঠিকভাবে বললে হবে: হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
যোগ্যতা
বাক্যের সব শব্দের মানে ও তথ্য যেন বাস্তবসম্মত ও মানানসই হয়, সেটাই হলো যোগ্যতা।
উদাহরণ:
বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
এই বাক্যটি ভুল, কারণ বর্ষাকালে রোদে প্লাবন হয় না।
সঠিকভাবে বললে হবে: বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াত মাহমুদ

0
Updated: 1 month ago
কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
Created: 2 months ago
A
তুই বাড়ি যা
B
ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C
কাল একবার এসো
D
দূর হও
একই বাক্য বা শব্দ, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে উচ্চারিত হলে তা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এটিই বাভঙ্গির মাহাত্ম্য। মানুষ কখনো জিজ্ঞাসা করে, কখনো আদর করে, আবার কখনো রাগ বা বিস্ময় প্রকাশ করে—এসবই স্বরভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায়।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যা বাভঙ্গির রূপভেদে একই বাক্য বা বাক্যাংশ কীভাবে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তা স্পষ্ট করে তোলে:
১. সাধারণ বিবৃতি (তথ্য দেওয়া)
-
সে আজ যাবে।
👉 নিছক একটি তথ্য জানানো হচ্ছে।
২. প্রশ্ন (জিজ্ঞাসা)
-
সে আজ যাবে?
👉 সন্দেহ বা কৌতূহল প্রকাশ পাচ্ছে।
৩. বিস্ময়
-
সে আজ যাবে!
👉 ভাবনার বাইরে কিছু ঘটছে, আশ্চর্যজনক অনুভূতি।
৪. ক্রোধ
-
আমি তোমাকে দেখে নেব।
👉 হুমকি বা রাগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. আদর
-
বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।
👉 স্নেহমাখা কণ্ঠে কষ্ট প্রকাশ।
৬. আনন্দ
-
বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে।
👉 খুশি হয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে।
৭. অনুরোধ
-
কাল একবার এসো। / কাল একবার আসতে পারবে?
👉 ভদ্রভাবে কারো প্রতি অনুরোধ জানানো।
স্বরভঙ্গি কেবল বাক্য গঠনের একটি উপাদান নয়, বরং এটি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই বাক্য, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে ভিন্ন আবেগ ও মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। এটি ভাষার নান্দনিক ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
যৌগিক বাক্যের অন্যতম গুণ কী?
Created: 3 months ago
A
একটি জটিল ও একটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
B
একটি সংযুক্ত ও একটি বিযুক্ত বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
C
দুটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
D
দুটি মিশ্র বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
যৌগিক বাক্য কী?
যখন দুটি বা তার বেশি সরল অথবা মিশ্র বাক্য একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ অর্থপূর্ণ বাক্য গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলা হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে, যখন একাধিক স্বাধীন খণ্ডবাক্য যোজক শব্দ বা যতিচিহ্নের মাধ্যমে যুক্ত হয়, তখন সেগুলো মিলে একটি যৌগিক বাক্য তৈরি করে।
যৌগিক বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
এতে দুটি বা ততোধিক খণ্ডবাক্য থাকে।
-
প্রতিটি খণ্ডবাক্য স্বাধীন, অর্থাৎ একটির ওপর অন্যটির নির্ভরতা থাকে না।
-
খণ্ডবাক্যগুলো যোজক শব্দ (যেমন: এবং, ও, আর, অথবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি) অথবা কিছু যতিচিহ্ন (যেমন: কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), ড্যাশ (−)) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
কখনো কখনো যোজক উহ্যও থাকতে পারে।
যোজক শব্দের উদাহরণ:
-
এবং, ও, আর, অথবা, কিংবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি।
যৌগিক বাক্যের কিছু উদাহরণ:
-
হামিদ বই পড়ছে, আর সীমা রান্না করছে।
-
সে ভালো ফল করেছে, তাই আমরা আনন্দিত হয়েছি।
-
সে ঘর ঝাড়ু দিল, ঘর মুছল, তারপর পড়তে বসল।
-
অন্ধকার হয়ে এসেছে, অথচ সে এখনো বাসায় ফেরেনি।
-
তোমরা চেষ্টা করেছ, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওনি; এতে দোষের কিছু নেই।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago