A
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
B
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
C
প্রমথ চৌধুরী
D
কাজী আব্দুল ওদুদ
উত্তরের বিবরণ
মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধগ্রন্থ
গ্রন্থ পরিচিতি:
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুর পর, সিকান্দার আবু জাফর সমকাল প্রকাশনী তাঁর প্রবন্ধগুলো একত্রিত করে ‘সংস্কৃতি কথা’ শিরোনামে প্রকাশ করেন।
-
এতে মোট ত্রিশটি প্রবন্ধ স্থান পায়।
-
বাংলা একাডেমি ১৯৭০ সালে এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করে।
বিখ্যাত উক্তি:
-
“মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয়, আত্মিকও।”
-
“ধর্ম সাধারণ মানুষের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত ও মার্জিত মানুষের ধর্ম।”
মোতাহের হোসেন চৌধুরী: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
-
তিনি শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক। জন্ম নোয়াখালীর কাঞ্চনপুর গ্রামে।
-
প্রবন্ধের গদ্যশৈলীতে প্রমথ চৌধুরী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব লক্ষণীয়।
-
তিনি বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
‘সংস্কৃতি কথা’ তাঁর প্রধান প্রবন্ধগ্রন্থ।
-
এছাড়াও তিনি বার্ট্রান্ড রাসেলের ‘Conquest of Happiness’ এবং ক্লাইভ বেল-এর ‘Civilization’ এর ভাবানুবাদ করেছেন।
-
মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্রবক্তা, উদার মানবতাবাদী এবং মননশীল প্রবন্ধকার হিসেবে তাঁর খ্যাতি সুপ্রতিষ্ঠিত।
নির্বাচিত প্রবন্ধসমূহ
-
আমাদের দৈন্য
-
আদেশপন্থী ও অনুপ্রেরণাপন্থী
-
মুসলমান সাহিত্যিকদের চিন্তাধারা
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 4 days ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
তিলোত্তমা কাব্য
B
মেঘনাদ বধ কাব্য
C
বেতাল পঞ্চবিংশতি
D
বীরাঙ্গনা
'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত বই হলো ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’। এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়েই তিনি প্রথম বাংলায় যতি বা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রসিদ্ধ কাব্য হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব’।
-
এর কাহিনী নেওয়া হয়েছে মহাভারতের সুন্দ ও উপসুন্দের কাহিনী থেকে।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে গ্রন্থাকারে।
-
এই কাব্যেই মধুসূদন প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন।
'মেঘনাদবধ কাব্য'
-
মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য হলো ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
-
এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে।
-
মহাকাব্যের কাহিনী নেওয়া হয়েছে রামায়ণ থেকে, তবে কেবল একটি ছোট অংশকে ভিত্তি করে তিনি এ কাব্য রচনা করেন।
-
পুরো কাব্যটি নয় সর্গে রচিত, যেখানে মাত্র তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ হলো: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
-
সর্গগুলোর নাম: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া।
'বীরাঙ্গনা কাব্য'
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের আরেকটি বিখ্যাত রচনা হলো ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’।
-
এটি পত্রাকারে লেখা কাব্য, যা প্রকাশিত হয় ১৮৬২ সালে।
-
বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের পত্রকাব্যের সূচনা মধুসূদনের হাতেই হয়।
-
তিনি এটি রচনা করেছিলেন রোমান কবি ওভিডের ‘হেরোইডাইদ্স’ কাব্যের আদলে।
-
এতে মোট ১১টি পত্র রয়েছে।
-
এই কাব্যে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক মনোভাব নিয়ে নিজেদের প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ প্রকাশ করেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
কোন চরণটি সঠিক?
Created: 2 weeks ago
A
ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা (ভুল উত্তর)
B
ধন্য ধান্যে পুষ্পে ভরা
C
ধণ্যে ধান্যে পুষ্প ভরা
D
ধন্যে ধান্য পুষ্পে ভরা
• 'ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা' - গানটির রচয়িতা দ্বিজেন্দলাল রায়।

ধন ধান্য পুষ্প ভরা
-- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
"ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।"
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং 'ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা'।

0
Updated: 2 weeks ago
ব্যক্তিগত পত্রের ওপরের ডান কোণে কী লেখা হয়?
Created: 3 days ago
A
সম্ভাষণ
B
পত্রলেখকের স্থান ও তারিখ
C
প্রাপকের ঠিকানা
D
মঙ্গলসূচক শব্দ
ব্যক্তিগত পত্র বা অন্য যেকোনো চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানা হয়।
-
পত্রের উপরের ডান কোণে সাধারণত লেখকের স্থান ও তারিখ লেখা হয়।
-
বাম দিকে প্রাপকের নাম ও ঠিকানা লেখা হয় (যদি প্রয়োজন হয়)।
-
এরপর শুরুতে সম্ভাষণ ব্যবহার করা হয় (যেমন – প্রিয় বন্ধু, স্নেহের ভাই ইত্যাদি)।
-
শেষে বিদায় সম্ভাষণ (যেমন – ইতি, তোমার বন্ধু ইত্যাদি) ও স্বাক্ষর দেওয়া হয়।
অতএব, ব্যক্তিগত পত্রের উপরের ডান কোণে "পত্রলেখকের স্থান ও তারিখ" লেখা হয়। ✅

0
Updated: 3 days ago